সুখ চাহি নাই, জয় জয় চেয়েছিনু -এবিএম মূসা
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে কেন কিছুই লিখিনি, অনেকে এই প্রশ্ন করেছেন। বস্তুত কিছু না লিখলেও তাঁর দিল্লি যাওয়ার আগে আমি একটি টেলিভিশন টক-শোতে বলেছি, ‘শেখ হাসিনা দেনা-পাওনার হিসাব মেলাতে নয়, পুরোনো সম্পর্ক ঝালাই করতে যাচ্ছেন।’ এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত বা হতাশা ব্যক্ত করার কারণ খুঁজে পাইনি। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এক জমানায় সম্পর্কের টানাপোড়েন চলে, আবার রাষ্ট্রীয় বা সরকারব্যবস্থার পরিবর্তনের পর নতুন করে সম্প্রীতি গড়ে ওঠে। সর্বোপরি দুটি রাষ্ট্র পররাষ্ট্রনীতিতে নিজ দেশের স্বার্থ ও জনগণের মঙ্গলামঙ্গলকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তখন দেনা-পাওনা, কী দিলাম আর পেলাম তার হিসাব মুখ্য হয়ে দেখা দেয়। তাই আমি বলেছি, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উষ্ণ করার জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন, কিছু দিতে বা নিতে নয়। বাংলাদেশের অনেক কিছু পাওয়ার আছে ভারতের কাছে। আবার ভারতও বাংলাদেশের কাছে বিনিময়ে কিছু চাইতে পারে। সে সবের একটি প্রাথমিক সুরাহা অথবা পথটি প্রশস্ত হয়েছে এই সফরে।
প্রধানমন্ত্রী সফর শেষে ঢাকায় এসে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেখানে সাংবাদিক-সম্পাদকদের হাতে দুটি লিখিত বক্তব্যপত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নিজেই একটি পড়ে বললেন, ‘জয়ী আমি আজ।’ তাঁর পঠিত দিল্লি সফর-সম্পর্কীয় পরিপত্রটি শুনে ও পড়ে পুরোপুরি বুঝতে পারলাম না আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে জয়-পরাজয়ের বিষয়টি এল কেন! তিনি যেসব চুক্তি আর সমঝোতার কথা বলেছেন তার পূর্ণ বিবরণ জানা নেই। তবে যা জেনেছি তাতে বুঝলাম সেসবের বাস্তবায়ন সুদূরপ্রসারী, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাতে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। তাই দূর ভবিষ্যতে যখন চুক্তির বিস্তারিত প্রভাবটি বুঝতে পারব, সমঝোতাগুলোর বাস্তব প্রয়োগ দৃশ্যমান হবে, তখনই শেখ হাসিনার ভাষণের শুরুর বাক্যটি ‘জয়! জয় চেয়েছিনু, জয়ী হয়েছি আজ’ উদ্ধৃতিটির মর্মার্থ পরস্ফুিট হবে। আবার পরদিন বিরোধীদলীয় নেত্রী সংবাদ সম্মেলন করে যে বললেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ বেচে এসেছেন, সবই ভারতকে দিয়ে এসেছেন’, এই বক্তব্যও দুর্বোধ্য মনে হয়েছে। কারণ তিনি বিক্রীত পসরার বিবরণ দিতে পারেননি। বরং বলেছেন, কী প্রক্রিয়ায় কী বেচা হয়েছে তা জানেন না। মোট কথা, শেখ হাসিনার পাওয়ার উত্ফুল্ল আর বেগম জিয়ার হারানোর মনোবেদনা—কোনোটিই দেশের সাধারণ মানুষের মনে আপাতত রেখাপাত করেছে এমনটি মনে হচ্ছে না।
