সিইও পদ নিয়ে কেন টানাটানি
নামে কী-ই বা আসে-যায়! কিন্তু ‘পদে’ কিছু একটা আসে-যায় নিশ্চয়ই। নইলে ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ বদলে সেটিকে ‘প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা’ (সিওও) করার চেষ্টা কেন করবে বিসিবির একটা অংশ? ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) গঠনতন্ত্রে নতুন কিছু প্রস্তাব আর বেশ কিছু সংশোধনীর সঙ্গে সিইওর বদলে সিওও পদ প্রবর্তনেরও প্রস্তাব তোলা হবে।
এ নিয়ে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ পরিষ্কার দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পেশাদার ক্রিকেট বোর্ডে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিকল্প নেই এবং সভাপতিসহ বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের একটা অংশও তা-ই মনে করে। কিন্তু আরেকটি অংশ সিওওতেই দেখছে ‘সমাধান’। কিসের সমাধান সেটা অবশ্য আলোচনাসাপেক্ষ। কারণ, সিইও থাকলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁর ওপর বোর্ড কর্মকর্তাদের খবরদারির সুযোগ নেই, সিওও হলে যা অনায়াসে করা হবে। তবে ‘সিইও, নাকি সিওও’ প্রশ্নের আগে ২৪ অক্টোবরের সভা উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে একটি মৌলিক প্রশ্নে—বার্ষিক সাধারণ সভায় কি আদৌ কোনো সংশোধনীর প্রস্তাব তোলা যায়? গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তো সেটা হতে হবে বোর্ডের জরুরি সভায়! বোর্ড সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল কাল পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন, ‘বার্ষিক সভায় সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। গঠণতন্ত্রে যদি কোনো পরিবর্তন আনতেই হয়, আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সিদ্ধান্তের জন্য ইজিএম (জরুরি সাধারণ সভা) ডাকতে হবে।’ বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক পরিচালকও বলেছেন একই কথা।
বার্ষিক সভার বিবরণী কাউন্সিলরদের কাছে আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হলেও সংশোধনী প্রস্তাব ঢাকার কাউন্সিলররাই হাতে পেয়েছেন মাত্র দু-তিন দিন আগে। বোর্ড সভাপতি অবশ্য এর চেয়েও গুরুতর একটা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কাউন্সিলরদের কাছে কার অনুমতি নিয়ে খসড়া সংশোধনী পাঠানো হয়েছে? বোর্ডে এ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আর এটা এজিএমের আলোচ্যসূচিতেও নেই।’
সংশোধনী প্রস্তাবের যে খসড়াটি কাউন্সিলরদের হাতে গেছে, সেটি বিসিবির গঠণতন্ত্র কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান সফিউল আরেফিন স্বাক্ষরিত। সংশোধনী প্রস্তাব জরুরি সভায় তুলতে হয়, এটা মেনেও তিনি বলেছেন, ‘কথা ছিল, একই দিনে এজিএম ও ইজিএম হবে। আমাদের প্রস্তুতিও সেভাবেই ছিল। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক ইজিএম বাতিল করা হয়েছে। তার পরও সদস্যদের অবহিত করতে আমি বার্ষিক সভায় খসড়া সংশোধনীটি তুলব। এরপর হাউস যেটা চায় হবে। বোর্ডের দেওয়া দায়িত্ব তো আমাকে পালন করতে হবে। বার্ষিক সভায় যেকোনো সদস্য প্রয়োজনে জরুরি কোনো বিষয় আলোচনার জন্য তুলতে পারেন, গঠনতন্ত্রে এ কথা বলা আছে।’
সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে বোর্ড সভায় আলোচনা হয়নি—এ বক্তব্যেরও প্রতিবাদ করেছেন সফিউল আরেফিন, ‘অন্তত ছয়-সাতটা সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সর্বশেষ গত ২২ আগস্টের সভার আগে সব পরিচালককে চূড়ান্ত খসড়া সংশোধনীর কপি পাঠিয়ে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। যারা বলছে বোর্ডে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি, তারা যদি প্রমাণ করতে পারে, আমি মিথ্যে বলছি বা ওই খসড়ার একটা লাইন বদলানো হয়েছে, আমি বোর্ডে থাকব না। আর যদি তারা সেটা প্রমাণ না করতে পারে, তাহলে তাদেরও বোর্ডে থাকার নৈতিক অধিকার নেই।’
