অশুল্ক বাধা অপসারণের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ জানা নেই ব্যবসায়ীদের
ভারতের সঙ্গে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে অশুল্ক বাধাকে বরাবরই অন্যতম প্রতিবন্ধক হিসেবে উল্লেখ করে আসছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হওয়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এই সফর শেষে তাঁদের এ সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো পদক্ষেপের কথা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে এ সফর থেকে আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে এবং দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো সমঝোতা হয়নি বলে তাঁরা জোরের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
গতকাল ঢাকায় শেরাটন হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের বক্তব্যে এসব কথাই বেরিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের প্রধান ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরামউদ্দিন আহমদ। এ সময় ৫০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভারত সফরে ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে তাঁদের বিভিন্ন বৈঠকের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।
কাজী আকরাম বলেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যদি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শীতল থাকে, আমরা মনে করি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে এবং এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের সবচেয়ে বড় অর্জন বরফ গলতে শুরু করেছে, গলছে। পারস্পরিক সুসম্পর্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী আকরাম বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, তবে এখনো পাইনি। সমস্যা নিরসনের যেসব আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়নই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই বাস্তবায়নের জন্য কিছু সময়ও লাগবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সফরের ফলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অশুল্ক বাধা অপসারণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে কি না—একাধিকবার এ প্রশ্ন করার পরও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এর কোনো সুস্পষ্ট জবাব দেননি।
তবে তাঁরা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার প্রস্তাব করে এসেছেন বলে জানান।
প্রতিনিধিদলের সদস্য ও বাংলাদেশ নিট পোশাক মালিক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘পারস্পরিক আস্থার জায়গা তৈরি হচ্ছে, এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই সফর থেকে প্রাপ্তির বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো কিছু বলার সময় এখনো আসেনি। এটা সবে শুরু।’
ফজলুল হক আরও বলেন, ভারতের বস্ত্র খাতের প্রভাবশালী বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। তাই বর্তমানে ৮০ লাখ পিস তৈরি পোশাক বিনাশুল্কে যে প্রবেশাধিকার ভারত দিয়েছে, তা বেড়ে এক কোটি ৪০ লাখ পিস হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
ফজলুল হক ব্যাখ্যা করে বলেন, ভারতে এখন তৈরি পোশাকের দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বাজার রয়েছে, যা বছরে ১৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। এই চাহিদা মেটাতে ভারতকে বাইরে থেকে পোশাকপণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। সুতরাং, বাংলাদেশি পোশাকপণ্যের এই বাজারে প্রবেশ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আবদুস সালাম মোর্শেদী বলেন, ‘আমরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে এবার কোনো নেতিবাচক মনোভাব দেখিনি। তাঁরা বাংলাদেশি পণ্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানাতে আমাদের সে দেশে একক বাণিজ্য মেলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।’
প্রাণ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আমজাদ খান চৌধুরী বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো বাংলাদেশেরই বাজার। প্রাণের পানীয় ও প্লাস্টিকপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি এর প্রমাণ।
ভারতে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দিলে বাংলাদেশি পণ্য এই বাজার হারিয়ে ফেলবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশি পণ্য ইতিমধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কাজেই ভীত হওয়ার কিছু নেই।
২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ আমদানি বাংলাদেশের জন্য কতটুকু লাভজনক হবে—জানতে চাইলে কাজী আকরাম বলেন, ‘আমরা শুধু এই ২৫০ মেগাওয়াটের দিকে তাকিয়ে নেই। নিজস্ব উত্পাদন বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপও সরকার নিচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে ফজলুল হক বলেন, ‘বাইরে থেকে বিদ্যুত্ আমদানির পদক্ষেপ কতটা কাজ করে, তা বোঝার জন্য প্রথমে এ ধরনের ছোট উদ্যোগই ভালো। এটার সাফল্য পরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।’
বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অনেকটাই সফল হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের স্বার্থপরিপন্থী কোনো কিছু এখানে হয়নি।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সহসভাপতি আবুল কাশেম আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর ছিল রাজনৈতিক সফর, যা শতভাগ সফল হয়েছে। এখানে কোনো গোপন চুক্তি হয়নি।
