হকির ব্রোঞ্জ ফেরানোর মিশন
ইউরোপের পাঁচটি দেশ সফরের সুফল আশা করি গেমসে পাব আমরা। ব্রোঞ্জ অবশ্যই জিতব, তবে স্বপ্ন ফাইনালে খেলা’—পিটার গেরহার্ড।
‘আমাদের মূল লক্ষ্য ব্রোঞ্জ। ভারত বা পাকিস্তানকে হারানোর চেষ্টা থাকবে। তাহলে ফাইনালে খেলা সম্ভব। আমাদের প্রস্তুতি ভালো’—মশিউর রহমান বিপ্লব।
‘ফাইনালে খেলবই, এটা বলব না। অবাস্তব কল্পনা করে লাভ নেই। তবে এবার আর ব্রোঞ্জ হাতছাড়া করতে রাজি নই আমরা’—খন্দকার জামিলউদ্দিন।
প্রথমজন বাংলাদেশ হকি দলের জার্মান কোচ, দ্বিতীয়জন জাতীয় হকি দলের নতুন অধিনায়ক, তৃতীয়জন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। দক্ষিণ এশীয় গেমসের জন্য বাংলাদেশ হকি দল ঘোষণা ও আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে কাল সংবাদ সম্মেলনে প্রায় অভিন্ন সুরই তুললেন তিনজন।
গেমস হকির প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ দলকে তিন মাস রাখা হলো ইউরোপে। তাতে ঘরোয়া লিগই হলো না গত বছর। এত বড় ‘ত্যাগের’ ঘুরেফিরে সেই ব্রোঞ্জ! এত দিন রুপা জয়ের স্বপ্ন দেখানো হচ্ছিল ঠারে-ঠোরে, হকি ফেডারেশন এখন ফিরে গেল বাস্তবতার জমিনে।
ভারত-পাকিস্তানকে হারানো বলতে গেলে অসম্ভব। ১৯৯৫ মাদ্রাজ সাফে গেমস হকির প্রথম আসরে ভারত-পাকিস্তানের পেছনে থেকে বাংলাদেশের বোঞ্জ জয়ই সেই প্রমাণ দিয়েছে। গত কলম্বো গেমস দিয়ে হকি আবার ফিরলে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয় কেড়ে নিল সেই ব্রোঞ্জটাও! এবারও যুক্তিযুক্ত কারণেই বলা হচ্ছে ‘ব্রোঞ্জই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত’। তাই বলে একটা বছর ঘরোয়া হকি হিমাগারে চলে যাবে?
সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সম্পাদক যুক্তি দিলেন, ‘ব্রোঞ্জ জেতাও তো সহজ নয়। গতবার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ব্রোঞ্জও আসেনি। কাজেই এবার ব্রোঞ্জ জেতাও একটা অর্জন হবে।’ কথাটা ঠিকই। তাই বলে একটা বছর লিগ হবে না! খন্দকার জামিলের যুক্তি, ‘এসএ গেমসের প্রস্তুতির জন্য কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। তবে আমরা জাতীয় দলটাকে তৈরি করার জন্য প্রচুর কাজ করেছি।’
সেই ‘কাজের’ আড়ালে হারিয়ে যেতে বসেছে ঘরোয়া হকির প্রাণচাঞ্চল্য। ফেডারেশন সম্পাদক যদিও ‘হকিতে জাগরণ আসছে। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে মহিলা হকিও শুরু করছি আমরা’—দাবি করছেন। তবে বিদায়ী বছরে ঢাকা লিগের পাশাপাশি জাতীয় হকি, যুব হকি, স্কুল হকির মতো অত্যাবশ্যকীয় টুর্নামেন্টগুলো হয়নি; দেশের হকির জন্য যা ভালো লক্ষণ নয়।
এসএ গেমসে ভালো কিছু করতে পারলে তবু হকি ফেডারেশনের মুখ রক্ষা হবে। ৩০ জানুয়ারি নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের গেমস মিশন। এর পর বাকি তিন প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ।
‘চাই শক্তিশালী একটা দল’—এই লক্ষ্যে ইউরোপ সফরের দল থেকে কৃষ্ণ, শুভ, হাসান ও রিমনকে বাদ দিয়ে ১৮ সদস্যের দলে ফিরোজ, ইরফান ও জাহেদকে প্রথম সুযোগ দিয়েছেন কোচ গেরহার্ড। দলে ফিরিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আশিকুজ্জামানকে। ফেডারেশনের কোচিং কমিটির প্রধান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুর রশিদের দাবি, ‘এটি কোচেরই দল, তাঁর কাজে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করা হয়নি।’
হকি দল: কামরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান, আশিকুজ্জামান, মশিউর রহমান, মামুনুর রহমান, ইরফান, রাসেল মাহমুদ, সাজ্জাদ, মেহরাব, শেখ নান্নু, জাহিদুল, ফিরোজ, মোস্তফা, মোশাররফ, ইমাম হাসান, পুষ্কর, তাপস, জাহিদ।
