সরকারি দলের প্রতি অবিশ্বাস থেকেই পক্ষে বিএনপি
দেশের বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে আস্থাহীনতা ও অবিশ্বাসের কারণেই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি এসেছিল। বিরোধী দল বিএনপির নেতারা মনে করেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ওপর দেশের মানুষের অবিশ্বাস আরো বাড়ছে। সংসদের বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বিজেপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করতে পারছে না। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে তারা অনড়।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সরকার একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে। এটা দেশবাসী ভালো চোখে নেয়নি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দাবি করছে দেশের মানুষ। বিএনপিরও দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন কখনো দেশে কিংবা বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি কেন প্রয়োজন জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাংলাদেশে বড় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ_এতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ এই বড় দুটি দলের মধ্যে আস্থাহীনতার অভাব রয়েছে। একে অন্যকে বিশ্বাস করছে না। আর এই আস্থাহীনতার কারণেই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির অধীনে নির্বাচন দরকার।'
ড. মোশাররফ বলেন, 'তিয়াত্তর সালে আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে নির্বাচন করে ২৯৫টির মতো আসন পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে পরে বাকশাল গঠন করল। মাত্র চারটি পত্রিকা রেখে সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই থেকেই আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের ওপর সাধারণ মানুষের আর কোনো আস্থা নেই। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হবে_এমনটি মনে করে না কেউ। ক্ষমতাসীন দল সেই আস্থা অর্জন করতে পারেনি। পারস্পরিক আস্থাহীনতার কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প কিছু নেই।'
বড় দুই দলের মধ্যে সমঝোতার কোনো পথ আছে কি না, জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে মোশাররফ বলেন, 'আইন করে, হাইকোর্টের ভয় দেখিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতির মাধ্যমেই রাজনীতির সব সমস্যার সমাধান করতে হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার মন খোলাসা করে কোনো সমস্যার সমাধান চায় না। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা গায়ের জোরে ও ধমক দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে চায়। এটা কখনো সম্ভব নয়।'
নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে সরকারের আগ্রহের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. মোশাররফ বলেন, 'বড় দুই দলের মধ্যে যে দূরত্ব বাড়ছে, তাতে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করলেও আওয়ামী লীগকে কেউ বিশ্বাস করবে না।' তিনি আরো বলেন, 'ভারতের নির্বাচন কমিশন অনেক বেশি শক্তিশালী। ভারতের মতো অবস্থায় যেতে আরো ২০-৩০ বছর সময় লাগবে। আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড বলতে কিছু নেই। তাই কমিশনকে শক্তিশালী করলেও কোনো লাভ হবে না। কমিশন সব সময় সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কার্যক্রম চালায়। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং থানা কিংবা উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওরা থাকেন নির্বাচনী দায়িত্বে। তাঁরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশ আসে, তা বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট থাকেন।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এ জন্যই সংবিধান সংশোধন করে তড়িঘড়ি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে সরকার।'
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিএনপি। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অবস্থা হয়েছে তার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। তাই হঠাৎ আওয়ামী লীগের মাথায় কূটকৌশল এল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করতে হবে। উচ্চ আদালতের রায়েও বলা হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি অন্তত আরো দুটি টার্ম থাকতে পারে। সংসদে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। আওয়ামী লীগ এ নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা করেনি। একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। এখন তারা নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করে কমিশনের অধীনে নির্বাচন করার কথা বলছে।'
এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই। তাই বিএনপি কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না। দেশের মানুষও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়।'
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি কেন প্রয়োজন জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বাংলাদেশে বড় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ_এতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ এই বড় দুটি দলের মধ্যে আস্থাহীনতার অভাব রয়েছে। একে অন্যকে বিশ্বাস করছে না। আর এই আস্থাহীনতার কারণেই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির অধীনে নির্বাচন দরকার।'
ড. মোশাররফ বলেন, 'তিয়াত্তর সালে আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে নির্বাচন করে ২৯৫টির মতো আসন পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে পরে বাকশাল গঠন করল। মাত্র চারটি পত্রিকা রেখে সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই থেকেই আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের ওপর সাধারণ মানুষের আর কোনো আস্থা নেই। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হবে_এমনটি মনে করে না কেউ। ক্ষমতাসীন দল সেই আস্থা অর্জন করতে পারেনি। পারস্পরিক আস্থাহীনতার কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প কিছু নেই।'
বড় দুই দলের মধ্যে সমঝোতার কোনো পথ আছে কি না, জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে মোশাররফ বলেন, 'আইন করে, হাইকোর্টের ভয় দেখিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতির মাধ্যমেই রাজনীতির সব সমস্যার সমাধান করতে হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার মন খোলাসা করে কোনো সমস্যার সমাধান চায় না। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা গায়ের জোরে ও ধমক দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে চায়। এটা কখনো সম্ভব নয়।'
নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে সরকারের আগ্রহের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ড. মোশাররফ বলেন, 'বড় দুই দলের মধ্যে যে দূরত্ব বাড়ছে, তাতে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করলেও আওয়ামী লীগকে কেউ বিশ্বাস করবে না।' তিনি আরো বলেন, 'ভারতের নির্বাচন কমিশন অনেক বেশি শক্তিশালী। ভারতের মতো অবস্থায় যেতে আরো ২০-৩০ বছর সময় লাগবে। আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড বলতে কিছু নেই। তাই কমিশনকে শক্তিশালী করলেও কোনো লাভ হবে না। কমিশন সব সময় সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কার্যক্রম চালায়। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং থানা কিংবা উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওরা থাকেন নির্বাচনী দায়িত্বে। তাঁরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশ আসে, তা বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট থাকেন।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অন্য কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এ জন্যই সংবিধান সংশোধন করে তড়িঘড়ি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে সরকার।'
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিএনপি। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে অবস্থা হয়েছে তার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। তাই হঠাৎ আওয়ামী লীগের মাথায় কূটকৌশল এল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করতে হবে। উচ্চ আদালতের রায়েও বলা হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি অন্তত আরো দুটি টার্ম থাকতে পারে। সংসদে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। আওয়ামী লীগ এ নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা করেনি। একতরফাভাবে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। এখন তারা নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করে কমিশনের অধীনে নির্বাচন করার কথা বলছে।'
এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই। তাই বিএনপি কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না। দেশের মানুষও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়।'
No comments