লিগে নিলামের বিপক্ষে একজোট মুশফিকরা
প্রথমে দেখা মিলল রবিউল ইসলামের। এরপর একে একে শামসুর রহমান, মুশফিকুর রহিম, জুনায়েদ সিদ্দিক। কিছুক্ষণের মধ্যে মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে চলে এলেন জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটার। দলের বাইরে থাকা আরও বেশ কয়েকজনও। শেরেবাংলার ড্রেসিংরুমে সবাই বসলেন ‘জরুরি’ সভায়। ঘণ্টাখানেকের সেই সভা থেকে বেরোনোর পর সবার মুখে কুলুপ। কী নিয়ে হঠাৎ এই সভা, তাতে কী আলোচনা হলো—এ ব্যাপারে কেউই কিছু বলতে রাজি নন। মুশফিকুর রহিম শুধু বললেন, ‘সময় হলেই জানতে পারবেন।’ তবে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের অফিসে গিয়ে তাঁকে নিজেদের দাবির কথা জানিয়ে এসেছেন মুশফিক।
প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও গোপন বৈঠকের আলোচনা অবশ্য খুব একটা গোপন থাকেনি। নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, ক্রিকেটারদের মূল আলোচ্যসূচি ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। লিগ মাঠে গড়ানো নিয়ে একটা শঙ্কা তো আছেই। তবে জুনের মাঝামাঝি শুরু হবে বলে বিসিবির দেওয়া আশ্বাসেই আপাতত ভরসা রাখছেন তাঁরা। নতুন জটিলতা শুরু হয়েছে বিপিএলের মতো করে সম্মানী বেঁধে দেওয়া ও নিলামের পদ্ধতি নিয়ে। প্রস্তাবিত এই নিয়ম মানতে ঘোর আপত্তি ক্রিকেটারদের। বরাবরের মতো ক্লাবের সঙ্গে দর-কষাকষির পদ্ধতিই পছন্দ তাঁদের। সভায় সবাই একমত হয়েছেন যে নিলাম পদ্ধতি চালু করা হলে আন্দোলনের পথ বেছে নেওয়া হবে। সেটা হতে পারে লিগ বর্জন করার মতো কঠিন কিছুও।
প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে অবশ্য এর মধ্যেই এক দফা আন্দোলন করতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। জাতীয় দল যখন জিম্বাবুয়েতে, দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা তখন লিগ শুরুর দাবি নিয়ে মিরপুরে ক্রিকেট বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। বোর্ড সভাপতির আশ্বাসে তখন স্থগিত করা হয়েছিল আন্দোলন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা দাবিটাকে আরও জোরালো করার জন্য তাকিয়ে ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দিকে। সেই আহ্বানে সাড়া দেওয়ার ব্যাপার তো আছেই, অনেকটা নিজেদের তাগিদেও কাল এক হলেন মুশফিকরা। বিপিএলের অর্থ আদায়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়নি বা হচ্ছে না, এমন ক্রিকেটার নেই একজনও। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও সেই চক্করে পড়তে চান না তাঁরা। তাঁদের শঙ্কা, বিপিএলের মতো নিলাম হলে ক্লাবগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুত টাকা পাওয়া যাবে না। ক্লাবগুলোর নিজেদের মধ্যে গোপন সমঝোতার ভয় তো আছেই।
বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এর বাইরে বেশির ভাগ ক্রিকেটারের আয়ের মূল উৎস এই প্রিমিয়ার লিগ। টাকার অঙ্ক কমে যাওয়া বা সেটি পাওয়া নিয়ে সম্ভাব্য অনিশ্চয়তায় তাঁদের উদ্বিগ্ন হওয়াটা তাই স্বাভাবিক। তা ছাড়া একবার নিলাম পদ্ধতি চালু হলে সেটাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে ক্লাবগুলো সেটাকে কাজে লাগিয়ে সম্মানী আরও কমিয়ে দেবে, এই শঙ্কাও আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘গত বছর যে ক্রিকেটার ৪০ লাখ টাকা পেয়েছে, সে কেন এবার ২০ লাখে খেলতে চাইবে? অনেক ক্লাব কর্মকর্তা বলছেন, দুই লাখ টাকার ক্রিকেটার ১০ লাখ টাকা চাইছে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে না নিলেই তো হয়।’
কাল মিরপুরের সভায় জিম্বাবুয়ে সফর করে আসা দলের মাহমুদউল্লাহ, আশরাফুল, সাকিব, তামিম, রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফীস, শাহাদাত, রুবেল, শফিউল, মমিনুলের মতো ক্রিকেটাররা যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন সোহরাওয়ার্দী, রকিবুল, মাহবুবুল, ডলারের মতো জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সভায় উপস্থিত ২০-২২ জন ক্রিকেটার তাঁদের দাবি সংবলিত একটি কাগজেও স্বাক্ষর করেছেন।
