আইপিওর আইনি শর্ত শিথিল করা হলো
পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোম্পানির ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ও শেয়ার ছাড়ার শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) গত মঙ্গলবারের সভায় এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন (বিদ্যমান ও প্রস্তাবিতসহ) ৩০ কোটি টাকা হলে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিটিকে কমপক্ষে ১২ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করতে হবে। তবে এর পরিমাণ কোনোভাবেই বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের কম হতে পারবে না।
অর্থাৎ কোনো কোম্পানির বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা হলে কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে হবে। তার মানে, এর চেয়ে কম মূলধনের কোনো কোম্পানি বাজারে আসতে চাইলে উদ্যোক্তাদের অংশের চেয়ে বেশি শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাধারণত কোনো উদ্যোক্তাই চাইবে না, বেশিসংখ্যক শেয়ারের নিয়ন্ত্রণ অন্যদের হাতে চলে যাক। তাই স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায়, ১৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের নিচে আর কোনো কোম্পানি বাজারে আসছে না।
আবার কোনো কোম্পানির বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং কোম্পানিটির বাজার থেকে তুলতে চায় ১৫ কোটি টাকা—পরিস্থিতি এ রকম হলে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন পাওয়া যাবে না। কারণ এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত মিলে মূলধনের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৬৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে কোম্পানিটিকে ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার শর্তানুযায়ী বাজার থেকে তুলতে হবে ন্যূনতম ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির প্রয়োজনের তুলনায় দেড় কোটি টাকা বেশি সংগ্রহের প্রস্তাব দিলেই কেবল শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন পাওয়া যাবে।
এসইসি বলছে, এ সংশোধনের ফলে বিভিন্ন কোম্পানির আইপিওর অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে জটিলতা ছিল, তা দূর হবে। ফলে বাজারে শেয়ারেরও সরবরাহ বাড়বে। আবার স্বল্প মূলধনের কোম্পানিকে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে নিরুৎসাহিতও করা যাবে।
বাজার-বিশ্লেষকেরা এসইসির এ সংশোধনীকে স্বাগত জানালেও একই বিষয় নিয়ে বারবার নীতি পরিবর্তনের সমালোচনা করেছেন।
এসইসি গত ১১ মার্চ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন কোম্পানির ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের ব্যাপারে কিছু শর্তারোপ করেছিল। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, কোনো কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে চাইলে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন (বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত মিলে) ৪০ কোটি টাকা হতে হবে।
তবে বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত মিলে মূলধন ৭৫ কোটি টাকা হলে বাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে এর ৪০ শতাংশ। একইভাবে ৭৫ কোটি টাকা থেকে ১৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনের ক্ষেত্রে আইপিওর আকার হবে ২৫ শতাংশ বা ৩০ কোটি টাকা, এর মধ্যে যেটি বেশি। মূলধন ১৫০ কোটি টাকার বেশি হলে আইপিওর আকার হবে ১৫ শতাংশ বা ৪০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি হয়, সেটি।
জানা গেছে, এসব শর্ত পূরণ না হওয়ায় বেশ কয়েকটি কোম্পানির আইপিওর প্রস্তাব ঝুলে যায়। দুটি কোম্পানির প্রস্তাব ফিরিয়েও দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, যাতে এসইসির এসব আইনি শর্তই শেয়ার সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এসব কারণে শর্তগুলো শিথিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এরও আগে এসইসি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নতুন কোম্পানির জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৪০ শতাংশ শেয়ারবাজারে ছাড়া বাধ্যতামূলক করেছিল। কিন্তু ব্যাপক সমালোচনার মুখে মন্ত্রণালয় সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) গত মঙ্গলবারের সভায় এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন (বিদ্যমান ও প্রস্তাবিতসহ) ৩০ কোটি টাকা হলে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিটিকে কমপক্ষে ১২ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করতে হবে। তবে এর পরিমাণ কোনোভাবেই বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের কম হতে পারবে না।
অর্থাৎ কোনো কোম্পানির বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি টাকা হলে কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়তে হবে। তার মানে, এর চেয়ে কম মূলধনের কোনো কোম্পানি বাজারে আসতে চাইলে উদ্যোক্তাদের অংশের চেয়ে বেশি শেয়ার বাজারে ছাড়তে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাধারণত কোনো উদ্যোক্তাই চাইবে না, বেশিসংখ্যক শেয়ারের নিয়ন্ত্রণ অন্যদের হাতে চলে যাক। তাই স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া যায়, ১৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের নিচে আর কোনো কোম্পানি বাজারে আসছে না।
আবার কোনো কোম্পানির বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং কোম্পানিটির বাজার থেকে তুলতে চায় ১৫ কোটি টাকা—পরিস্থিতি এ রকম হলে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন পাওয়া যাবে না। কারণ এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত মিলে মূলধনের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১৬৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে কোম্পানিটিকে ১০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার শর্তানুযায়ী বাজার থেকে তুলতে হবে ন্যূনতম ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির প্রয়োজনের তুলনায় দেড় কোটি টাকা বেশি সংগ্রহের প্রস্তাব দিলেই কেবল শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন পাওয়া যাবে।
এসইসি বলছে, এ সংশোধনের ফলে বিভিন্ন কোম্পানির আইপিওর অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে জটিলতা ছিল, তা দূর হবে। ফলে বাজারে শেয়ারেরও সরবরাহ বাড়বে। আবার স্বল্প মূলধনের কোম্পানিকে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে নিরুৎসাহিতও করা যাবে।
বাজার-বিশ্লেষকেরা এসইসির এ সংশোধনীকে স্বাগত জানালেও একই বিষয় নিয়ে বারবার নীতি পরিবর্তনের সমালোচনা করেছেন।
এসইসি গত ১১ মার্চ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নতুন কোম্পানির ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের ব্যাপারে কিছু শর্তারোপ করেছিল। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, কোনো কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে চাইলে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন (বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত মিলে) ৪০ কোটি টাকা হতে হবে।
তবে বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত মিলে মূলধন ৭৫ কোটি টাকা হলে বাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে এর ৪০ শতাংশ। একইভাবে ৭৫ কোটি টাকা থেকে ১৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনের ক্ষেত্রে আইপিওর আকার হবে ২৫ শতাংশ বা ৩০ কোটি টাকা, এর মধ্যে যেটি বেশি। মূলধন ১৫০ কোটি টাকার বেশি হলে আইপিওর আকার হবে ১৫ শতাংশ বা ৪০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি হয়, সেটি।
জানা গেছে, এসব শর্ত পূরণ না হওয়ায় বেশ কয়েকটি কোম্পানির আইপিওর প্রস্তাব ঝুলে যায়। দুটি কোম্পানির প্রস্তাব ফিরিয়েও দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, যাতে এসইসির এসব আইনি শর্তই শেয়ার সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এসব কারণে শর্তগুলো শিথিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
এরও আগে এসইসি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে নতুন কোম্পানির জন্য পরিশোধিত মূলধনের ৪০ শতাংশ শেয়ারবাজারে ছাড়া বাধ্যতামূলক করেছিল। কিন্তু ব্যাপক সমালোচনার মুখে মন্ত্রণালয় সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়।
No comments