মূল প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁর ভারত সফরের উদ্দেশ্য যদি ছিল অর্জন তবে তা যতটুকু হয়েছে অথবা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা যদি ‘জয়’ বলেন, এই বিজয় অর্জনে বাংলাদেশের মানুষ সুখী হবে তো? সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তিনি রবিঠাকুরের ‘গান্ধারীর আবেদন’ কবিতার সূচনার একটি পঙিক্ত উদ্ধৃত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই কবিতাংশ উদ্ধৃতিটি আমার কাছে বেখাপ্পা মনে হয়েছে। মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় সৈয়দ আবুল মকসুদ পঙিক্তগুলো উদ্ধৃতির সূচনায় লিখেছেন, ‘যাঁরা রবীন্দ্রনাথ থেকে উদ্ধৃতি দিতে তাঁকে উত্সাহিত করেছেন, তাঁরা সঠিক কাজটি করেননি।’ আমি তাঁর সঙ্গে একমত, পঙিক্ত বাছাই সঠিক হয়নি। প্রথমত, বক্তব্যটি মহাভারতের এক নম্বর ভিলেন একজন খলনায়ক দুর্যোধনের—তাঁর জয়ের বড়াইয়ের দৃষ্টান্ত অবশ্যই অনুকরণীয় নয়। দ্বিতীয়ত, সৈয়দ মকসুদ পঙিক্তটি গুরুত্বপূর্ণ প্রারম্ভ বাক্যটি বাদ দিয়ে উদ্ধৃত করেছেন। বাক্যটি হচ্ছে, ‘সুখ চাহি নাই মহারাজ—জয়!—জয় চেয়েছিনু।’ এই প্রেক্ষাপটে দুর্জনেরা যদি বলে, প্রধানমন্ত্রী ‘জয়’ করতে গিয়েছিলেন তাই ব্যক্তিগতভাবে ‘জয়ী’ হওয়ার কথা বলেছেন। বাংলাদেশের অন্য অর্জিত ‘সুখের’ বিস্তারিত বিবরণ দেননি। তাই বাংলাদেশের মানুষ ব্যক্তিগত ‘জয়’ আর সামগ্রিক ‘সুখ’কে দুটি ভিন্ন আঙ্গিকে বিচার করবে। ‘জয়’ বলতে বোঝাবে তিনি ভারতের রাষ্ট্রীয় নেতাদের মন জয় করে এসেছেন। তাঁরা সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও প্রীতি উজাড় করে দিয়েছেন এবং পেয়েছেনও। এই পাওয়া কতখানি তা এখনি বোঝা যাচ্ছে না। পরিপূর্ণ প্রাপ্তির জন্য মনে হয় অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, কী পরিমাণ ‘সুখ’ আর কতটুক ‘জয়’ তা পরিমাপ করা যাচ্ছে না। ‘সুখ’ বলতে বুঝি তিস্তার পানির নিশ্চয়তা, টিপাইমুখে বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা বাতিল, বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি, এতদসম্পর্কীয় ভারতীয় সদিচ্ছার প্রকাশ্য নিশ্চয়তা রাখঢাক অপরদিকে বন্দর ব্যবহার করায় অথবা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পণ্য পরিবহনে বাণিজ্যে উভয় পক্ষের সুবিধা, সামান্য পরিমাণ বিদ্যুত্ সরবরাহের নিশ্চয়তা তাহলে সে সবই বাংলাদেশের ‘পাওয়া’র খাতায় পরোক্ষ অর্জন বলেও মনে করা যেতে পারে। কারণ ভারতকে এই দেশে হাজারো কোটি টাকা বিনিয়োগ করেই বন্দর ও যোগাযোগব্যবস্থার অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। ভারতের এই বিনিয়োগ কয়েক শ হাজার কোটি টাকা ঋণের চেয়েও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে।
শুধু উচ্ছ্বাস দিয়ে জনগণের মনে নির্দিষ্ট কোনো ধারণা সৃষ্টি করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীকে এই কারণে বিস্তৃতভাবে ‘জয়’ ব্যাখ্যা করতে হবে। বিরোধী দলের নেত্রীও ‘সব দিয়ে এসেছে’ এমন ঢালাও মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর ‘জয়’ নস্যাত্ করে দিতে পারবেন না। ‘দেশ বেচা’ এখন বস্তাপচা বুলি হয়ে গেছে। আসল সত্যি হচ্ছে, দেশের মানুষকে সব বোঝাতে হলে, চুক্তি আর সমঝোতা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলকে যথাস্থানে মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও বাহাস করতে হবে। পৃথিবীর সব দেশের সরকারই আন্তরাষ্ট্রীয় সব চুক্তি, সমঝোতা, সমস্যা বা সংকট জনপ্রতিনিধিদের কাছেই প্রথমে পেশ করে থাকে। তাই ভাবছিলাম প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর ভারত সফরের ‘জয়’ কিংবা ‘সুখ’ অর্জন বিস্তারিতভাবে সংসদে পেশ করেন তবে কৌশলগতভাবে বিরোধী দলকে সংসদের আলোচনায় অংশ নিতে বাধ্য করে বিপাকে ফেলতে পারবেন। বিরোধী দলও পারবেন সব ‘গেল-গেল’ চিত্কার না করে সরকারের গোপন ঝুড়ি থেকে শেখ হাসিনার ‘জয়’ কতখানি সেই অজানা তথ্য বের করে আনতে। তাই অনুরোধ, বিরোধী দলকে, ফাঁকা বুলি দিয়ে শুধু বিরোধিতার রাজনীতি না করে প্রধানমন্ত্রী ‘সুখ’ না কি ‘জয়’ এনেছেন তা সংসদে এসে ব্যাখ্যা করুন।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।
প্রধানমন্ত্রী সফর শেষে ঢাকায় এসে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেখানে সাংবাদিক-সম্পাদকদের হাতে দুটি লিখিত বক্তব্যপত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নিজেই একটি পড়ে বললেন, ‘জয়ী আমি আজ।’ তাঁর পঠিত দিল্লি সফর-সম্পর্কীয় পরিপত্রটি শুনে ও পড়ে পুরোপুরি বুঝতে পারলাম না আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে জয়-পরাজয়ের বিষয়টি এল কেন! তিনি যেসব চুক্তি আর সমঝোতার কথা বলেছেন তার পূর্ণ বিবরণ জানা নেই। তবে যা জেনেছি তাতে বুঝলাম সেসবের বাস্তবায়ন সুদূরপ্রসারী, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাতে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে। তাই দূর ভবিষ্যতে যখন চুক্তির বিস্তারিত প্রভাবটি বুঝতে পারব, সমঝোতাগুলোর বাস্তব প্রয়োগ দৃশ্যমান হবে, তখনই শেখ হাসিনার ভাষণের শুরুর বাক্যটি ‘জয়! জয় চেয়েছিনু, জয়ী হয়েছি আজ’ উদ্ধৃতিটির মর্মার্থ পরস্ফুিট হবে। আবার পরদিন বিরোধীদলীয় নেত্রী সংবাদ সম্মেলন করে যে বললেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ বেচে এসেছেন, সবই ভারতকে দিয়ে এসেছেন’, এই বক্তব্যও দুর্বোধ্য মনে হয়েছে। কারণ তিনি বিক্রীত পসরার বিবরণ দিতে পারেননি। বরং বলেছেন, কী প্রক্রিয়ায় কী বেচা হয়েছে তা জানেন না। মোট কথা, শেখ হাসিনার পাওয়ার উত্ফুল্ল আর বেগম জিয়ার হারানোর মনোবেদনা—কোনোটিই দেশের সাধারণ মানুষের মনে আপাতত রেখাপাত করেছে এমনটি মনে হচ্ছে না।
মূল প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁর ভারত সফরের উদ্দেশ্য যদি ছিল অর্জন তবে তা যতটুকু হয়েছে অথবা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তা যদি ‘জয়’ বলেন, এই বিজয় অর্জনে বাংলাদেশের মানুষ সুখী হবে তো? সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই তিনি রবিঠাকুরের ‘গান্ধারীর আবেদন’ কবিতার সূচনার একটি পঙিক্ত উদ্ধৃত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই কবিতাংশ উদ্ধৃতিটি আমার কাছে বেখাপ্পা মনে হয়েছে। মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় সৈয়দ আবুল মকসুদ পঙিক্তগুলো উদ্ধৃতির সূচনায় লিখেছেন, ‘যাঁরা রবীন্দ্রনাথ থেকে উদ্ধৃতি দিতে তাঁকে উত্সাহিত করেছেন, তাঁরা সঠিক কাজটি করেননি।’ আমি তাঁর সঙ্গে একমত, পঙিক্ত বাছাই সঠিক হয়নি। প্রথমত, বক্তব্যটি মহাভারতের এক নম্বর ভিলেন একজন খলনায়ক দুর্যোধনের—তাঁর জয়ের বড়াইয়ের দৃষ্টান্ত অবশ্যই অনুকরণীয় নয়। দ্বিতীয়ত, সৈয়দ মকসুদ পঙিক্তটি গুরুত্বপূর্ণ প্রারম্ভ বাক্যটি বাদ দিয়ে উদ্ধৃত করেছেন। বাক্যটি হচ্ছে, ‘সুখ চাহি নাই মহারাজ—জয়!