সংঘাতের আশঙ্কা হতাশায় জনগণ by লোটন একরাম
পাঁচ বছরের মাথায় আবারও সংঘাতের পথে ফিরে যাচ্ছে রাজনীতি। ওয়ান-ইলেভেনের তিক্ত অভিজ্ঞতার পর নির্বাচিত সরকারের তিন বছর না যেতেই আবার মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে 'অনড়' অবস্থান গ্রহণ করেছে তারা। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার পাল্টাপাল্টি বক্তব্যেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। শেখ হাসিনা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই আগামী নির্বাচন হবে, হবে, হবেই।
অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন খালেদা জিয়া। দুই নেত্রীর কঠোর অবস্থানের পর রাজনীতিতে আবার সংঘাত ও সংঘর্ষ শুরুর আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে সবার একটি প্রশ্ন_ দেশকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করবে কে? অবশ্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্টজনরা আশা করছেন, দেশ, গণতন্ত্র ও জনগণের কল্যাণে দু'দল 'সমঝোতায়' আসবে। অন্যথায় কারও জন্যই তা মঙ্গল বয়ে আনবে না। তারা বলেন, দেশকে 'অস্থিতিশীল পরিস্থিতি' থেকে উত্তরণ ঘটাতে বিরোধী
দলকে সংসদে যোগ দিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। একই সঙ্গে বিরোধী দলকে সংসদে যোগ দেওয়ার মতো 'অনুকূল' পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে সরকারি দলকে। অতীত অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই সরকার ও বিরোধী দলকে সহনশীলতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সমকালকে বলেন, এটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। গণতন্ত্রের স্বার্থে পরস্পরকে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অন্যথায় সংসদীয় গণতন্ত্রকে কার্যকর করা যাবে না। তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে দু'দলকেই সমঝোতার পথে আসতে হবে। সংঘর্ষের মাধ্যমে দেশ, গণতন্ত্র ও জনগণ_ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। জনগণ আশা করেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধান দল দুটি একটি সমঝোতায় আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, হবে। একদিন পর মঙ্গলবার ঢাকায় চারদলীয় জোটের এক জনসভায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। একদিন পর যোগদান অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া আবার বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের আগেই সরকারকে বিদায় করা হবে। রোডমার্চের পর ফাইনাল খেলা শুরু হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না, হবে না, হবে না। এর একদিন পর ঢাকায় ফিরে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আবার বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই আগামী নির্বাচন হবে, হবে, হবেই। এমনকি বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকেও ওই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। দু'দলের প্রধানের এ কঠোর বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে 'আক্রমণাত্মক' বক্তব্য দিতে শুরু করেন উভয় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও। এ পরিস্থিতিতে কার্যত মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেছে দু'দল।
দলীয় সরকারের অধীনে যে কোনো মূল্যে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে বিরোধী দলকে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। দলকে সাংগঠনিকভাবেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলনেরও উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম গতকাল বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার সুযোগ না থাকলেও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে আরও স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। বর্তমান সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচন নিয়ে 'কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি' দাবি করে কামরুল ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনেও যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব_ এর প্রমাণ বর্তমান সরকার দিয়েছে।
অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবে না বলে মনে করে বিএনপি। এ জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বাধ্য করতে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে আগামী সেপ্টেম্বরের আগেই মহাজোট সরকারকে বিদায় করার হুঙ্কার দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। এমনকি ঘোষিত রোডমার্চ কর্মসূচির পর 'ফাইনাল খেলা' শুরু করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পুরো শীত মৌসুমে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনগণকে 'সম্পৃক্ত' করার চেষ্টা করবে দলটি। এসব কর্মসূচিতে বাধা দিলে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিও দেবে তারা।
চারদলের জনসভায় বাধা দেওয়া হলে বিএনপি হরতালের হুমকি দিয়েছিল। অবশ্য আশঙ্কা সত্ত্বেও কোনো গণ্ডগোল হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। তবে রোডমার্চও সফল হলে সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামতে পারে মনে করে বাধা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন বিএনপি নেতারা। অবশ্য সরকারি দলের নেতারা বলছেন, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। তবে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি হলে প্রতিহত করবে সরকার।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়েও 'বিড়ম্বনার' আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। কমিশনার নিয়োগে 'সার্চ কমিটি' গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। তবে বিএনপি সংলাপে না এলে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। ইতিপূর্বে সংবিধান সংশোধন ও নির্বাচন কমিশনের সংলাপেও যায়নি বিএনপি। বিএনপি প্রস্তাবিত কমিশনাররা নিয়োগ না পেলেও সরকারি দলের প্রস্তাবিত কমিশনারদের তারা মেনে নেবে না। সে ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যু সুরাহার আগেই আরও অবনতি ঘটতে পারে রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করা হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের স্বপ্ন কখনও বাস্তবায়ন হবে না। জনগণ তা কখনও মেনে নেবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সর্বদলীয় আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিতে হবে। একতরফা কমিশনার নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত সরকারকেই 'ছাড়' দিতে হবে।