কাগজে-কলমে জাতীয় দলের অধিনায়ক না থাকলেও ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি আপাতত মুশফিকই। বোর্ড-প্রধানের সঙ্গে মুশফিকের দেখা করার কথা নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের অস্থায়ী কমিটির সদস্য ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছে মুশফিক। তবে কী নিয়ে কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছি না।’ কী নিয়ে কথা হয়েছে, সেটা অনুমান করতে অবশ্য সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আজ ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বোর্ড-প্রধানের বৈঠক, সেখানে নিশ্চয়ই এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো, যাদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হলো, সেই কোয়াবকে (ক্রিকেটারদের সংগঠন) এখানে সম্পৃক্ত করেননি মুশফিকেরা। ক্রিকেটারদের সভা নিয়ে কিছু জানেন না জানিয়ে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বললেন, ‘আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও গোপন বৈঠকের আলোচনা অবশ্য খুব একটা গোপন থাকেনি। নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, ক্রিকেটারদের মূল আলোচ্যসূচি ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। লিগ মাঠে গড়ানো নিয়ে একটা শঙ্কা তো আছেই। তবে জুনের মাঝামাঝি শুরু হবে বলে বিসিবির দেওয়া আশ্বাসেই আপাতত ভরসা রাখছেন তাঁরা। নতুন জটিলতা শুরু হয়েছে বিপিএলের মতো করে সম্মানী বেঁধে দেওয়া ও নিলামের পদ্ধতি নিয়ে। প্রস্তাবিত এই নিয়ম মানতে ঘোর আপত্তি ক্রিকেটারদের। বরাবরের মতো ক্লাবের সঙ্গে দর-কষাকষির পদ্ধতিই পছন্দ তাঁদের। সভায় সবাই একমত হয়েছেন যে নিলাম পদ্ধতি চালু করা হলে আন্দোলনের পথ বেছে নেওয়া হবে। সেটা হতে পারে লিগ বর্জন করার মতো কঠিন কিছুও।
প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে অবশ্য এর মধ্যেই এক দফা আন্দোলন করতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। জাতীয় দল যখন জিম্বাবুয়েতে, দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা তখন লিগ শুরুর দাবি নিয়ে মিরপুরে ক্রিকেট বোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। বোর্ড সভাপতির আশ্বাসে তখন স্থগিত করা হয়েছিল আন্দোলন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা দাবিটাকে আরও জোরালো করার জন্য তাকিয়ে ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দিকে। সেই আহ্বানে সাড়া দেওয়ার ব্যাপার তো আছেই, অনেকটা নিজেদের তাগিদেও কাল এক হলেন মুশফিকরা। বিপিএলের অর্থ আদায়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়নি বা হচ্ছে না, এমন ক্রিকেটার নেই একজনও। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও সেই চক্করে পড়তে চান না তাঁরা। তাঁদের শঙ্কা, বিপিএলের মতো নিলাম হলে ক্লাবগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুত টাকা পাওয়া যাবে না। ক্লাবগুলোর নিজেদের মধ্যে গোপন সমঝোতার ভয় তো আছেই।
বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এর বাইরে বেশির ভাগ ক্রিকেটারের আয়ের মূল উৎস এই প্রিমিয়ার লিগ। টাকার অঙ্ক কমে যাওয়া বা সেটি পাওয়া নিয়ে সম্ভাব্য অনিশ্চয়তায় তাঁদের উদ্বিগ্ন হওয়াটা তাই স্বাভাবিক। তা ছাড়া একবার নিলাম পদ্ধতি চালু হলে সেটাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে ক্লাবগুলো সেটাকে কাজে লাগিয়ে সম্মানী আরও কমিয়ে দেবে, এই শঙ্কাও আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্রিকেটার বলেছেন, ‘গত বছর যে ক্রিকেটার ৪০ লাখ টাকা পেয়েছে, সে কেন এবার ২০ লাখে খেলতে চাইবে? অনেক ক্লাব কর্মকর্তা বলছেন, দুই লাখ টাকার ক্রিকেটার ১০ লাখ টাকা চাইছে। সে ক্ষেত্রে তাঁকে না নিলেই তো হয়।’
কাল মিরপুরের সভায় জিম্বাবুয়ে সফর করে আসা দলের মাহমুদউল্লাহ, আশরাফুল, সাকিব, তামিম, রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফীস, শাহাদাত, রুবেল, শফিউল, মমিনুলের মতো ক্রিকেটাররা যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন সোহরাওয়ার্দী, রকিবুল, মাহবুবুল, ডলারের মতো জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সভায় উপস্থিত ২০-২২ জন ক্রিকেটার তাঁদের দাবি সংবলিত একটি কাগজেও স্বাক্ষর করেছেন।
কাগজে-কলমে জাতীয় দলের অধিনায়ক না থাকলেও ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি আপাতত মুশফিকই। বোর্ড-প্রধানের সঙ্গে মুশফিকের দেখা করার কথা নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের অস্থায়ী কমিটির সদস্য ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘বোর্ড প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছে মুশফিক। তবে কী নিয়ে কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছি না।’ কী নিয়ে কথা হয়েছে, সেটা অনুমান করতে অবশ্য সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আজ ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে বোর্ড-প্রধানের বৈঠক, সেখানে নিশ্চয়ই এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো, যাদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হলো, সেই কোয়াবকে (ক্রিকেটারদের সংগঠন) এখানে সম্পৃক্ত করেননি মুশফিকেরা। ক্রিকেটারদের সভা নিয়ে কিছু জানেন না জানিয়ে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বললেন, ‘আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
No comments