বিসিবিতে যাঁরাই থাকুন না থাকুন, পেশাদার ক্রিকেটের এই যুগে সিইও থাকাটা খুবই জরুরি। আইসিসিও প্রধান নির্বাহীর ধারণাটিকেই সমর্থন করে বলে প্রতিবছর আইসিসির বোর্ড সভার আগে যে সভাটিতে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সভা। প্রধান পরিচালন কর্মকর্তাদের নয়। সিইও বোর্ডের সিদ্ধান্ত যেমন বাস্তবায়ন করেন, তেমনি তিনি নিজেও কিছু ক্ষমতার অধিকারী থাকেন। অন্যদিকে সিওও পুরোই ‘চাঁদ’। নিজস্ব কোনো আলো নেই, তিনি ‘আলোকিত’ হবেন বোর্ড পরিচালকদের ‘আলো’য়। এমনকি আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের সভায়ও তখন যাবেন কোনো একজন বোর্ড পরিচালক।
কোনো সন্দেহ নেই পরিচালকদের একাংশ সেই ‘আলো’ ফেলতেই বিসিবিতে সিওও আনতে চাচ্ছেন। তবে এ ব্যাপারে সফিউল আরেফিনের ব্যাখ্যা, ‘সিইও বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সংঘাতের আশঙ্কা থাকে। সিইওর সিদ্ধান্ত বোর্ড না মানলে সেটার বৈধতা কী? বিসিবির বিভিন্ন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো চেয়ারম্যানরাই নিয়ে থাকেন। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটের সঙ্গেই সিইও ধারণা যায় না।’ তবে সিওও ধারণার ঘোর বিরোধী বোর্ড সভাপতি মোস্তফা কামাল তাঁর অবস্থানেই অটল, ‘আমি থাকতে বিসিবিতে কখনো সিওও আসবে না। বোর্ড পরিচালকেরা থাকবেন নীতিনির্ধারণে, সিইও এবং তাঁর অফিস সেটা বাস্তবায়ন করবেন—এটাই হয় পেশাদার বোর্ডে। বিসিবিও সেভাবেই চলবে।’
বার্ষিক সভার আগে দ্বন্দ্বটা প্রকাশ্যে এলেও ‘সিইও, না সিওও’ প্রশ্নে অনেক দিন ধরেই বিভক্ত বিসিবি। নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে যে আড়াই বছরের মতো লাগল, সেটারও একটা বড় কারণ এই দ্বন্দ্ব।
এ নিয়ে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ পরিষ্কার দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পেশাদার ক্রিকেট বোর্ডে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিকল্প নেই এবং সভাপতিসহ বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের একটা অংশও তা-ই মনে করে। কিন্তু আরেকটি অংশ সিওওতেই দেখছে ‘সমাধান’। কিসের সমাধান সেটা অবশ্য আলোচনাসাপেক্ষ। কারণ, সিইও থাকলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁর ওপর বোর্ড কর্মকর্তাদের খবরদারির সুযোগ নেই, সিওও হলে যা অনায়াসে করা হবে। তবে ‘সিইও, নাকি সিওও’ প্রশ্নের আগে ২৪ অক্টোবরের সভা উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে একটি মৌলিক প্রশ্নে—বার্ষিক সাধারণ সভায় কি আদৌ কোনো সংশোধনীর প্রস্তাব তোলা যায়? গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তো সেটা হতে হবে বোর্ডের জরুরি সভায়! বোর্ড সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল কাল পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন, ‘বার্ষিক সভায় সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। গঠণতন্ত্রে যদি কোনো পরিবর্তন আনতেই হয়, আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সিদ্ধান্তের জন্য ইজিএম (জরুরি সাধারণ সভা) ডাকতে হবে।’ বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক পরিচালকও বলেছেন একই কথা।