এ পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনের আড়াই বছর বাকি থাকতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে রাজপথ। উভয় দলের জন্য 'দুষ্কর' হয়ে পড়েছে বর্তমান অবস্থান থেকে ফিরে আসা। এতে আগামী দিনগুলোয় রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হতে পারে দেশ। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগে পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।
দলকে সংসদে যোগ দিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। একই সঙ্গে বিরোধী দলকে সংসদে যোগ দেওয়ার মতো 'অনুকূল' পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে সরকারি দলকে। অতীত অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখেই সরকার ও বিরোধী দলকে সহনশীলতার পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সমকালকে বলেন, এটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। গণতন্ত্রের স্বার্থে পরস্পরকে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অন্যথায় সংসদীয় গণতন্ত্রকে কার্যকর করা যাবে না। তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে দু'দলকেই সমঝোতার পথে আসতে হবে। সংঘর্ষের মাধ্যমে দেশ, গণতন্ত্র ও জনগণ_ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। জনগণ আশা করেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধান দল দুটি একটি সমঝোতায় আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, হবে। একদিন পর মঙ্গলবার ঢাকায় চারদলীয় জোটের এক জনসভায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। একদিন পর যোগদান অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া আবার বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের আগেই সরকারকে বিদায় করা হবে। রোডমার্চের পর ফাইনাল খেলা শুরু হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হবে না, হবে না, হবে না। এর একদিন পর ঢাকায় ফিরে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আবার বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই আগামী নির্বাচন হবে, হবে, হবেই। এমনকি বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকেও ওই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। দু'দলের প্রধানের এ কঠোর বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে 'আক্রমণাত্মক' বক্তব্য দিতে শুরু করেন উভয় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও। এ পরিস্থিতিতে কার্যত মুখোমুখি অবস্থান গ্রহণ করেছে দু'দল।
দলীয় সরকারের অধীনে যে কোনো মূল্যে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে বিরোধী দলকে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। দলকে সাংগঠনিকভাবেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলনেরও উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম গতকাল বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার সুযোগ না থাকলেও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করে আরও স্বাধীনতা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। বর্তমান সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচন নিয়ে 'কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি' দাবি করে কামরুল ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনেও যে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব_ এর প্রমাণ বর্তমান সরকার দিয়েছে।
অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবে না বলে মনে করে বিএনপি। এ জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বাধ্য করতে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে আগামী সেপ্টেম্বরের আগেই মহাজোট সরকারকে বিদায় করার হুঙ্কার দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। এমনকি ঘোষিত রোডমার্চ কর্মসূচির পর 'ফাইনাল খেলা' শুরু করবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পুরো শীত মৌসুমে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জনগণকে 'সম্পৃক্ত' করার চেষ্টা করবে দলটি। এসব কর্মসূচিতে বাধা দিলে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচিও দেবে তারা।
চারদলের জনসভায় বাধা দেওয়া হলে বিএনপি হরতালের হুমকি দিয়েছিল। অবশ্য আশঙ্কা সত্ত্বেও কোনো গণ্ডগোল হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। তবে রোডমার্চও সফল হলে সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নামতে পারে মনে করে বাধা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন বিএনপি নেতারা। অবশ্য সরকারি দলের নেতারা বলছেন, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। তবে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি হলে প্রতিহত করবে সরকার।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়েও 'বিড়ম্বনার' আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। কমিশনার নিয়োগে 'সার্চ কমিটি' গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। তবে বিএনপি সংলাপে না এলে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। ইতিপূর্বে সংবিধান সংশোধন ও নির্বাচন কমিশনের সংলাপেও যায়নি বিএনপি। বিএনপি প্রস্তাবিত কমিশনাররা নিয়োগ না পেলেও সরকারি দলের প্রস্তাবিত কমিশনারদের তারা মেনে নেবে না। সে ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যু সুরাহার আগেই আরও অবনতি ঘটতে পারে রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমকালকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করা হবে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের স্বপ্ন কখনও বাস্তবায়ন হবে না। জনগণ তা কখনও মেনে নেবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সর্বদলীয় আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিতে হবে। একতরফা কমিশনার নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত সরকারকেই 'ছাড়' দিতে হবে।
এ পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনের আড়াই বছর বাকি থাকতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে রাজপথ। উভয় দলের জন্য 'দুষ্কর' হয়ে পড়েছে বর্তমান অবস্থান থেকে ফিরে আসা। এতে আগামী দিনগুলোয় রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হতে পারে দেশ। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগে পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।
No comments