—জয় চেয়েছিনু।’ এই প্রেক্ষাপটে দুর্জনেরা যদি বলে, প্রধানমন্ত্রী ‘জয়’ করতে গিয়েছিলেন তাই ব্যক্তিগতভাবে ‘জয়ী’ হওয়ার কথা বলেছেন। বাংলাদেশের অন্য অর্জিত ‘সুখের’ বিস্তারিত বিবরণ দেননি। তাই বাংলাদেশের মানুষ ব্যক্তিগত ‘জয়’ আর সামগ্রিক ‘সুখ’কে দুটি ভিন্ন আঙ্গিকে বিচার করবে। ‘জয়’ বলতে বোঝাবে তিনি ভারতের রাষ্ট্রীয় নেতাদের মন জয় করে এসেছেন। তাঁরা সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও প্রীতি উজাড় করে দিয়েছেন এবং পেয়েছেনও। এই পাওয়া কতখানি তা এখনি বোঝা যাচ্ছে না। পরিপূর্ণ প্রাপ্তির জন্য মনে হয় অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, কী পরিমাণ ‘সুখ’ আর কতটুক ‘জয়’ তা পরিমাপ করা যাচ্ছে না। ‘সুখ’ বলতে বুঝি তিস্তার পানির নিশ্চয়তা, টিপাইমুখে বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা বাতিল, বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্যতা বৃদ্ধি, এতদসম্পর্কীয় ভারতীয় সদিচ্ছার প্রকাশ্য নিশ্চয়তা রাখঢাক অপরদিকে বন্দর ব্যবহার করায় অথবা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পণ্য পরিবহনে বাণিজ্যে উভয় পক্ষের সুবিধা, সামান্য পরিমাণ বিদ্যুত্ সরবরাহের নিশ্চয়তা তাহলে সে সবই বাংলাদেশের ‘পাওয়া’র খাতায় পরোক্ষ অর্জন বলেও মনে করা যেতে পারে। কারণ ভারতকে এই দেশে হাজারো কোটি টাকা বিনিয়োগ করেই বন্দর ও যোগাযোগব্যবস্থার অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। ভারতের এই বিনিয়োগ কয়েক শ হাজার কোটি টাকা ঋণের চেয়েও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে।
শুধু উচ্ছ্বাস দিয়ে জনগণের মনে নির্দিষ্ট কোনো ধারণা সৃষ্টি করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীকে এই কারণে বিস্তৃতভাবে ‘জয়’ ব্যাখ্যা করতে হবে। বিরোধী দলের নেত্রীও ‘সব দিয়ে এসেছে’ এমন ঢালাও মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর ‘জয়’ নস্যাত্ করে দিতে পারবেন না। ‘দেশ বেচা’ এখন বস্তাপচা বুলি হয়ে গেছে। আসল সত্যি হচ্ছে, দেশের মানুষকে সব বোঝাতে হলে, চুক্তি আর সমঝোতা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলকে যথাস্থানে মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও বাহাস করতে হবে। পৃথিবীর সব দেশের সরকারই আন্তরাষ্ট্রীয় সব চুক্তি, সমঝোতা, সমস্যা বা সংকট জনপ্রতিনিধিদের কাছেই প্রথমে পেশ করে থাকে। তাই ভাবছিলাম প্রধানমন্ত্রী যদি তাঁর ভারত সফরের ‘জয়’ কিংবা ‘সুখ’ অর্জন বিস্তারিতভাবে সংসদে পেশ করেন তবে কৌশলগতভাবে বিরোধী দলকে সংসদের আলোচনায় অংশ নিতে বাধ্য করে বিপাকে ফেলতে পারবেন। বিরোধী দলও পারবেন সব ‘গেল-গেল’ চিত্কার না করে সরকারের গোপন ঝুড়ি থেকে শেখ হাসিনার ‘জয়’ কতখানি সেই অজানা তথ্য বের করে আনতে। তাই অনুরোধ, বিরোধী দলকে, ফাঁকা বুলি দিয়ে শুধু বিরোধিতার রাজনীতি না করে প্রধানমন্ত্রী ‘সুখ’ না কি ‘জয়’ এনেছেন তা সংসদে এসে ব্যাখ্যা করুন।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।
No comments