নওয়াজকে নিয়ে ভয়ে আফগানিস্তান!
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) জয় পাওয়ার পর থেকে তাঁর ওপর সতর্ক নজর রাখছে আফগানিস্তান। দেশটির নেতারা ভাবছেন, নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানি তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করে সে দেশে জঙ্গিবাদ ও সহিংসতার অবসান ঘটাতে পারেন। পরিণামে পাকিস্তান বাদ দিয়ে তালেবানের পুরো নজর পড়তে পারে আফগানিস্তানের ওপর। এতে দেশটির স্থিতিশীলতা চরম হুমকির মধ্যে পড়তে পারে।
পাকিস্তানের ভাবী সরকারকে নিয়ে অস্থির হামিদ কারজাই শিগগিরই ভারত সফরে যাচ্ছেন। তাঁর এক মুখপাত্র গত রোববার বলেন, ভারত সফরে কারজাইয়ের মূল আলোচনার বিষয় হবে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমানা নির্ধারণ-রেখা ‘ডুরান্ড লাইন’ এবং নিরাপত্তা প্রশ্ন।
২০১১ সালে কাবুলের সঙ্গে একটি কৌশলগত চুক্তি করে নয়াদিল্লি। এরপর কয়েক বছর ধরে আফগান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে ভারত।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে রোববার জানানো হয়, নওয়াজ শরিফের জয় অনেক আফগানের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এতে আফগানিস্তানে ‘অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টি হতে পারে।
নওয়াজ শরিফ মনে করেন, আফগানিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা দেওয়া পাকিস্তানের বন্ধ করে
দেওয়া উচিত। নওয়াজ পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। আফগানিস্তানে সোভিয়েত কর্তৃত্ব খর্ব করতে জিয়া ও নওয়াজ সাতটি জঙ্গি সংগঠনকে সংগঠিত করেন। এসব সংগঠনকে তাঁরা পাকিস্তানে আশ্রয়ও দেন।
বেনজির ভুট্টোর আমলে আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থান হলেও ১৯৯৭ সালে নওয়াজ শরিফের সরকার তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৮ সালে নওয়াজ সংবিধান সংশোধন করে পাকিস্তানে শরিয়া আইন প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন।
অনেকে মনে করছেন, গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের হিজবে ইসলামের মতো আফগানিস্তানের অনেক দলের সঙ্গে নওয়াজের সখ্য আছে। আফগানিস্তানের সরকার ও তালেবানের মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করছে হিজবে ইসলাম। সে ক্ষেত্রে নওয়াজের প্রভাবও থাকবে।
পাকিস্তানের ভাবী সরকারকে নিয়ে অস্থির হামিদ কারজাই শিগগিরই ভারত সফরে যাচ্ছেন। তাঁর এক মুখপাত্র গত রোববার বলেন, ভারত সফরে কারজাইয়ের মূল আলোচনার বিষয় হবে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমানা নির্ধারণ-রেখা ‘ডুরান্ড লাইন’ এবং নিরাপত্তা প্রশ্ন।
২০১১ সালে কাবুলের সঙ্গে একটি কৌশলগত চুক্তি করে নয়াদিল্লি। এরপর কয়েক বছর ধরে আফগান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে ভারত।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে রোববার জানানো হয়, নওয়াজ শরিফের জয় অনেক আফগানের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এতে আফগানিস্তানে ‘অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টি হতে পারে।
নওয়াজ শরিফ মনে করেন, আফগানিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা দেওয়া পাকিস্তানের বন্ধ করে
দেওয়া উচিত। নওয়াজ পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউল হকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। আফগানিস্তানে সোভিয়েত কর্তৃত্ব খর্ব করতে জিয়া ও নওয়াজ সাতটি জঙ্গি সংগঠনকে সংগঠিত করেন। এসব সংগঠনকে তাঁরা পাকিস্তানে আশ্রয়ও দেন।
বেনজির ভুট্টোর আমলে আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থান হলেও ১৯৯৭ সালে নওয়াজ শরিফের সরকার তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৮ সালে নওয়াজ সংবিধান সংশোধন করে পাকিস্তানে শরিয়া আইন প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন।
অনেকে মনে করছেন, গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের হিজবে ইসলামের মতো আফগানিস্তানের অনেক দলের সঙ্গে নওয়াজের সখ্য আছে। আফগানিস্তানের সরকার ও তালেবানের মধ্যে মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করছে হিজবে ইসলাম। সে ক্ষেত্রে নওয়াজের প্রভাবও থাকবে।
No comments