স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সামনে চারটি বাধা
খাদ্য-জ্বালানি ও আর্থিক-সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বাহ্যিক অভিঘাতের কারণে উন্নয়নের পথ থেকে ছিটকে পড়তে পারে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি)।
সম্ভাব্য এ অভিঘাতগুলো মোকাবিলায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে উন্নত দেশের বাজারে অর্থবহ প্রবেশাধিকারের পাশাপাশি উত্পাদন-সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার দাবি জানানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাগিদ দেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ কাজে লাগাতে বাণিজ্য অবকাঠামো গড়ে তোলা, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য সাহায্য বাড়ানোর ব্যাপারেও।
রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে এক যৌথ ঘোষণায় গতকাল বুধবার এ আশঙ্কা ও দাবির কথা তুলে ধরা হয়।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সম্মেলনের এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসকাপের নির্বাহী সচিব নোয়েলিন হেইজার। এ সময় বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
১১ দফার এ ঘোষণায় বলা হয়, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বৈদেশিক সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এসব দেশের জাতীয় অগ্রাধিকার ও সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) সঙ্গে তালমিলিয়ে সাহায্যের টাকা ছাড়ের বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
নোয়েলিন হেইজার বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হতে হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো মোকাবিলার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। এটা করতে হলে কর্মসংস্থান ও আয়ের নিরাপত্তা বিধানসহ সামাজিক নিরাপত্তাবলয় সৃষ্টি এবং ব্যবসার অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি।
হেইজার বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলোর বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দোহা উন্নয়ন রাউন্ডের আলোচনার সমাপ্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে। এ আলোচনাটি শেষ হলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো উন্নত দেশের বাজারে কোটা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। দূর হবে অশুল্ক বাধাও।
আরেক প্রশ্নের জবাবে হেইজার বলেন, এ অঞ্চলের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চার ট্রিলিয়ন ডলারের মজুদ রয়েছে। উপ-আঞ্চলিক ব্যবসা প্রসার ও উত্পাদন-সক্ষমতা বাড়াতে মজুদ কাজে লাগানো উচিত।
এবারের ঢাকা ঘোষণায় আরও বলা হয়, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রবাহের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছে।
একই সঙ্গে এতে বলা হয়েছে, দেশগুলো সরবরাহ সক্ষমতার অভাব, দুর্বল অবকাঠামো সুবিধা ও সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া উন্নত দেশগুলোর নানা বিধিনিষেধও এ ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে রয়েছে। তাই এগুলো অপসারণ করা দরকার।
ঘোষণায় পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে প্রযুক্তি ও অর্থ-সহযোগিতার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করা হয়।
২০১১ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চতুর্থ এলডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলন সামনে রেখেই এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি সদস্য দেশ নিয়ে গত সোমবার বাংলাদেশে শুরু হয় উচ্চপর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক আঞ্চলিক সম্মেলন।
অবশ্য ইস্তাম্বুল সম্মেলনের আগে আগামী মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় আরেকটি সম্মেলনে ঢাকা ঘোষণা পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করা হবে।
জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্থা (এসকাপ) এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে ঢাকায় এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সম্ভাব্য এ অভিঘাতগুলো মোকাবিলায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে উন্নত দেশের বাজারে অর্থবহ প্রবেশাধিকারের পাশাপাশি উত্পাদন-সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার দাবি জানানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাগিদ দেওয়া হয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ কাজে লাগাতে বাণিজ্য অবকাঠামো গড়ে তোলা, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য সাহায্য বাড়ানোর ব্যাপারেও।
রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিনে এক যৌথ ঘোষণায় গতকাল বুধবার এ আশঙ্কা ও দাবির কথা তুলে ধরা হয়।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সম্মেলনের এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসকাপের নির্বাহী সচিব নোয়েলিন হেইজার। এ সময় বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
১১ দফার এ ঘোষণায় বলা হয়, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বৈদেশিক সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এসব দেশের জাতীয় অগ্রাধিকার ও সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) সঙ্গে তালমিলিয়ে সাহায্যের টাকা ছাড়ের বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
নোয়েলিন হেইজার বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হতে হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো মোকাবিলার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। এটা করতে হলে কর্মসংস্থান ও আয়ের নিরাপত্তা বিধানসহ সামাজিক নিরাপত্তাবলয় সৃষ্টি এবং ব্যবসার অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি।
হেইজার বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলোর বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দোহা উন্নয়ন রাউন্ডের আলোচনার সমাপ্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে। এ আলোচনাটি শেষ হলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো উন্নত দেশের বাজারে কোটা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। দূর হবে অশুল্ক বাধাও।
আরেক প্রশ্নের জবাবে হেইজার বলেন, এ অঞ্চলের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর চার ট্রিলিয়ন ডলারের মজুদ রয়েছে। উপ-আঞ্চলিক ব্যবসা প্রসার ও উত্পাদন-সক্ষমতা বাড়াতে মজুদ কাজে লাগানো উচিত।
এবারের ঢাকা ঘোষণায় আরও বলা হয়, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রবাহের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেছে।
একই সঙ্গে এতে বলা হয়েছে, দেশগুলো সরবরাহ সক্ষমতার অভাব, দুর্বল অবকাঠামো সুবিধা ও সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া উন্নত দেশগুলোর নানা বিধিনিষেধও এ ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে রয়েছে। তাই এগুলো অপসারণ করা দরকার।
ঘোষণায় পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে প্রযুক্তি ও অর্থ-সহযোগিতার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করা হয়।
২০১১ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চতুর্থ এলডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলন সামনে রেখেই এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৫টি সদস্য দেশ নিয়ে গত সোমবার বাংলাদেশে শুরু হয় উচ্চপর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক আঞ্চলিক সম্মেলন।
অবশ্য ইস্তাম্বুল সম্মেলনের আগে আগামী মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় আরেকটি সম্মেলনে ঢাকা ঘোষণা পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করা হবে।
জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্থা (এসকাপ) এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে ঢাকায় এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
No comments