আবারও শেষ ওভারের দুঃখ
কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে এ ম্যাচে জিততেই হতো। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে কাল ৪ উইকেটে হেরে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কাপের লড়াই থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। পাকিস্তান নাটকীয়ভাবে ম্যাচটা জিতে নিয়েছে শেষের আগের বলে।
প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০ রান তোলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান। জবাবে ৪৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অথচ ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণই একসময় ছিল বাংলাদেশের হাতে। গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও এভাবে শেষ ওভারেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পার্থক্য হলো, ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ধাওয়া করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য। আর এবার বাংলাদেশের রান তাড়া করল পাকিস্তান।
উদ্বোধনী জুটিতেই ১০৪ রান তুলে নিয়ে পাকিস্তান ইঙ্গিত দিয়েছিল সহজ জয়ের। এরপর সাব্বির রহমান ও মাহমুদুল তাঁদের লেগ স্পিন ও অফ স্পিনে ৯ রানের মধ্যে দুই উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে। ৪৬.৩ ওভারে পাকিস্তান ৬ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১৯৯ রান। বাকি ২১ বলে জয়ের জন্য তখনো পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৫২ রান, আর শেষ দুই ওভারে ৩৯ রান। এমন সময় পাকিস্তানের ‘সহায়’ হয়ে আসেন বাংলাদেশের দুই বোলার আবুল হাসান ও মমিনুল হক। ম্যাচের ৪৯তম ওভারে আবুল হাসান দেন ১৯ রান। শেষ ওভারে মোমিনুল হকের ৫ বল থেকে প্রয়োজনীয় ২০ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। মূলত পাকিস্তানের হামাদ আজম ও মোহাম্মদ ওয়াকাসের কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ। ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ রান করেন ওয়াকাস, ২২ বলে ২৭ রান করেন আজম। সপ্তম উইকেটে তারা দুজন তোলেন অপরাজিত ৫২ রান।
আসল লড়াই থেকে (কাপ) বিদায় হয়েছে, বাংলাদেশ এখন লড়বে ‘প্লেট চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার আশায়। কাল নিউজিল্যান্ড থেকে টেলিফোনে দলের ম্যানেজার তানজীব আহসান সাদ জানালেন, ‘ছেলেরা খুব হতাশ। এভাবে শেষ ওভারে গিয়ে হারতে হবে সেটা আমরা কল্পনাও করিনি। তবে এটাই ক্রিকেট। এখন আমরা প্লেট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়ব।’ আগামী ২৪ জানুয়ারি হংকংয়ের বিপক্ষে প্লেট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ মাহমুদুলদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫০/৫ (মাহমুদুল ৬৩, আনামুল ৫৫, অমিত ৩৬, মমিনুল ৩৫, সাব্বির ৩৪*; উসমান ২/৪৪, বাবর ১/৫৪, শাহজায়েব ১/৩৭)। পাকিস্তান: ৪৯.৫ ওভারে ২৫১/৬ (বাবর ৯১, শেহজাদ ৫২, ওয়াকাস ৩৪*, হাম্মাদ ২৭*; মাহমুদুল ২/৩৬, সাব্বির ১/৫১, শাকের ১/৩১, আবুল হাসান ১/৬৯)। ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।
প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০ রান তোলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান। জবাবে ৪৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অথচ ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণই একসময় ছিল বাংলাদেশের হাতে। গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও এভাবে শেষ ওভারেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পার্থক্য হলো, ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ধাওয়া করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্য। আর এবার বাংলাদেশের রান তাড়া করল পাকিস্তান।
উদ্বোধনী জুটিতেই ১০৪ রান তুলে নিয়ে পাকিস্তান ইঙ্গিত দিয়েছিল সহজ জয়ের। এরপর সাব্বির রহমান ও মাহমুদুল তাঁদের লেগ স্পিন ও অফ স্পিনে ৯ রানের মধ্যে দুই উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে। ৪৬.৩ ওভারে পাকিস্তান ৬ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১৯৯ রান। বাকি ২১ বলে জয়ের জন্য তখনো পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৫২ রান, আর শেষ দুই ওভারে ৩৯ রান। এমন সময় পাকিস্তানের ‘সহায়’ হয়ে আসেন বাংলাদেশের দুই বোলার আবুল হাসান ও মমিনুল হক। ম্যাচের ৪৯তম ওভারে আবুল হাসান দেন ১৯ রান। শেষ ওভারে মোমিনুল হকের ৫ বল থেকে প্রয়োজনীয় ২০ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। মূলত পাকিস্তানের হামাদ আজম ও মোহাম্মদ ওয়াকাসের কাছেই হেরেছে বাংলাদেশ। ১৪ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ রান করেন ওয়াকাস, ২২ বলে ২৭ রান করেন আজম। সপ্তম উইকেটে তারা দুজন তোলেন অপরাজিত ৫২ রান।
আসল লড়াই থেকে (কাপ) বিদায় হয়েছে, বাংলাদেশ এখন লড়বে ‘প্লেট চ্যাম্পিয়ন’ হওয়ার আশায়। কাল নিউজিল্যান্ড থেকে টেলিফোনে দলের ম্যানেজার তানজীব আহসান সাদ জানালেন, ‘ছেলেরা খুব হতাশ। এভাবে শেষ ওভারে গিয়ে হারতে হবে সেটা আমরা কল্পনাও করিনি। তবে এটাই ক্রিকেট। এখন আমরা প্লেট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়ব।’ আগামী ২৪ জানুয়ারি হংকংয়ের বিপক্ষে প্লেট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ মাহমুদুলদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫০/৫ (মাহমুদুল ৬৩, আনামুল ৫৫, অমিত ৩৬, মমিনুল ৩৫, সাব্বির ৩৪*; উসমান ২/৪৪, বাবর ১/৫৪, শাহজায়েব ১/৩৭)। পাকিস্তান: ৪৯.৫ ওভারে ২৫১/৬ (বাবর ৯১, শেহজাদ ৫২, ওয়াকাস ৩৪*, হাম্মাদ ২৭*; মাহমুদুল ২/৩৬, সাব্বির ১/৫১, শাকের ১/৩১, আবুল হাসান ১/৬৯)। ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।
No comments