ম্যানইউরই থাকলেন রুনি
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢোকার পরই স্বাগত প্রচ্ছদে লালচে আভা ছড়ানো সব ছবি। সাফল্যের উদ্যাপন। অনেকেই আছেন, কেবল নেই ওয়েইন রুনি! তবে কি...। ‘ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন’ লিংকে ক্লিক করার পর ভুল ভাঙবে। অ্যালেক্স ফার্গুসন মুখে তাঁর সেই বিরল হাসিটি নিয়ে উপস্থিত। পাশেই ওয়েইন রুনি, মুখে হাসি তাঁরও। রুনির কাঁধে ফার্গুসনের হাত—যে হাত স্নেহের, বন্ধুতার। ছবিটার নিচে লেখা বাক্যটি না লিখলেও চলত—রুনি থেকে যাচ্ছেন!
ঠিক তাই। আকস্মিকভাবে মত পাল্টে গতকাল চুক্তি সই করেছেন রুনি। ম্যানইউর সঙ্গে ছয় বছরের সম্পর্কটাকে ১১ বছরে টেনে নেওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন। ২০০৪ সালে ম্যানইউতে আসা এই স্ট্রাইকার ওল্ড ট্রাফোর্ডে থেকে যাচ্ছেন ২০১৫ পর্যন্ত। এমনটা যে হবে—কাল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত কল্পনাও করা যায়নি। যে খবরটির শিরোনামে তাই ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করছে ‘শক ইউটার্ন’ শব্দবন্ধ।
চমকে যাওয়ার মতোই ব্যাপার। সামান্য চোখ তুলে তাকানো ফার্গুসন সহ্য করেন না। অনেক রথী-মহারথীকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছেন ম্যানইউ থেকে। তা ছাড়া রুনির মন্তব্য, ম্যানইউ খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়া মিলে তাঁর ক্লাব ছাড়া নিশ্চিতই ধরে নেওয়া হয়েছিল। পরশু রাতে বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা রুনির বাড়ির সামনে গিয়ে জটলাও করেছে। দেওয়া হয়েছে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিলে খুন করে ফেলার হুমকিও।
সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে কাল ম্যানইউর ওয়েবসাইটে দেওয়া হলো বিবৃতি, ‘২০১৫-এর জুন পর্যন্ত চুক্তি করছেন রুনি।’ এরপর রুনিও তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কোচের সঙ্গে কথা বলার পরই সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন, ‘ইউনাইটেডের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। কদিন ধরে কোচ আর মালিকপক্ষের সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছি। তাঁরা আমাকে বুঝিয়েছেন, এটাই আমার আসল জায়গা। বুধবারও বলেছি, কোচ সত্যিই অসাধারণ এক মানুষ। তাঁর বিশ্বাস আর আস্থাই আমাকে থাকার জন্য উৎসাহিত করেছে।’
এই বার্তা দিয়ে কোচের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টাই হয়তো রুনি করেছেন। দুই পক্ষের কথার লড়াই মিডিয়ায় খুব একটা ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়নি। রুনির বিবৃতির পরের অংশে আছে ক্লাবের সবার আস্থা অর্জনের চেষ্টা। আগে চুক্তিতে সই না করার পেছনে তাঁর চাওয়ার কেন্দ্রে ছিল ম্যানইউরই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। সেটি আবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘নতুন চুক্তি আমি এই বিশ্বাস থেকে সই করছি, ক্লাবের সংগঠক, কোচিং কর্মী, বোর্ড সদস্য, মালিকপক্ষ—সবাই ইউনাইটেডের সাফল্যভাস্বর ইতিহাস ধরে রাখার জন্য কাজ করবে। আমি এ লক্ষ্য নিয়েই এই ক্লাবে এসেছিলাম।’
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শূন্যতা এখনো পূরণ করতে পারেনি ম্যানইউ। সেখানে রুনিও চলে গেলে বড় ঝামেলাতেই পড়ে যেত ১৮ বারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এর আগে যা-ই বলে থাকুন, ফার্গুসন এখন স্বস্তিতে, ‘আমি ওকে সব সময়ই বলেছি, ওর জন্য দরজা খোলাই থাকবে। আমি উচ্ছ্বসিত, ওয়েইন থেকে যাচ্ছে। ও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে ইউনাইটেড কত বড় একটা ক্লাব।’