‘আমাদের মূল লক্ষ্য ব্রোঞ্জ। ভারত বা পাকিস্তানকে হারানোর চেষ্টা থাকবে। তাহলে ফাইনালে খেলা সম্ভব। আমাদের প্রস্তুতি ভালো’—মশিউর রহমান বিপ্লব।
‘ফাইনালে খেলবই, এটা বলব না। অবাস্তব কল্পনা করে লাভ নেই। তবে এবার আর ব্রোঞ্জ হাতছাড়া করতে রাজি নই আমরা’—খন্দকার জামিলউদ্দিন।
প্রথমজন বাংলাদেশ হকি দলের জার্মান কোচ, দ্বিতীয়জন জাতীয় হকি দলের নতুন অধিনায়ক, তৃতীয়জন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। দক্ষিণ এশীয় গেমসের জন্য বাংলাদেশ হকি দল ঘোষণা ও আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির লক্ষ্যের কথা বলতে গিয়ে কাল সংবাদ সম্মেলনে প্রায় অভিন্ন সুরই তুললেন তিনজন।
গেমস হকির প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ দলকে তিন মাস রাখা হলো ইউরোপে। তাতে ঘরোয়া লিগই হলো না গত বছর। এত বড় ‘ত্যাগের’ ঘুরেফিরে সেই ব্রোঞ্জ! এত দিন রুপা জয়ের স্বপ্ন দেখানো হচ্ছিল ঠারে-ঠোরে, হকি ফেডারেশন এখন ফিরে গেল বাস্তবতার জমিনে।
ভারত-পাকিস্তানকে হারানো বলতে গেলে অসম্ভব। ১৯৯৫ মাদ্রাজ সাফে গেমস হকির প্রথম আসরে ভারত-পাকিস্তানের পেছনে থেকে বাংলাদেশের বোঞ্জ জয়ই সেই প্রমাণ দিয়েছে। গত কলম্বো গেমস দিয়ে হকি আবার ফিরলে শ্রীলঙ্কার কাছে পরাজয় কেড়ে নিল সেই ব্রোঞ্জটাও! এবারও যুক্তিযুক্ত কারণেই বলা হচ্ছে ‘ব্রোঞ্জই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত’। তাই বলে একটা বছর ঘরোয়া হকি হিমাগারে চলে যাবে?
সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সম্পাদক যুক্তি দিলেন, ‘ব্রোঞ্জ জেতাও তো সহজ নয়। গতবার স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ব্রোঞ্জও আসেনি। কাজেই এবার ব্রোঞ্জ জেতাও একটা অর্জন হবে।’ কথাটা ঠিকই। তাই বলে একটা বছর লিগ হবে না! খন্দকার জামিলের যুক্তি, ‘এসএ গেমসের প্রস্তুতির জন্য কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। তবে আমরা জাতীয় দলটাকে তৈরি করার জন্য প্রচুর কাজ করেছি।’
সেই ‘কাজের’ আড়ালে হারিয়ে যেতে বসেছে ঘরোয়া হকির প্রাণচাঞ্চল্য। ফেডারেশন সম্পাদক যদিও ‘হকিতে জাগরণ আসছে। অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে মহিলা হকিও শুরু করছি আমরা’—দাবি করছেন। তবে বিদায়ী বছরে ঢাকা লিগের পাশাপাশি জাতীয় হকি, যুব হকি, স্কুল হকির মতো অত্যাবশ্যকীয় টুর্নামেন্টগুলো হয়নি; দেশের হকির জন্য যা ভালো লক্ষণ নয়।
এসএ গেমসে ভালো কিছু করতে পারলে তবু হকি ফেডারেশনের মুখ রক্ষা হবে। ৩০ জানুয়ারি নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের গেমস মিশন। এর পর বাকি তিন প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ।
‘চাই শক্তিশালী একটা দল’—এই লক্ষ্যে ইউরোপ সফরের দল থেকে কৃষ্ণ, শুভ, হাসান ও রিমনকে বাদ দিয়ে ১৮ সদস্যের দলে ফিরোজ, ইরফান ও জাহেদকে প্রথম সুযোগ দিয়েছেন কোচ গেরহার্ড। দলে ফিরিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আশিকুজ্জামানকে। ফেডারেশনের কোচিং কমিটির প্রধান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুর রশিদের দাবি, ‘এটি কোচেরই দল, তাঁর কাজে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করা হয়নি।’
হকি দল: কামরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান, আশিকুজ্জামান, মশিউর রহমান, মামুনুর রহমান, ইরফান, রাসেল মাহমুদ, সাজ্জাদ, মেহরাব, শেখ নান্নু, জাহিদুল, ফিরোজ, মোস্তফা, মোশাররফ, ইমাম হাসান, পুষ্কর, তাপস, জাহিদ।
No comments