কিন্তু ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হওয়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এই সফর শেষে তাঁদের এ সমস্যা সমাধানের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো পদক্ষেপের কথা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে এ সফর থেকে আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে এবং দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো সমঝোতা হয়নি বলে তাঁরা জোরের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
গতকাল ঢাকায় শেরাটন হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের বক্তব্যে এসব কথাই বেরিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের প্রধান ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরামউদ্দিন আহমদ। এ সময় ৫০ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভারত সফরে ভারতীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে তাঁদের বিভিন্ন বৈঠকের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।
কাজী আকরাম বলেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যদি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শীতল থাকে, আমরা মনে করি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে এবং এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের সবচেয়ে বড় অর্জন বরফ গলতে শুরু করেছে, গলছে। পারস্পরিক সুসম্পর্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী আকরাম বলেন, ‘আমরা আশ্বস্ত হয়েছি, তবে এখনো পাইনি। সমস্যা নিরসনের যেসব আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়নই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই বাস্তবায়নের জন্য কিছু সময়ও লাগবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সফরের ফলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অশুল্ক বাধা অপসারণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে কি না—একাধিকবার এ প্রশ্ন করার পরও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এর কোনো সুস্পষ্ট জবাব দেননি।
তবে তাঁরা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার প্রস্তাব করে এসেছেন বলে জানান।
প্রতিনিধিদলের সদস্য ও বাংলাদেশ নিট পোশাক মালিক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘পারস্পরিক আস্থার জায়গা তৈরি হচ্ছে, এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই সফর থেকে প্রাপ্তির বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো কিছু বলার সময় এখনো আসেনি। এটা সবে শুরু।’
ফজলুল হক আরও বলেন, ভারতের বস্ত্র খাতের প্রভাবশালী বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। তাই বর্তমানে ৮০ লাখ পিস তৈরি পোশাক বিনাশুল্কে যে প্রবেশাধিকার ভারত দিয়েছে, তা বেড়ে এক কোটি ৪০ লাখ পিস হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
ফজলুল হক ব্যাখ্যা করে বলেন, ভারতে এখন তৈরি পোশাকের দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলারের বাজার রয়েছে, যা বছরে ১৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। এই চাহিদা মেটাতে ভারতকে বাইরে থেকে পোশাকপণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। সুতরাং, বাংলাদেশি পোশাকপণ্যের এই বাজারে প্রবেশ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি আবদুস সালাম মোর্শেদী বলেন, ‘আমরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে এবার কোনো নেতিবাচক মনোভাব দেখিনি। তাঁরা বাংলাদেশি পণ্য সম্পর্কে ভালোভাবে জানাতে আমাদের সে দেশে একক বাণিজ্য মেলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।’
প্রাণ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী আমজাদ খান চৌধুরী বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো বাংলাদেশেরই বাজার। প্রাণের পানীয় ও প্লাস্টিকপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি এর প্রমাণ।
ভারতে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দিলে বাংলাদেশি পণ্য এই বাজার হারিয়ে ফেলবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশি পণ্য ইতিমধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কাজেই ভীত হওয়ার কিছু নেই।
২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ আমদানি বাংলাদেশের জন্য কতটুকু লাভজনক হবে—জানতে চাইলে কাজী আকরাম বলেন, ‘আমরা শুধু এই ২৫০ মেগাওয়াটের দিকে তাকিয়ে নেই। নিজস্ব উত্পাদন বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপও সরকার নিচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে ফজলুল হক বলেন, ‘বাইরে থেকে বিদ্যুত্ আমদানির পদক্ষেপ কতটা কাজ করে, তা বোঝার জন্য প্রথমে এ ধরনের ছোট উদ্যোগই ভালো। এটার সাফল্য পরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।’
বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অনেকটাই সফল হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের স্বার্থপরিপন্থী কোনো কিছু এখানে হয়নি।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের সহসভাপতি আবুল কাশেম আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর ছিল রাজনৈতিক সফর, যা শতভাগ সফল হয়েছে। এখানে কোনো গোপন চুক্তি হয়নি।
No comments