সৌদি আরবের কাছে ছয় হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি হবে
গুরুত্বপূর্ণ আরব মিত্র সৌদি আরবের কাছে ছয় হাজার কোটি ডলার দামের অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়। চূড়ান্ত হলে এটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রের এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বিক্রি চুক্তি।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী অ্যান্ড্রু শাপিরো জানান, এ পরিকল্পনার আওতায় সৌদি আরবের কাছে ৮৪টি এফ-১৫ জঙ্গি বিমান, ৭০টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, ৭২টি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার, ৩৬টি হালকা হেলিকপ্টার এবং লেজারচালিত বোমা বিক্রি করা হবে। ৭০টি ব্যবহূত এফ-১৫ বিমান সংস্কার ও নবায়নের কাজও রয়েছে।
শাপিরো সাংবাদিকদের বলেন, মোট বিক্রির পরিমাণ ‘ছয় হাজার কোটি ডলারের বেশি হবে না।’ ওবামা প্রশাসন অস্ত্র বিক্রির এ সিদ্ধান্ত কংগ্রেসকে জানিয়েছে। কংগ্রেসের চুক্তিটি সংশোধন এবং সম্পাদনে বিলম্ব করার ক্ষমতা রয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কংগ্রেসে এটি খুব বেশি বাধার সম্মুখীন হবে বলে তাঁরা মনে করেন না।
আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলা করা সৌদি আরবকে এ বিপুল অস্ত্র বিক্রির অন্যতম উদ্দেশ্য।
চুক্তি সম্পাদনের পর অস্ত্রগুলো সৌদি আরবে পাঠাতে ১৫ থেকে ২০ বছর লাগবে। সহকারী মন্ত্রী অ্যান্ড্রু শাপিরো আরও বলেন, ‘এ ঘোষণার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর জন্য এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হলো যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভারকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব বেশ কিছুদিন থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে এ অস্ত্রচুক্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছিল। তিনি বলেন, ‘এ অস্ত্র দিয়ে সৌদি আরব নিজের প্রতিরক্ষার পূর্ণ ক্ষমতা অর্জন করবে।’
মার্কিন বিমান ও অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এএফপির প্রশ্নের জবাবে ই-মেইলে জানিয়েছে, তারা এ চুক্তির আওতায় দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলার আয় করার প্রত্যাশা করছে। এ প্রকল্পে বোয়িংয়ের ৭৭ হাজার কর্মচারী যুক্ত থাকবে।
গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে এবং ইরানের হুমকি মোকাবিলায় সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলোর সঙ্গে বড় ধরনের অস্ত্রচুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য অনুকূল।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ভার্সবো জানান, এ অস্ত্রচুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদনের পর এটি বাস্তবায়ন করতে ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগবে।
ইতিপূর্বে সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তির সময় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের সমর্থকেরা বিরোধিতা করেছে। তবে অ্যান্ড্রু শাপিরো বলেন, এবার এ চুক্তি নিয়ে কেউ বিরোধিতা করবে বলে তাঁরা মনে করছেন না। তিনি বলেন, সৌদি আরবকে যেসব অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে তা ইসরায়েলের সামরিক সামর্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী অ্যান্ড্রু শাপিরো জানান, এ পরিকল্পনার আওতায় সৌদি আরবের কাছে ৮৪টি এফ-১৫ জঙ্গি বিমান, ৭০টি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, ৭২টি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার, ৩৬টি হালকা হেলিকপ্টার এবং লেজারচালিত বোমা বিক্রি করা হবে। ৭০টি ব্যবহূত এফ-১৫ বিমান সংস্কার ও নবায়নের কাজও রয়েছে।
শাপিরো সাংবাদিকদের বলেন, মোট বিক্রির পরিমাণ ‘ছয় হাজার কোটি ডলারের বেশি হবে না।’ ওবামা প্রশাসন অস্ত্র বিক্রির এ সিদ্ধান্ত কংগ্রেসকে জানিয়েছে। কংগ্রেসের চুক্তিটি সংশোধন এবং সম্পাদনে বিলম্ব করার ক্ষমতা রয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কংগ্রেসে এটি খুব বেশি বাধার সম্মুখীন হবে বলে তাঁরা মনে করেন না।
আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলা করা সৌদি আরবকে এ বিপুল অস্ত্র বিক্রির অন্যতম উদ্দেশ্য।
চুক্তি সম্পাদনের পর অস্ত্রগুলো সৌদি আরবে পাঠাতে ১৫ থেকে ২০ বছর লাগবে। সহকারী মন্ত্রী অ্যান্ড্রু শাপিরো আরও বলেন, ‘এ ঘোষণার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর জন্য এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হলো যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভারকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব বেশ কিছুদিন থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে এ অস্ত্রচুক্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছিল। তিনি বলেন, ‘এ অস্ত্র দিয়ে সৌদি আরব নিজের প্রতিরক্ষার পূর্ণ ক্ষমতা অর্জন করবে।’
মার্কিন বিমান ও অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এএফপির প্রশ্নের জবাবে ই-মেইলে জানিয়েছে, তারা এ চুক্তির আওতায় দুই হাজার ৪০০ কোটি ডলার আয় করার প্রত্যাশা করছে। এ প্রকল্পে বোয়িংয়ের ৭৭ হাজার কর্মচারী যুক্ত থাকবে।
গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে এবং ইরানের হুমকি মোকাবিলায় সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মতো দেশগুলোর সঙ্গে বড় ধরনের অস্ত্রচুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য অনুকূল।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ভার্সবো জানান, এ অস্ত্রচুক্তির চূড়ান্ত অনুমোদনের পর এটি বাস্তবায়ন করতে ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগবে।
ইতিপূর্বে সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তির সময় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের সমর্থকেরা বিরোধিতা করেছে। তবে অ্যান্ড্রু শাপিরো বলেন, এবার এ চুক্তি নিয়ে কেউ বিরোধিতা করবে বলে তাঁরা মনে করছেন না। তিনি বলেন, সৌদি আরবকে যেসব অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে তা ইসরায়েলের সামরিক সামর্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।
No comments