সাহসী শিক্ষকের দেখানো পথ
একজন নীতিমান সাহসী মানুষ হাসপাতালে মৃত্যুর আগের দরজায় অচেতন হয়ে আছেন, আর এলাকাজুড়ে উড়ছে প্রতিবাদের কালো পতাকা। সবার হয়ে তিনি একাই প্রতিবাদের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাই সন্ত্রাসীদের হাতে একাই তিনি প্রহূত হয়েছেন। বখাটেদের উত্ত্যক্ত করার কবল থেকে ছাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষকের এই মর্মান্তিক পরিণতিই বলে দিচ্ছে, ইভ টিজিং আর সন্ত্রাস সমাজজীবনকে কতটা আঘাত করছে। যে আঘাতে নাটোরের লোকমানপুর কলেজের শিক্ষক মিজানুর রহমান আহত, সেই আঘাত নারীর নিরাপত্তা এবং অভিভাবকের অসহায়তাকেও আহত করে রেখে গিয়েছে এবং তুলে ধরেছে বখাটে ও নারী নির্যাতনকারী যুবকদের বাড়াবাড়ির অসহনীয় অবস্থা।
ইভ টিজিংয়ের ঘটনা গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে কিছুটা সরে গেলেও সারা দেশেই এর উৎপাত তেমন কমেনি। বিভিন্ন বয়সের নারীদের মধ্যে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্রীরাই প্রধানত বখাটেদের অশুভ নিশানায় পড়ছে এবং মৌখিক ও শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাসের ঘটনাও। লোকমানপুরের কলেজশিক্ষক মিজানুর রহমানই শুধু নন, মাগুরায় এক প্রাথমিক শিক্ষককেও প্রতিবাদ করার অপরাধে বখাটেদের সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছে। এ রকম ঘটনা অজস্র।প্রায় প্রতিটি ঘটনায়ই দেখা যাচ্ছে, নারীদের উত্ত্যক্ত করায় জড়িত ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তারা হয় ক্ষমতাসীন দলের, নতুবা কোনো ক্ষমতাবান গোষ্ঠী কিংবা বিরোধী দলের সঙ্গে জড়িত। রাজনীতি ও ক্ষমতাবানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ই তাদের বেপরোয়া করে তোলে। তারই শিকার হচ্ছে উঠতি বয়সের মেয়েরা এবং তাদের অভিভাবক কিংবা তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসা আত্মীয়স্বজন-শিক্ষক-বন্ধুরা। সমস্যার উৎসটি যখন চিহ্নিত, তখন এর প্রতিকার না হওয়া স্পষ্টতই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা। গত বছর থেকেই সমস্যাটি একনাগাড়ে চলতে থাকলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের টনক না নড়া দুঃখজনক।ইভ টিজিং রোধে আইন করে শাস্তির ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ যদি দায়িত্বশীল না হয়, তাহলে আইনের হাত অপরাধীকে স্পর্শ করবে কীভাবে? বখাটেরা যারাই হোক, ক্ষমতার প্রশ্রয় ছাড়া তারা অপরাধ করে যেতে পারত না। সুতরাং প্রথম করণীয়টা ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকেই প্রত্যাশিত যে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দায়ভার দল নেবে না। দ্বিতীয়ত, পুলিশকে এদের ব্যাপারে কঠোর হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দরকার। তৃতীয় দায়িত্বটি সমাজভুক্ত সবার। রাজনৈতিক দল, পুলিশ এবং অভিভাবক মহল একযোগে কাজ করলে ইভ টিজিংয়ের মতো উপদ্রব থেকে নারীদের মুক্ত করা খুব কঠিন হবে না। শিক্ষক মিজানুর রহমানের সাহসিকতা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকেই।
ইভ টিজিংয়ের ঘটনা গণমাধ্যমের মনোযোগ থেকে কিছুটা সরে গেলেও সারা দেশেই এর উৎপাত তেমন কমেনি। বিভিন্ন বয়সের নারীদের মধ্যে, বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্রীরাই প্রধানত বখাটেদের অশুভ নিশানায় পড়ছে এবং মৌখিক ও শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাসের ঘটনাও। লোকমানপুরের কলেজশিক্ষক মিজানুর রহমানই শুধু নন, মাগুরায় এক প্রাথমিক শিক্ষককেও প্রতিবাদ করার অপরাধে বখাটেদের সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছে। এ রকম ঘটনা অজস্র।প্রায় প্রতিটি ঘটনায়ই দেখা যাচ্ছে, নারীদের উত্ত্যক্ত করায় জড়িত ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তারা হয় ক্ষমতাসীন দলের, নতুবা কোনো ক্ষমতাবান গোষ্ঠী কিংবা বিরোধী দলের সঙ্গে জড়িত। রাজনীতি ও ক্ষমতাবানের আশ্রয়-প্রশ্রয়ই তাদের বেপরোয়া করে তোলে। তারই শিকার হচ্ছে উঠতি বয়সের মেয়েরা এবং তাদের অভিভাবক কিংবা তাদের রক্ষায় এগিয়ে আসা আত্মীয়স্বজন-শিক্ষক-বন্ধুরা। সমস্যার উৎসটি যখন চিহ্নিত, তখন এর প্রতিকার না হওয়া স্পষ্টতই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা। গত বছর থেকেই সমস্যাটি একনাগাড়ে চলতে থাকলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের টনক না নড়া দুঃখজনক।ইভ টিজিং রোধে আইন করে শাস্তির ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ যদি দায়িত্বশীল না হয়, তাহলে আইনের হাত অপরাধীকে স্পর্শ করবে কীভাবে? বখাটেরা যারাই হোক, ক্ষমতার প্রশ্রয় ছাড়া তারা অপরাধ করে যেতে পারত না। সুতরাং প্রথম করণীয়টা ক্ষমতাসীন দলের কাছ থেকেই প্রত্যাশিত যে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দায়ভার দল নেবে না। দ্বিতীয়ত, পুলিশকে এদের ব্যাপারে কঠোর হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দরকার। তৃতীয় দায়িত্বটি সমাজভুক্ত সবার। রাজনৈতিক দল, পুলিশ এবং অভিভাবক মহল একযোগে কাজ করলে ইভ টিজিংয়ের মতো উপদ্রব থেকে নারীদের মুক্ত করা খুব কঠিন হবে না। শিক্ষক মিজানুর রহমানের সাহসিকতা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকেই।
No comments