রুনির সামনে এখন চ্যালেঞ্জ সমর্থকদের মন জিতে নেওয়া। ‘এখানে আসার পর থেকেই সমর্থকেরা আমাকে আপন করে নিয়েছে। এখন আমাকে ভালো পারফরম্যান্স করে ওদের মন আবার জয় করতে হবে’—রুনির এই চাওয়াটি অবশ্য আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পূরণ হচ্ছে না। অ্যাঙ্কেলের চোটের কারণে বাইরেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
ঠিক তাই। আকস্মিকভাবে মত পাল্টে গতকাল চুক্তি সই করেছেন রুনি। ম্যানইউর সঙ্গে ছয় বছরের সম্পর্কটাকে ১১ বছরে টেনে নেওয়ার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন। ২০০৪ সালে ম্যানইউতে আসা এই স্ট্রাইকার ওল্ড ট্রাফোর্ডে থেকে যাচ্ছেন ২০১৫ পর্যন্ত। এমনটা যে হবে—কাল স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত কল্পনাও করা যায়নি। যে খবরটির শিরোনামে তাই ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ব্যবহার করছে ‘শক ইউটার্ন’ শব্দবন্ধ।
চমকে যাওয়ার মতোই ব্যাপার। সামান্য চোখ তুলে তাকানো ফার্গুসন সহ্য করেন না। অনেক রথী-মহারথীকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছেন ম্যানইউ থেকে। তা ছাড়া রুনির মন্তব্য, ম্যানইউ খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়া মিলে তাঁর ক্লাব ছাড়া নিশ্চিতই ধরে নেওয়া হয়েছিল। পরশু রাতে বিক্ষুব্ধ সমর্থকেরা রুনির বাড়ির সামনে গিয়ে জটলাও করেছে। দেওয়া হয়েছে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিলে খুন করে ফেলার হুমকিও।
সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে কাল ম্যানইউর ওয়েবসাইটে দেওয়া হলো বিবৃতি, ‘২০১৫-এর জুন পর্যন্ত চুক্তি করছেন রুনি।’ এরপর রুনিও তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কোচের সঙ্গে কথা বলার পরই সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন, ‘ইউনাইটেডের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। কদিন ধরে কোচ আর মালিকপক্ষের সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছি। তাঁরা আমাকে বুঝিয়েছেন, এটাই আমার আসল জায়গা। বুধবারও বলেছি, কোচ সত্যিই অসাধারণ এক মানুষ। তাঁর বিশ্বাস আর আস্থাই আমাকে থাকার জন্য উৎসাহিত করেছে।’
এই বার্তা দিয়ে কোচের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টাই হয়তো রুনি করেছেন। দুই পক্ষের কথার লড়াই মিডিয়ায় খুব একটা ভালোভাবে উপস্থাপিত হয়নি। রুনির বিবৃতির পরের অংশে আছে ক্লাবের সবার আস্থা অর্জনের চেষ্টা। আগে চুক্তিতে সই না করার পেছনে তাঁর চাওয়ার কেন্দ্রে ছিল ম্যানইউরই উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। সেটি আবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘নতুন চুক্তি আমি এই বিশ্বাস থেকে সই করছি, ক্লাবের সংগঠক, কোচিং কর্মী, বোর্ড সদস্য, মালিকপক্ষ—সবাই ইউনাইটেডের সাফল্যভাস্বর ইতিহাস ধরে রাখার জন্য কাজ করবে। আমি এ লক্ষ্য নিয়েই এই ক্লাবে এসেছিলাম।’
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শূন্যতা এখনো পূরণ করতে পারেনি ম্যানইউ। সেখানে রুনিও চলে গেলে বড় ঝামেলাতেই পড়ে যেত ১৮ বারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এর আগে যা-ই বলে থাকুন, ফার্গুসন এখন স্বস্তিতে, ‘আমি ওকে সব সময়ই বলেছি, ওর জন্য দরজা খোলাই থাকবে। আমি উচ্ছ্বসিত, ওয়েইন থেকে যাচ্ছে। ও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে ইউনাইটেড কত বড় একটা ক্লাব।’
রুনির সামনে এখন চ্যালেঞ্জ সমর্থকদের মন জিতে নেওয়া। ‘এখানে আসার পর থেকেই সমর্থকেরা আমাকে আপন করে নিয়েছে। এখন আমাকে ভালো পারফরম্যান্স করে ওদের মন আবার জয় করতে হবে’—রুনির এই চাওয়াটি অবশ্য আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পূরণ হচ্ছে না। অ্যাঙ্কেলের চোটের কারণে বাইরেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
No comments