ভয়াবহ খাদ্যসংকটের দিকে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
জাতিসংঘ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, দীর্ঘদিনের খরা ও বন্যার শিকার হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাহায্য কমে যাওয়ায় উত্তর কোরিয়া নতুন করে ভয়াবহ খাদ্যসংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতিসংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘে ওই প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
মহাসচিব মুনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার কমপক্ষে ৩৫ লাখ নারী ও শিশুর জন্য অবিলম্বে ত্রাণ পাঠানো দরকার। তা না হলে তাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়বে। তবে, উত্তর কোরিয়ার একসময়ের খাদ্যশস্যের অন্যতম জোগানদাতা দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, সেখানে খাদ্য-সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত তাদের নেই।
গত শতকের নব্বইয়ের দশকে উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময় দেশটিতে কয়েক লাখ লোক না খেয়ে মারা যায়। কয়েক বছর ধরে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় সেখানে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে গত আগস্টে চীনের সীমান্তসংলগ্ন উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় অতিবৃষ্টিজনিত বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়ায় যে পরিমাণ খাদ্যশস্যের উৎপাদন হয়েছে, এ বছর তার এক-পঞ্চমাংশ উৎপাদন সম্ভব হবে। দেশটির বাৎসরিক খাদ্যশস্যের চাহিদা ৩৫ লাখ টন। এই চাহিদা পূরণ করতে দেশটিকে এ বছর ১১ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে।
ইউনিসেফের উদ্ধৃতি দিয়ে বান কি মুন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৪০ হাজার শিশু অপুষ্টির শিকার হয়। এদের মধ্যে ২৫ হাজার শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হয়। তিনি বলেন, বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার অভাবে সেখানে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে অনেক শিশু মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের সহায়তায় সরকারের পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের অভাবে উত্তর কোরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ লোকের স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি হয় না। কোনো কোনো অঞ্চলে এই হার ৪৫ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়া ইতিপূর্বে উত্তর কোরিয়াকে প্রতিবছর চার লাখ টন চাল ও তিন লাখ টন সার সরবরাহ করত। কিন্তু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটায় ২০০৮ সালে সিউল ওই সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
পরমাণু পরীক্ষার আলামত: একটি মার্কিন স্যাটেলাইটে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষার এলাকায় পরমাণু তৎপরতা বাড়ানোর আলামত ধরা পড়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সূত্র দাবি করেছে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার একটি দৈনিকের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া তৃতীয়বারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
মহাসচিব মুনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার কমপক্ষে ৩৫ লাখ নারী ও শিশুর জন্য অবিলম্বে ত্রাণ পাঠানো দরকার। তা না হলে তাদের অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়বে। তবে, উত্তর কোরিয়ার একসময়ের খাদ্যশস্যের অন্যতম জোগানদাতা দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, সেখানে খাদ্য-সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা আপাতত তাদের নেই।
গত শতকের নব্বইয়ের দশকে উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। সে সময় দেশটিতে কয়েক লাখ লোক না খেয়ে মারা যায়। কয়েক বছর ধরে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় সেখানে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে গত আগস্টে চীনের সীমান্তসংলগ্ন উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় অতিবৃষ্টিজনিত বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়ায় যে পরিমাণ খাদ্যশস্যের উৎপাদন হয়েছে, এ বছর তার এক-পঞ্চমাংশ উৎপাদন সম্ভব হবে। দেশটির বাৎসরিক খাদ্যশস্যের চাহিদা ৩৫ লাখ টন। এই চাহিদা পূরণ করতে দেশটিকে এ বছর ১১ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে।
ইউনিসেফের উদ্ধৃতি দিয়ে বান কি মুন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৪০ হাজার শিশু অপুষ্টির শিকার হয়। এদের মধ্যে ২৫ হাজার শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হয়। তিনি বলেন, বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার অভাবে সেখানে শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে অনেক শিশু মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে।
জাতিসংঘের সহায়তায় সরকারের পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের অভাবে উত্তর কোরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ লোকের স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি হয় না। কোনো কোনো অঞ্চলে এই হার ৪৫ শতাংশ।
দক্ষিণ কোরিয়া ইতিপূর্বে উত্তর কোরিয়াকে প্রতিবছর চার লাখ টন চাল ও তিন লাখ টন সার সরবরাহ করত। কিন্তু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটায় ২০০৮ সালে সিউল ওই সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
পরমাণু পরীক্ষার আলামত: একটি মার্কিন স্যাটেলাইটে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষার এলাকায় পরমাণু তৎপরতা বাড়ানোর আলামত ধরা পড়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সূত্র দাবি করেছে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার একটি দৈনিকের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া তৃতীয়বারের মতো পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
No comments