ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাহায্য করতে চান রিচার্ডস
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে তারা সাত নম্বরে, ওয়ানডেতে আটে। স্পনসর ও টাকা-পয়সা নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ঝামেলা হয় নিত্য। ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো ও কাইরন পোলার্ডের মতো শীর্ষ তিন ক্রিকেটার সই করেননি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। অধিনায়কত্ব দিতে হয়েছে ড্যারেন স্যামির মতো অনভিজ্ঞ এক তরুণকে। সব মিলিয়ে ভিভ রিচার্ডসের মনে হচ্ছে, এর চেয়ে অন্ধকার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে আর আসেনি। এই অন্ধকারে আলো হাতে এগিয়ে আসতে চান তিনি—স্বপ্রণোদিত হয়েই জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সোনালি যুগের অবিচ্ছেদ্য অংশ রিচার্ডস বর্তমান দুরবস্থার জন্য দায়ী করেছেন বোর্ডকে, ‘অনেক দিন ধরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়পড়তা মানের দল এবং এতেই তারা খুশি। কিন্তু ঝামেলা হলো, গড়পড়তা মানেই যদি কোনো দল সন্তুষ্ট থাকে তাহলে সেটি ধরে রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের সমস্যা হলো, অতীতে যারা সাফল্য পেয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে তাদের কাজে লাগাতে বোর্ডের কোনো আগ্রহ নেই।’
‘যারা সাফল্য পেয়েছে’ বলে কি রিচার্ডস নিজের দিকেই ইঙ্গিত করছেন? উত্তরটা সরাসরিই দিয়েছেন রিচার্ডস, ‘হ্যাঁ, আমি আমার মতো লোকদের কথাই বোঝাচ্ছি। তারা ভাবতে পারে আমি সমালোচনা করছি, কিন্তু আমি আসলে ইতিবাচকভাবে ভাবছি। আমি সাহায্য করতে চাই। কারণ ক্রিকেট বদলায়নি। প্রযুক্তি বদলেছে, কিন্তু ক্রিকেট মানে এখনো ব্যাট-বলের লড়াই।’ বোর্ডের প্রতি রিচার্ডসের অভিমান থাকার যথেষ্ট কারণ আছে। খেলাটার ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয় তাঁকে। ১২১ টেস্টে ৫০.২৩ গড়ে করেছেন ৮৫৪০ রান, ১৪৭ ওয়ানডেতে ৪৭ গড়ে ৬৭২১ রানের পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন ১২১টি। দারুণ সফল অধিনায়ক হিসেবেও। ৫০ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ের হার শতকরা ৫৪, ১০৫ ওয়ানডেতে জয়ের হার ৬৫.০৪। অথচ একবার কোচ ও প্রধান নির্বাচক হলেও থাকতে পারেননি লম্বা সময়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে খুব বেশি সাহায্য করতে না পারার আক্ষেপ করেছেন অনেকবার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ব্যর্থতার কারণটাও ভালোই জানা আছে রিচার্ডসের, ‘প্রতিভা নিয়ে সমস্যা নেই, সমস্যা আচরণ ও মানসিকতায়। লিভারপুলের দিকে তাকান। ওদের প্রতিভার অভাব নেই, কিন্তু মানসিকতা ঠিক নেই। প্রতিভার দিক থেকে এই দলের সঙ্গে আমার সময়ের পার্থক্য খুব বেশি নয়। সমস্যা প্রতিভাকে পারফরম্যান্সে রূপ দিতে না পারায়। আমি এখানেই দলকে সাহায্য করতে পারি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এখন এটা বুঝলেই হয়!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সোনালি যুগের অবিচ্ছেদ্য অংশ রিচার্ডস বর্তমান দুরবস্থার জন্য দায়ী করেছেন বোর্ডকে, ‘অনেক দিন ধরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়পড়তা মানের দল এবং এতেই তারা খুশি। কিন্তু ঝামেলা হলো, গড়পড়তা মানেই যদি কোনো দল সন্তুষ্ট থাকে তাহলে সেটি ধরে রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের সমস্যা হলো, অতীতে যারা সাফল্য পেয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে তাদের কাজে লাগাতে বোর্ডের কোনো আগ্রহ নেই।’
‘যারা সাফল্য পেয়েছে’ বলে কি রিচার্ডস নিজের দিকেই ইঙ্গিত করছেন? উত্তরটা সরাসরিই দিয়েছেন রিচার্ডস, ‘হ্যাঁ, আমি আমার মতো লোকদের কথাই বোঝাচ্ছি। তারা ভাবতে পারে আমি সমালোচনা করছি, কিন্তু আমি আসলে ইতিবাচকভাবে ভাবছি। আমি সাহায্য করতে চাই। কারণ ক্রিকেট বদলায়নি। প্রযুক্তি বদলেছে, কিন্তু ক্রিকেট মানে এখনো ব্যাট-বলের লড়াই।’ বোর্ডের প্রতি রিচার্ডসের অভিমান থাকার যথেষ্ট কারণ আছে। খেলাটার ইতিহাসের সেরাদের একজন মনে করা হয় তাঁকে। ১২১ টেস্টে ৫০.২৩ গড়ে করেছেন ৮৫৪০ রান, ১৪৭ ওয়ানডেতে ৪৭ গড়ে ৬৭২১ রানের পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন ১২১টি। দারুণ সফল অধিনায়ক হিসেবেও। ৫০ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ের হার শতকরা ৫৪, ১০৫ ওয়ানডেতে জয়ের হার ৬৫.০৪। অথচ একবার কোচ ও প্রধান নির্বাচক হলেও থাকতে পারেননি লম্বা সময়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে খুব বেশি সাহায্য করতে না পারার আক্ষেপ করেছেন অনেকবার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ব্যর্থতার কারণটাও ভালোই জানা আছে রিচার্ডসের, ‘প্রতিভা নিয়ে সমস্যা নেই, সমস্যা আচরণ ও মানসিকতায়। লিভারপুলের দিকে তাকান। ওদের প্রতিভার অভাব নেই, কিন্তু মানসিকতা ঠিক নেই। প্রতিভার দিক থেকে এই দলের সঙ্গে আমার সময়ের পার্থক্য খুব বেশি নয়। সমস্যা প্রতিভাকে পারফরম্যান্সে রূপ দিতে না পারায়। আমি এখানেই দলকে সাহায্য করতে পারি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এখন এটা বুঝলেই হয়!
No comments