রুনিকে ছাড়াই ভাবছেন ফার্গুসন
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার একটু পর শুরু হয়েছিল বৈঠক। কী তার ফলাফল—সেটি জানা যায়নি পরের তিন ঘণ্টায়ও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কি তবে ম্যারাথন সভায় বসল! বসারই কথা। এই জরুরি বৈঠকের বিষয় যে ওয়েইন রুনি ম্যানইউতে থাকছেন কি থাকছেন না।
মিডিয়ায় এ নিয়ে কৌতূহলের পারদ প্রতি মুহূর্তেই চড়ছে। সর্বশেষ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়া নিয়ে অনেক নাটক হয়েছে বলেই হয়তো পরশু কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন জানিয়ে দিয়েছিলেন, রুনিকে নিয়ে নতুন কোনো ‘নাটক’ হতে দেবেন না। গতকালই জানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সেই সিদ্ধান্ত নিতেই ক্লাবের প্রধান নির্বাহী ডেভিড গিলের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন ফার্গুসন। এর আগে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন গিল। দফায় দফায় হওয়া বৈঠকের ফলাফল কিছুই জানানো হয়নি। তবে অচিরেই তা জানানো হবে বলে ক্লাবের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এএফপি, রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
ইংলিশ মিডিয়ার পূর্বাভাস ছিল, ছয় বছরের সম্পর্কের পাট রুনি চুকিয়ে দিচ্ছেন নিশ্চিত! এই ধারণা আরও বদ্ধমূল করেছে পরশু রুনির ব্যক্তিগত বিবৃতি। যাতে তিনি ম্যানইউ ছাড়তে চাওয়ার কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম ভবিষ্যতে বড় মাপের খেলোয়াড়দের যেন আনা হয়। গত সপ্তাহেও ডেভিড গিলের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু আমি যে ধরনের দল চাইছি, সেটার ব্যাপারে তিনি কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।’
ফার্গুসন অবশ্য রুনির বিবৃতির কিছু অংশ নিয়ে তাঁর দ্বিমতের কথা জানিয়েছেন। ম্যানইউর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো শঙ্কাই তিনি দেখছেন না, ‘আমাদের সবকিছু ঠিকই থাকবে। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। ক্লাবের অবকাঠামো দারুণ। আমাদের সঠিক কর্মী, কোচ, সুযোগ্য প্রধান নির্বাহী আছে। ম্যানইউয়ে কোনো সমস্যা নেই।’
ফার্গুসনের দাবি মেনে নিলে এখনো ম্যানইউকে সুখী পরিবার বলেই ধরে নিতে হবে। গত মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৪৪ ম্যাচে ৩৪ গোল করা রুনির অনুপস্থিতি খুব একটা প্রভাব ম্যানইউয়ে পড়বে না বলেই মনে করেন তিনি। প্যাট্রিস এভরা, নানি, ড্যারেন ফ্লেচাররাও রুনির কথায় আহত হয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। এভরা তো বলেই দিয়েছেন, ‘দলের কারও যদি বাকিদের ওপর আস্থা না থাকে, তবে তার দলে থাকাই উচিত নয়।’ বেকহাম-ফন নিস্টলরয়-রোনালদোদের উদাহরণ টেনে ফ্লেচার বলছেন, ‘বড় খেলোয়াড়দের ম্যানইউ ছাড়ার অনেকগুলো উদাহরণ আছে। ম্যানইউ কিন্তু তার পরও সামনেই এগিয়ে গেছে।’
বোঝাই যাচ্ছে, রুনিকে বিদায় দেওয়ার জন্য মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছেন সতীর্থরা। ‘প্রস্তুতি’ চলছে ম্যানইউর ইংলিশ প্রতিপক্ষদের মধ্যেও। অবশ্য কেউ কেউ যেমন আনন্দিত, কেউ আবার শঙ্কায়। ম্যানচেস্টার সিটি আনন্দিত ‘ম্যানইউর দুই দশকের আধিপত্যের অবসান হবে’ বলে। দুঃসময়ের পাকে পড়ে যাওয়া লিভারপুলও আনন্দিত নিশ্চয়ই। তবে একটা শঙ্কাও কাজ করছে তাদের মনেই। রুনি-শূন্যতা পূরণে ম্যানইউ না আবার হাত বাড়ায় ফার্নান্দো তোরেসের দিকে!
