ইইউ পার্লামেন্টে পাঁচ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি অনুমোদন
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গত বুধবার পাঁচ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে। তবে কয়েকটি দেশ এর বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, পূর্ণ বেতন-ভাতাসহ নারীরা ২০ সপ্তাহের ছুটি ভোগ করলে তাতে করদাতাদের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হবে। অপরদিকে ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, এ বিল অনুমোদনের ফলে দীর্ঘমেয়াদে নারীদের চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হবে।
পার্লামেন্টে বিলটি পড়ে শোনানোর সময়ই ইইউর সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি মাতৃত্বকালীন ছুটি ২০ সপ্তাহ করার পক্ষে রায় দেন। এর আগে এ ছুটির মেয়াদ ছিল ১৪ সপ্তাহ। মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর পাশাপাশি ইইউ প্রতিনিধিরা দুই সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটিও অনুমোদন করেছেন।
পূর্ণ বেতন-ভাতাসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর অন্যতম বিরোধিতাকারী দেশ ব্রিটেন বলেছে, ছুটি বাড়ানোয় তাদের আগের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি খরচ বাড়বে। বছরে যার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ইউরোপের মধ্যে বর্তমানে ব্রিটেনেই সবচেয়ে বেশি ৫২ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর রয়েছে। তবে এ ছুটির কেবল প্রথম ছয় সপ্তাহে ৯০ শতাংশ বেতন পরিশোধ করা হয়। ব্রিটেন বাদে জার্মানিতে ১৪ সপ্তাহ, ফ্রান্সে ১৬ সপ্তাহ ও বেলজিয়ামে ১৫ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর রয়েছে।
পর্তুগালের সমাজতন্ত্রপন্থী নেতা এদিতি এস্ত্রেলা পার্লামেন্টে বলেছেন, মাতৃত্বকালীন ছুটির অবশ্যই গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড থাকা উচিত। সন্তান জন্মদানের কাজকে সমাজের পুরস্কৃত করা উচিত। সমাজ টিকিয়ে রাখতে সন্তানের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, অথচ গুরুত্বপূর্ণ মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন।
এদিকে পার্লামেন্টের কিছু সদস্য আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো হলে দীর্ঘমেয়াদে নারীদের চাকরিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হবে। ব্রিটেনের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এলিজাবেথ লিনি বলেন, ‘আমরা চলমান একটা প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিতে পারি না। পূর্ণ বেতনসহ লম্বা মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হলে ভবিষ্যতে নারীরা চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন।’
আইনজীবী সারাহ হেঙ্কজ বলেন, ‘এর ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সন্তান নেওয়ার সময় আছে—এমন নারীদের চাকরিদানের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হবে।’ ডাচ গ্রিন সদস্য মারজি করনেলিসেন বলেন, ‘আমরা এমন সমাজ চাই না, যেখানে বাবা কেবল উপার্জন করবেন আর মা শুধু সন্তানের দেখাশোনা করবেন।’
মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো-সংক্রান্ত এ বিলটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইইউ পার্লামেন্টের নারী অধিকার রক্ষাবিষয়ক কমিটি চূড়ান্ত করে। প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত এ বিলের ওপর বিতর্কের জন্য এটি এখন প্রতিটি দেশের সরকারের কাছে পাঠানো হবে। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিলটি আবার পার্লামেন্টে তোলা হবে।
এদিকে পার্লামেন্টের সঙ্গে বিরোধিতা করে ইউরোপীয় কমিশন ১৮ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রস্তাব করেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কমিশন এ সুপারিশ করে।
পার্লামেন্টে বিলটি পড়ে শোনানোর সময়ই ইইউর সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি মাতৃত্বকালীন ছুটি ২০ সপ্তাহ করার পক্ষে রায় দেন। এর আগে এ ছুটির মেয়াদ ছিল ১৪ সপ্তাহ। মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর পাশাপাশি ইইউ প্রতিনিধিরা দুই সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটিও অনুমোদন করেছেন।
পূর্ণ বেতন-ভাতাসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর অন্যতম বিরোধিতাকারী দেশ ব্রিটেন বলেছে, ছুটি বাড়ানোয় তাদের আগের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি খরচ বাড়বে। বছরে যার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩৮০ কোটি মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ইউরোপের মধ্যে বর্তমানে ব্রিটেনেই সবচেয়ে বেশি ৫২ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর রয়েছে। তবে এ ছুটির কেবল প্রথম ছয় সপ্তাহে ৯০ শতাংশ বেতন পরিশোধ করা হয়। ব্রিটেন বাদে জার্মানিতে ১৪ সপ্তাহ, ফ্রান্সে ১৬ সপ্তাহ ও বেলজিয়ামে ১৫ সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটি কার্যকর রয়েছে।
পর্তুগালের সমাজতন্ত্রপন্থী নেতা এদিতি এস্ত্রেলা পার্লামেন্টে বলেছেন, মাতৃত্বকালীন ছুটির অবশ্যই গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড থাকা উচিত। সন্তান জন্মদানের কাজকে সমাজের পুরস্কৃত করা উচিত। সমাজ টিকিয়ে রাখতে সন্তানের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, অথচ গুরুত্বপূর্ণ মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন।
এদিকে পার্লামেন্টের কিছু সদস্য আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো হলে দীর্ঘমেয়াদে নারীদের চাকরিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হবে। ব্রিটেনের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এলিজাবেথ লিনি বলেন, ‘আমরা চলমান একটা প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিতে পারি না। পূর্ণ বেতনসহ লম্বা মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হলে ভবিষ্যতে নারীরা চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বেন।’
আইনজীবী সারাহ হেঙ্কজ বলেন, ‘এর ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সন্তান নেওয়ার সময় আছে—এমন নারীদের চাকরিদানের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হবে।’ ডাচ গ্রিন সদস্য মারজি করনেলিসেন বলেন, ‘আমরা এমন সমাজ চাই না, যেখানে বাবা কেবল উপার্জন করবেন আর মা শুধু সন্তানের দেখাশোনা করবেন।’
মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো-সংক্রান্ত এ বিলটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইইউ পার্লামেন্টের নারী অধিকার রক্ষাবিষয়ক কমিটি চূড়ান্ত করে। প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত এ বিলের ওপর বিতর্কের জন্য এটি এখন প্রতিটি দেশের সরকারের কাছে পাঠানো হবে। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিলটি আবার পার্লামেন্টে তোলা হবে।
এদিকে পার্লামেন্টের সঙ্গে বিরোধিতা করে ইউরোপীয় কমিশন ১৮ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রস্তাব করেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কমিশন এ সুপারিশ করে।
No comments