সোমালিয়ায় বিমান ও নৌ অবরোধের আহ্বান
সোমালিয়ার ওপর বিমান ও নৌ অবরোধ আরোপে সমর্থন দেওয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)। একই সঙ্গে সেখানে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এইউর শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনার রামতানি লামামরা নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, অবরোধ আরোপ করা হলে সোমালিয়ায় জলদস্যুতা কমবে এবং সেখানকার বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র পৌঁছানোর পথও বন্ধ হবে।
লামামরা জানান, সোমালিয়ায় বিমান ও নৌ অবরোধ আরোপ এবং আন্তর্জাতিক সেনার সংখ্যা আট হাজার থেকে ২০ হাজারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইউ। এ উদ্যোগ সমর্থন করা এবং সেনাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ও সরঞ্জাম বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমালিয়ার দক্ষিণ ও মধ্যবর্তী অঞ্চল এবং রাজধানী মোগাদিসুর একাংশ বর্তমানে আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত আল-সাহাব বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। তাদের সঙ্গে লড়ছে সরকারি ও এইউর সেনাবাহিনী।
কমিশনার লামামরা বলেন, ‘সোমালিয়ার অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এইউ।’
সোমালিয়ায় ২০ হাজার সেনা ও দুই হাজার পুলিশ মোতায়েনের অনুমতি দেওয়ার জন্য তিনি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান। অবরোধ ও সেনাসংখ্যা বাড়ানোর এইউর এ পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। জাতিসংঘে সোমালিয়ার দূত ওমর জামাল বিবিসিকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে সোমালিয়া একটি নো-ম্যানস ল্যান্ড, যার যা ইচ্ছা তা-ই করছে।’
নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি রুহাকানা রুগুন্ডা বলেন, এইউর আহ্বান ঠিকই আছে, তবে এ নিয়ে আরও ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন আছে।
উগান্ডায় জাতিসংঘ দূত হিসেবে কাজ করছেন রুগুন্ডা। সোমালিয়ায় পাঠানো এইউর বেশির ভাগ সেনা উগান্ডার। সেখানে আরও সেনা পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছে উগান্ডা।
তবে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ অন্য কয়েকটি দেশ সোমালিয়ায় এইউ বাহিনীর জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
এদিকে সোমালিয়ায় জাতিসংঘের সংশ্লিষ্টতা এবং পদক্ষেপ সীমিত হওয়ায় সমালোচনা করেছেন সোমালিয়ার দূত লামামরা।
এক বছর ধরে জিম্মি ব্রিটিশ দম্পতি
সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে এক বছর ধরে জিম্মি আছে এক ব্রিটিশ দম্পতি। আজ শনিবার তাঁদের জিম্মি অবস্থার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। তার পরও তাঁদের উদ্ধারের তৎপরতায় কোনো অগ্রগতি নেই।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর সোমালিয়ার সিসিলিস বন্দরের কাছ থেকে অপহরণ করা হয় পল ও রিশেল চ্যান্ডলারকে। এরপর তাঁদের জিম্মি করে ১০ লাখ মার্কিন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে জলদস্যুরা। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করে।
এইউর শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনার রামতানি লামামরা নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, অবরোধ আরোপ করা হলে সোমালিয়ায় জলদস্যুতা কমবে এবং সেখানকার বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র পৌঁছানোর পথও বন্ধ হবে।
লামামরা জানান, সোমালিয়ায় বিমান ও নৌ অবরোধ আরোপ এবং আন্তর্জাতিক সেনার সংখ্যা আট হাজার থেকে ২০ হাজারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইউ। এ উদ্যোগ সমর্থন করা এবং সেনাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ও সরঞ্জাম বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমালিয়ার দক্ষিণ ও মধ্যবর্তী অঞ্চল এবং রাজধানী মোগাদিসুর একাংশ বর্তমানে আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত আল-সাহাব বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। তাদের সঙ্গে লড়ছে সরকারি ও এইউর সেনাবাহিনী।
কমিশনার লামামরা বলেন, ‘সোমালিয়ার অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এইউ।’
সোমালিয়ায় ২০ হাজার সেনা ও দুই হাজার পুলিশ মোতায়েনের অনুমতি দেওয়ার জন্য তিনি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান। অবরোধ ও সেনাসংখ্যা বাড়ানোর এইউর এ পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। জাতিসংঘে সোমালিয়ার দূত ওমর জামাল বিবিসিকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে সোমালিয়া একটি নো-ম্যানস ল্যান্ড, যার যা ইচ্ছা তা-ই করছে।’
নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি রুহাকানা রুগুন্ডা বলেন, এইউর আহ্বান ঠিকই আছে, তবে এ নিয়ে আরও ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন আছে।
উগান্ডায় জাতিসংঘ দূত হিসেবে কাজ করছেন রুগুন্ডা। সোমালিয়ায় পাঠানো এইউর বেশির ভাগ সেনা উগান্ডার। সেখানে আরও সেনা পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছে উগান্ডা।
তবে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ অন্য কয়েকটি দেশ সোমালিয়ায় এইউ বাহিনীর জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
এদিকে সোমালিয়ায় জাতিসংঘের সংশ্লিষ্টতা এবং পদক্ষেপ সীমিত হওয়ায় সমালোচনা করেছেন সোমালিয়ার দূত লামামরা।
এক বছর ধরে জিম্মি ব্রিটিশ দম্পতি
সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে এক বছর ধরে জিম্মি আছে এক ব্রিটিশ দম্পতি। আজ শনিবার তাঁদের জিম্মি অবস্থার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। তার পরও তাঁদের উদ্ধারের তৎপরতায় কোনো অগ্রগতি নেই।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর সোমালিয়ার সিসিলিস বন্দরের কাছ থেকে অপহরণ করা হয় পল ও রিশেল চ্যান্ডলারকে। এরপর তাঁদের জিম্মি করে ১০ লাখ মার্কিন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে জলদস্যুরা। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করে।
No comments