সব কমিটিতেই স্বজনরা
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে এক পরিবারের সদস্যই রয়েছেন ২১ জন। পরিবারটি হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সব সংগঠন ও অঙ্গসংগঠনের কমিটির বিভিন্ন পদ দখল করেছেন এমপি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, দুর্নীতির পথ নিষ্কণ্টক করতেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বসানো হয়েছে। এ কারণে দলের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। ফলে দলের কর্মকাণ্ডও স্তিমিত হয়ে পড়েছে সদর এলাকায়।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, দুর্নীতির পথ নিষ্কণ্টক করতেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বসানো হয়েছে। এ কারণে দলের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। ফলে দলের কর্মকাণ্ডও স্তিমিত হয়ে পড়েছে সদর এলাকায়।
জানা যায়, ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিউর রহমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি চারটি কলেজের পরিচালনা পর্ষদেরও সভাপতি। এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমীর (স্কুল ও কলেজ) অধ্যক্ষ তিনি নিজে।
সংসদ সদস্যদের স্ত্রী নুরুন্নাহার শেফালী জেলা মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী।
এমপিপুত্র মুহিতউর রহমান শান্ত ময়মনসিংহ (বেসরকারি) বিজ্ঞান কলেজের চেয়ারম্যান, ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের পরিচালক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমীর পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য। এমপির চাচা আবদুস সালামকে দেওয়া হয়েছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ।
বর্তমান সরকার আমলে অনেকটা জোর করে ময়মনসিংহ মোটর মালিক সমিতির সভাপতি হয়েছেন এমপির ভাই মমতাজ উদ্দিন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছাড়াও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কমিটিতেও মমতাজ উদ্দিনকে সম্পৃক্ত রাখা হয়েছে।
এমপির ভাই আফাজ উদ্দিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোতোয়ালি থানা শাখার সভাপতি। তিনি সম্প্রতি আকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমান সরকারের আমলে হাজি জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদেরও সভাপতি তিনি।
এমপির চাচাতো ভাই আলম জেলা শ্রমিক লীগের নেতা ও টেম্পো মালিক সমিতির সভাপতি। আরেক চাচাতো ভাই আজহারুল ইসলাম জেলা যুবলীগের সহসভাপতি। তিনি মুসলিম বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদেরও সভাপতি। ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারিঘাট বালুমহালের নিয়ন্ত্রণও তাঁর হাতে।
এমপির আরেক চাচাতো ভাই গোলাম সারোয়ার জেলা যুবলীগের সভাপতি। তাঁকে ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কয়েক মাস আগে বসানো হয়। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমী, ময়মনসিংহ উচ্চ বিদ্যালয় এবং জেলা ডায়াবেটিক সমিতির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। এমপির নিকটাত্মীয় মোশাররফ হোসেন কোতোয়ালি থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়েরও উপাধ্যক্ষ।
সংসদ সদস্য মতিউর রহমান ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পর গোলাম সারোয়ার ও মোশাররফ হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ ছাড়া এমপির ভাগ্নে আমিনুল ইসলাম তারাকে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমপির মামাশ্বশুর হেলাল উদ্দিনকে দেওয়া হয়েছে দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ। সম্প্রতি এমপি তাঁর মামাশ্বশুরের ৩২ বছর বয়সী বেকার ছেলে রফিক উদ্দিন রুবেলকে দাপুনিয়া ডিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, যা নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দলীয় পদে পারিবারিক সদস্যদের বসানো প্রসঙ্গে মতিউর রহমান দাবি করেন, 'আমাদের বংশের লোকজন সবাই রাজনীতি করে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেন। ফলে দলসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে তাঁরা যোগ্যতা দিয়ে নির্বাচিত হয়েই এসেছেন।'
সংসদ সদস্যদের স্ত্রী নুরুন্নাহার শেফালী জেলা মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী।
এমপিপুত্র মুহিতউর রহমান শান্ত ময়মনসিংহ (বেসরকারি) বিজ্ঞান কলেজের চেয়ারম্যান, ময়মনসিংহ কমার্স কলেজের পরিচালক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমীর পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য। এমপির চাচা আবদুস সালামকে দেওয়া হয়েছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ।
বর্তমান সরকার আমলে অনেকটা জোর করে ময়মনসিংহ মোটর মালিক সমিতির সভাপতি হয়েছেন এমপির ভাই মমতাজ উদ্দিন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছাড়াও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কমিটিতেও মমতাজ উদ্দিনকে সম্পৃক্ত রাখা হয়েছে।
এমপির ভাই আফাজ উদ্দিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোতোয়ালি থানা শাখার সভাপতি। তিনি সম্প্রতি আকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমান সরকারের আমলে হাজি জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদেরও সভাপতি তিনি।
এমপির চাচাতো ভাই আলম জেলা শ্রমিক লীগের নেতা ও টেম্পো মালিক সমিতির সভাপতি। আরেক চাচাতো ভাই আজহারুল ইসলাম জেলা যুবলীগের সহসভাপতি। তিনি মুসলিম বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদেরও সভাপতি। ব্রহ্মপুত্র নদের কাচারিঘাট বালুমহালের নিয়ন্ত্রণও তাঁর হাতে।
এমপির আরেক চাচাতো ভাই গোলাম সারোয়ার জেলা যুবলীগের সভাপতি। তাঁকে ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কয়েক মাস আগে বসানো হয়। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমী, ময়মনসিংহ উচ্চ বিদ্যালয় এবং জেলা ডায়াবেটিক সমিতির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি। এমপির নিকটাত্মীয় মোশাররফ হোসেন কোতোয়ালি থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়েরও উপাধ্যক্ষ।
সংসদ সদস্য মতিউর রহমান ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পর গোলাম সারোয়ার ও মোশাররফ হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ ছাড়া এমপির ভাগ্নে আমিনুল ইসলাম তারাকে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমপির মামাশ্বশুর হেলাল উদ্দিনকে দেওয়া হয়েছে দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ। সম্প্রতি এমপি তাঁর মামাশ্বশুরের ৩২ বছর বয়সী বেকার ছেলে রফিক উদ্দিন রুবেলকে দাপুনিয়া ডিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, যা নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দলীয় পদে পারিবারিক সদস্যদের বসানো প্রসঙ্গে মতিউর রহমান দাবি করেন, 'আমাদের বংশের লোকজন সবাই রাজনীতি করে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেন। ফলে দলসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে তাঁরা যোগ্যতা দিয়ে নির্বাচিত হয়েই এসেছেন।'
No comments