অপমানিত আফ্রিদিরা ভীষণ ক্ষুব্ধ
সাকিব আল হাসান আর তিনি একই পথের পথিক। তবে সাকিবের মতো সৌজন্যের ধার ধারলেন না শহীদ আফ্রিদি। বরং সমালোচনায় ধুয়ে দিলেন আইপিএল এবং ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে। কারণ তাঁর চোখে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে না কেনাটা এক ধরনের অপমান, ‘আইপিএল আর ভারত আমাদের এবং আমাদের দেশের সঙ্গে ঠাট্টা করেছে। আমরাই টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আইপিএলের দলগুলোর এই আচরণে আমি খুবই মর্মাহত। ভারতীয় দর্শকদের জন্যও আমার খারাপ লাগছে। কারণ আমার ধারণা, ওরাও আমাদের খেলা দেখতে চেয়েছিল।’
পরশু আইপিএলের নিলামে মোট ১১ জন খেলোয়াড় বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ সাড়ে সাত লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের শেন বন্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড। কিন্তু তাতে জায়গা হয়নি নিলামের তালিকায় থাকা ১১ পাকিস্তানি ক্রিকেটারের কারোরই। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে আবারও ভিসা-জটিলতা হতে পারে ভেবে এঁদের কিনতে আগ্রহী হয়নি দলগুলো।
আরেক বঞ্চিত অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাকও ক্ষুব্ধ, ‘তারা আসলে আমাদের ক্রিকেট আর ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছে। আমাদের কাছে এটা সবচেয়ে হতাশার, কারণ খেলার মধ্যে রাজনীতি মেশানো উচিত নয়।’ নিলামে যদি না-ই কেনা হবে, তাহলে কেন তাদের নাম তালিকায় রাখা হলো—সেই প্রশ্নও তুলেছেন রাজ্জাক। তাঁর মতে, ‘বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি তারকা’ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের না নিয়ে শেষতক ক্ষতি হলো আইপিএলেরই।
আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন সোহেল তানভির। টুর্নামেন্টের সেরা বোলারও হয়েছিলেন। তিনিও সতীর্থদের সঙ্গে একমত, ‘তারা আসলে বোঝাতে চেয়েছে আমরা আইপিএলে খেলার যোগ্য নই। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, দলগুলো এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটীয় নয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই নিয়েছে। এটা খুবই লজ্জাজনক।’
সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির একটা সুযোগ হারাল আইপিএল আর ভারত। ওদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান ইজাজ বাট জানাচ্ছেন, এতে খুব একটা ভাবিত তিনি নন। আইপিএলে খেলার জন্য সব ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে এ ঘটনার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও দায়ী করেছেন তিনি। এই ‘অপমানের’ প্রতিবাদ জানিয়ে পাকিস্তানের ক্রীড়ামন্ত্রী আইজাজ হোসেন জাখরানি ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রীকে ফোনও করেছিলেন।
এদিকে আফ্রিদিরা যখন হতাশায় ভুগছেন, তৃতীয় নিলামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে তখন উচ্ছ্বাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উঠতি তারকা পোলার্ড জানিয়েছেন, শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে একই দলে খেলার সুযোগ পেয়ে তিনি ধন্য। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েইন পারনেল (দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস) জানিয়েছেন, ছয় লাখ ১০ হাজার ডলারে বিক্রি হবেন, এটা তিনি ভাবতেই পারেননি।
পরশু আইপিএলের নিলামে মোট ১১ জন খেলোয়াড় বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ সাড়ে সাত লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের শেন বন্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ড। কিন্তু তাতে জায়গা হয়নি নিলামের তালিকায় থাকা ১১ পাকিস্তানি ক্রিকেটারের কারোরই। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে আবারও ভিসা-জটিলতা হতে পারে ভেবে এঁদের কিনতে আগ্রহী হয়নি দলগুলো।
আরেক বঞ্চিত অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাকও ক্ষুব্ধ, ‘তারা আসলে আমাদের ক্রিকেট আর ভাবমূর্তিতে আঘাত হেনেছে। আমাদের কাছে এটা সবচেয়ে হতাশার, কারণ খেলার মধ্যে রাজনীতি মেশানো উচিত নয়।’ নিলামে যদি না-ই কেনা হবে, তাহলে কেন তাদের নাম তালিকায় রাখা হলো—সেই প্রশ্নও তুলেছেন রাজ্জাক। তাঁর মতে, ‘বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি তারকা’ পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের না নিয়ে শেষতক ক্ষতি হলো আইপিএলেরই।
আইপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন সোহেল তানভির। টুর্নামেন্টের সেরা বোলারও হয়েছিলেন। তিনিও সতীর্থদের সঙ্গে একমত, ‘তারা আসলে বোঝাতে চেয়েছে আমরা আইপিএলে খেলার যোগ্য নই। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, দলগুলো এই সিদ্ধান্ত ক্রিকেটীয় নয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই নিয়েছে। এটা খুবই লজ্জাজনক।’
সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির একটা সুযোগ হারাল আইপিএল আর ভারত। ওদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান ইজাজ বাট জানাচ্ছেন, এতে খুব একটা ভাবিত তিনি নন। আইপিএলে খেলার জন্য সব ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে এ ঘটনার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও দায়ী করেছেন তিনি। এই ‘অপমানের’ প্রতিবাদ জানিয়ে পাকিস্তানের ক্রীড়ামন্ত্রী আইজাজ হোসেন জাখরানি ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রীকে ফোনও করেছিলেন।
এদিকে আফ্রিদিরা যখন হতাশায় ভুগছেন, তৃতীয় নিলামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে তখন উচ্ছ্বাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উঠতি তারকা পোলার্ড জানিয়েছেন, শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে একই দলে খেলার সুযোগ পেয়ে তিনি ধন্য। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েইন পারনেল (দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস) জানিয়েছেন, ছয় লাখ ১০ হাজার ডলারে বিক্রি হবেন, এটা তিনি ভাবতেই পারেননি।
No comments