লেনদেনে আধিপত্য ছিল ব্যাংকিং খাতের
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ও মূল্যবৃদ্ধিতে গতকাল সোমবার আধিপত্য বিস্তার করেছে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানি। এর ফলে দিন শেষে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত ছিল। যদিও এদিন ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন ঘটেছে।
ডিএসইর সাধারণ সূচক গতকাল দিন শেষে ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৯৭ পয়েন্টে। নতুন সূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯০২ পয়েন্টে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক প্রায় ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১০৬ পয়েন্টে।
বাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক দিনে বাজারে কিছুটা গতি সঞ্চার হয়েছে। এতে বিভিন্ন খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়েনি। তাই বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ অন্যান্য খাতের শেয়ারের মুনাফা তুলে নিয়ে তা ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন। এর ফলে এ খাতের শেয়ারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও বেড়েছে।
ঢাকার বাজারে গতকাল ব্যাংকিং খাতের লেনদেন হওয়া ২৯ কোম্পানির মধ্যে ২৮টিরই দাম বেড়েছে। দিন শেষে এ খাতের সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৬ কোটি টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। এদিন লেনদেন হওয়া প্রতিটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম গড়ে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে বলে কসমোপলিটন ফিন্যান্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় অনুষদের শিক্ষক মোহাম্মদ মূসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাজারটা এখনো পরিপক্ব না। তাই কোম্পানিভিত্তিক তথ্যের চেয়ে বিনিয়োগকারীদের ভাবনার প্রভাব বেশি এই বাজারে। বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী গতকাল অন্যান্য খাতের শেয়ার বিক্রি করে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের প্রতি ঝুঁকেছেন। যদিও সম্প্রতি প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। তা সত্ত্বেও খাতভিত্তিক গতি-প্রকৃতির কারণে এ খাতের দর বৃদ্ধি ঘটেছে।’
মোহাম্মদ মূসা আরও বলেন, ‘গত কয়েক দিনের লেনদেনের গতি দেখে মনে হচ্ছে, বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণীর উভয় বিনিয়োগকারী বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এক খাতের শেয়ার বিক্রি করে অন্য খাতে তা আবার বিনিয়োগ করছেন।’
এদিকে ব্যাংকের শেয়ারের দর বৃদ্ধির দিনে গতকাল অন্যান্য খাতে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ২৭৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৭০টি কোম্পানির শেয়ারেরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৮৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির শেয়ারের দাম। দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭০ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৬৯ কোটি টাকা কম।
লেনদেন কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, শেয়ারের মালিকানা নির্ধারণী তারিখের (রেকর্ড ডেট) কারণে সোমবার নয়টি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে ছিল বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, জিবিবি পাওয়ার, ইউনিক হোটেলের মতো কোম্পানিও। এসব প্রতিষ্ঠান সাধারণত ঘুরেফিরে ডিএসইতে শীর্ষ লেনদেনকারী কোম্পানির তালিকায় থাকে।
চট্টগ্রামের বাজারে গতকাল ১৯৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২২টি কোম্পানির শেয়ারেরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৬৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল নয়টির শেয়ারের দাম। দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে চার কোটি টাকা বেশি।
ডিএসইর সাধারণ সূচক গতকাল দিন শেষে ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৯৭ পয়েন্টে। নতুন সূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৯০২ পয়েন্টে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক প্রায় ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১০৬ পয়েন্টে।
বাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক দিনে বাজারে কিছুটা গতি সঞ্চার হয়েছে। এতে বিভিন্ন খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়েনি। তাই বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ অন্যান্য খাতের শেয়ারের মুনাফা তুলে নিয়ে তা ব্যাংকিং খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন। এর ফলে এ খাতের শেয়ারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও বেড়েছে।
ঢাকার বাজারে গতকাল ব্যাংকিং খাতের লেনদেন হওয়া ২৯ কোম্পানির মধ্যে ২৮টিরই দাম বেড়েছে। দিন শেষে এ খাতের সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭৬ কোটি টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের প্রায় ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। এদিন লেনদেন হওয়া প্রতিটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম গড়ে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে বলে কসমোপলিটন ফিন্যান্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় অনুষদের শিক্ষক মোহাম্মদ মূসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাজারটা এখনো পরিপক্ব না। তাই কোম্পানিভিত্তিক তথ্যের চেয়ে বিনিয়োগকারীদের ভাবনার প্রভাব বেশি এই বাজারে। বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী গতকাল অন্যান্য খাতের শেয়ার বিক্রি করে ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের প্রতি ঝুঁকেছেন। যদিও সম্প্রতি প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। তা সত্ত্বেও খাতভিত্তিক গতি-প্রকৃতির কারণে এ খাতের দর বৃদ্ধি ঘটেছে।’
মোহাম্মদ মূসা আরও বলেন, ‘গত কয়েক দিনের লেনদেনের গতি দেখে মনে হচ্ছে, বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণীর উভয় বিনিয়োগকারী বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এক খাতের শেয়ার বিক্রি করে অন্য খাতে তা আবার বিনিয়োগ করছেন।’
এদিকে ব্যাংকের শেয়ারের দর বৃদ্ধির দিনে গতকাল অন্যান্য খাতে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ২৭৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৭০টি কোম্পানির শেয়ারেরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৮৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৪টির শেয়ারের দাম। দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭০ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৬৯ কোটি টাকা কম।
লেনদেন কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, শেয়ারের মালিকানা নির্ধারণী তারিখের (রেকর্ড ডেট) কারণে সোমবার নয়টি কোম্পানির লেনদেন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে ছিল বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, জিবিবি পাওয়ার, ইউনিক হোটেলের মতো কোম্পানিও। এসব প্রতিষ্ঠান সাধারণত ঘুরেফিরে ডিএসইতে শীর্ষ লেনদেনকারী কোম্পানির তালিকায় থাকে।
চট্টগ্রামের বাজারে গতকাল ১৯৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২২টি কোম্পানির শেয়ারেরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৬৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল নয়টির শেয়ারের দাম। দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে চার কোটি টাকা বেশি।
No comments