বার্ষিক সভার বিবরণী কাউন্সিলরদের কাছে আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হলেও সংশোধনী প্রস্তাব ঢাকার কাউন্সিলররাই হাতে পেয়েছেন মাত্র দু-তিন দিন আগে। বোর্ড সভাপতি অবশ্য এর চেয়েও গুরুতর একটা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কাউন্সিলরদের কাছে কার অনুমতি নিয়ে খসড়া সংশোধনী পাঠানো হয়েছে? বোর্ডে এ নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। আর এটা এজিএমের আলোচ্যসূচিতেও নেই।’
সংশোধনী প্রস্তাবের যে খসড়াটি কাউন্সিলরদের হাতে গেছে, সেটি বিসিবির গঠণতন্ত্র কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান সফিউল আরেফিন স্বাক্ষরিত। সংশোধনী প্রস্তাব জরুরি সভায় তুলতে হয়, এটা মেনেও তিনি বলেছেন, ‘কথা ছিল, একই দিনে এজিএম ও ইজিএম হবে। আমাদের প্রস্তুতিও সেভাবেই ছিল। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক ইজিএম বাতিল করা হয়েছে। তার পরও সদস্যদের অবহিত করতে আমি বার্ষিক সভায় খসড়া সংশোধনীটি তুলব। এরপর হাউস যেটা চায় হবে। বোর্ডের দেওয়া দায়িত্ব তো আমাকে পালন করতে হবে। বার্ষিক সভায় যেকোনো সদস্য প্রয়োজনে জরুরি কোনো বিষয় আলোচনার জন্য তুলতে পারেন, গঠনতন্ত্রে এ কথা বলা আছে।’
সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে বোর্ড সভায় আলোচনা হয়নি—এ বক্তব্যেরও প্রতিবাদ করেছেন সফিউল আরেফিন, ‘অন্তত ছয়-সাতটা সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সর্বশেষ গত ২২ আগস্টের সভার আগে সব পরিচালককে চূড়ান্ত খসড়া সংশোধনীর কপি পাঠিয়ে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। যারা বলছে বোর্ডে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি, তারা যদি প্রমাণ করতে পারে, আমি মিথ্যে বলছি বা ওই খসড়ার একটা লাইন বদলানো হয়েছে, আমি বোর্ডে থাকব না। আর যদি তারা সেটা প্রমাণ না করতে পারে, তাহলে তাদেরও বোর্ডে থাকার নৈতিক অধিকার নেই।’
বিসিবিতে যাঁরাই থাকুন না থাকুন, পেশাদার ক্রিকেটের এই যুগে সিইও থাকাটা খুবই জরুরি। আইসিসিও প্রধান নির্বাহীর ধারণাটিকেই সমর্থন করে বলে প্রতিবছর আইসিসির বোর্ড সভার আগে যে সভাটিতে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সভা। প্রধান পরিচালন কর্মকর্তাদের নয়। সিইও বোর্ডের সিদ্ধান্ত যেমন বাস্তবায়ন করেন, তেমনি তিনি নিজেও কিছু ক্ষমতার অধিকারী থাকেন। অন্যদিকে সিওও পুরোই ‘চাঁদ’। নিজস্ব কোনো আলো নেই, তিনি ‘আলোকিত’ হবেন বোর্ড পরিচালকদের ‘আলো’য়। এমনকি আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের সভায়ও তখন যাবেন কোনো একজন বোর্ড পরিচালক।
কোনো সন্দেহ নেই পরিচালকদের একাংশ সেই ‘আলো’ ফেলতেই বিসিবিতে সিওও আনতে চাচ্ছেন। তবে এ ব্যাপারে সফিউল আরেফিনের ব্যাখ্যা, ‘সিইও বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সংঘাতের আশঙ্কা থাকে। সিইওর সিদ্ধান্ত বোর্ড না মানলে সেটার বৈধতা কী? বিসিবির বিভিন্ন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো চেয়ারম্যানরাই নিয়ে থাকেন। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটের সঙ্গেই সিইও ধারণা যায় না।’ তবে সিওও ধারণার ঘোর বিরোধী বোর্ড সভাপতি মোস্তফা কামাল তাঁর অবস্থানেই অটল, ‘আমি থাকতে বিসিবিতে কখনো সিওও আসবে না। বোর্ড পরিচালকেরা থাকবেন নীতিনির্ধারণে, সিইও এবং তাঁর অফিস সেটা বাস্তবায়ন করবেন—এটাই হয় পেশাদার বোর্ডে। বিসিবিও সেভাবেই চলবে।’
বার্ষিক সভার আগে দ্বন্দ্বটা প্রকাশ্যে এলেও ‘সিইও, না সিওও’ প্রশ্নে অনেক দিন ধরেই বিভক্ত বিসিবি। নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে যে আড়াই বছরের মতো লাগল, সেটারও একটা বড় কারণ এই দ্বন্দ্ব।
No comments