মিডিয়ায় এ নিয়ে কৌতূহলের পারদ প্রতি মুহূর্তেই চড়ছে। সর্বশেষ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়া নিয়ে অনেক নাটক হয়েছে বলেই হয়তো পরশু কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন জানিয়ে দিয়েছিলেন, রুনিকে নিয়ে নতুন কোনো ‘নাটক’ হতে দেবেন না। গতকালই জানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সেই সিদ্ধান্ত নিতেই ক্লাবের প্রধান নির্বাহী ডেভিড গিলের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন ফার্গুসন। এর আগে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন গিল। দফায় দফায় হওয়া বৈঠকের ফলাফল কিছুই জানানো হয়নি। তবে অচিরেই তা জানানো হবে বলে ক্লাবের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এএফপি, রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
ইংলিশ মিডিয়ার পূর্বাভাস ছিল, ছয় বছরের সম্পর্কের পাট রুনি চুকিয়ে দিচ্ছেন নিশ্চিত! এই ধারণা আরও বদ্ধমূল করেছে পরশু রুনির ব্যক্তিগত বিবৃতি। যাতে তিনি ম্যানইউ ছাড়তে চাওয়ার কারণ হিসেবে বলেছেন, ‘নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম ভবিষ্যতে বড় মাপের খেলোয়াড়দের যেন আনা হয়। গত সপ্তাহেও ডেভিড গিলের সঙ্গে দেখা করেছি। কিন্তু আমি যে ধরনের দল চাইছি, সেটার ব্যাপারে তিনি কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।’
ফার্গুসন অবশ্য রুনির বিবৃতির কিছু অংশ নিয়ে তাঁর দ্বিমতের কথা জানিয়েছেন। ম্যানইউর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো শঙ্কাই তিনি দেখছেন না, ‘আমাদের সবকিছু ঠিকই থাকবে। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে। ক্লাবের অবকাঠামো দারুণ। আমাদের সঠিক কর্মী, কোচ, সুযোগ্য প্রধান নির্বাহী আছে। ম্যানইউয়ে কোনো সমস্যা নেই।’
ফার্গুসনের দাবি মেনে নিলে এখনো ম্যানইউকে সুখী পরিবার বলেই ধরে নিতে হবে। গত মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৪৪ ম্যাচে ৩৪ গোল করা রুনির অনুপস্থিতি খুব একটা প্রভাব ম্যানইউয়ে পড়বে না বলেই মনে করেন তিনি। প্যাট্রিস এভরা, নানি, ড্যারেন ফ্লেচাররাও রুনির কথায় আহত হয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। এভরা তো বলেই দিয়েছেন, ‘দলের কারও যদি বাকিদের ওপর আস্থা না থাকে, তবে তার দলে থাকাই উচিত নয়।’ বেকহাম-ফন নিস্টলরয়-রোনালদোদের উদাহরণ টেনে ফ্লেচার বলছেন, ‘বড় খেলোয়াড়দের ম্যানইউ ছাড়ার অনেকগুলো উদাহরণ আছে। ম্যানইউ কিন্তু তার পরও সামনেই এগিয়ে গেছে।’
বোঝাই যাচ্ছে, রুনিকে বিদায় দেওয়ার জন্য মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছেন সতীর্থরা। ‘প্রস্তুতি’ চলছে ম্যানইউর ইংলিশ প্রতিপক্ষদের মধ্যেও। অবশ্য কেউ কেউ যেমন আনন্দিত, কেউ আবার শঙ্কায়। ম্যানচেস্টার সিটি আনন্দিত ‘ম্যানইউর দুই দশকের আধিপত্যের অবসান হবে’ বলে। দুঃসময়ের পাকে পড়ে যাওয়া লিভারপুলও আনন্দিত নিশ্চয়ই। তবে একটা শঙ্কাও কাজ করছে তাদের মনেই। রুনি-শূন্যতা পূরণে ম্যানইউ না আবার হাত বাড়ায় ফার্নান্দো তোরেসের দিকে!
No comments