শতবর্ষী কবির সম্মাননা -চারদিক by আরিফুল হক
কবি নূরুল ইসলাম। নামের শেষে যুক্ত রয়েছে কাব্যবিনোদ। তাঁকে সবাই কাব্যবিনোদ করে সম্বোধন করেন। অনেকেই আবার নানা বলে ডেকে থাকেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি ১০০ বছর পূর্ণ করেছেন। আর এ বছর অক্টোবরে এসে বাংলা একাডেমী তাঁকে সম্মাননা দেয়।
কবি নূরুল ইসলাম কাব্যবিনোদ রংপুর বেতারে স্ক্রিপট রাইটার ছিলেন। এ ছাড়াও বেতারের জনপ্রিয় দর্শকশ্রোতা ধারাবাহিক নিন্দালু ও ক্ষেতেখামারে অনুষ্ঠানে অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন।
লিখেছেন অনেক কবিতা। রংপুরের মানসম্পন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে কবিতা পড়তে দেখা গেছে সব সময়। কবিতার সংকলনগুলোয় তাঁর কবিতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বয়সের ভারে তিনি এখন চলাফেরা করতে পারেন না। এর পরও বার্ধক্য শরীর নিয়েও যেন ছুটে যেতে চান অনুষ্ঠানগুলোতে। বয়সের ভারে বার্ধক্য হলেও মনে কিন্তু তিনি চিরসবুজ।
এই তো দুই বছর আগেও তিনি প্রতিদিন ভোরবেলা শহরময় হেঁটে বেড়িয়েছেন। তাও আবার খালি পায়ে। এ বিষয়ে কিছু একটা জানতে চাইলে উত্তর মিলেছে, ‘আমরা হইলাম মাটির মানুষ, মাটির গন্ধ ও স্বাদ নিতে নগ্ন পায়ে হাঁটার কী যে স্বাদ।’ হাঁটার সময় তাঁর হাতে দেখা যেত একটি গোলাপ ফুল।
কখনো তাঁকে মুখ ভার করে থাকতে দেখা যায়নি। সব সময় ছিলেন হাসি-খুশি। সবার সঙ্গেই করতেন তামাশা ও দুষ্টুমি। যেন শিশুর মতো স্বভাবসুলভ আচরণ ছিল তাঁর। কবির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই হলো গুলশান, শেফালী, পেয়ারা, হামার রংপুর।
বাংলা একাডেমী ১৪ অক্টোবর রংপুর টাউন হলে শতবর্ষী কবিকে সম্মাননা দেয়। এ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বইমেলাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মু. আব্দুল জলিল মিয়া। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বি এম এনামুল হক।
বিকেলে কবিকে সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কারমাইকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. রেজাউল হক। কবি ও কবিতা নিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলা একাডেমীর পরিচালক ড. আব্দুল ওয়াব ও শাহিদা খাতুন।
এ ছাড়াও রংপুরের কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে আলোচনা করেছেন প্রবীণ সহিত্যিক ও লেখক সংসদের সভাপতি মতিউর রহমান বসনিয়া, ছান্দসিক সাহিত্যগোষ্ঠীর সভাপতি রোমেনা চৌধুরী, সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ আলীম উদ্দিন, নতুন সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক মহফিল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কাজী মো. জুননুন, অভিযাত্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি এম এ বাশার, অঞ্জলিকা সাহিত্যপত্রের সম্পাদক দিলরুবা শাহাদত্, সাংস্কৃতিক সংগঠক মফিজুল ইসলাম, নজরুল মৃধা ও বাংলা একাডেমীর কর্মকর্তা আবিদ করিম।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন ছান্দসিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীরা।
কবি নূরুল ইসলাম কাব্যবিনোদ বর্তমানে বসবাস করছেন মেয়ের বাসায়। নতুন শালবনের ওই বাসাটির নামও তিনি দিয়েছেন ‘কবিকুঞ্জ’। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। অনেক গল্পকথা। শেষমেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার দুটি পঙিক্ত বলে উঠলেন, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।’
কবি নূরুল ইসলাম কাব্যবিনোদ রংপুর বেতারে স্ক্রিপট রাইটার ছিলেন। এ ছাড়াও বেতারের জনপ্রিয় দর্শকশ্রোতা ধারাবাহিক নিন্দালু ও ক্ষেতেখামারে অনুষ্ঠানে অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন।
লিখেছেন অনেক কবিতা। রংপুরের মানসম্পন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে কবিতা পড়তে দেখা গেছে সব সময়। কবিতার সংকলনগুলোয় তাঁর কবিতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বয়সের ভারে তিনি এখন চলাফেরা করতে পারেন না। এর পরও বার্ধক্য শরীর নিয়েও যেন ছুটে যেতে চান অনুষ্ঠানগুলোতে। বয়সের ভারে বার্ধক্য হলেও মনে কিন্তু তিনি চিরসবুজ।
এই তো দুই বছর আগেও তিনি প্রতিদিন ভোরবেলা শহরময় হেঁটে বেড়িয়েছেন। তাও আবার খালি পায়ে। এ বিষয়ে কিছু একটা জানতে চাইলে উত্তর মিলেছে, ‘আমরা হইলাম মাটির মানুষ, মাটির গন্ধ ও স্বাদ নিতে নগ্ন পায়ে হাঁটার কী যে স্বাদ।’ হাঁটার সময় তাঁর হাতে দেখা যেত একটি গোলাপ ফুল।
কখনো তাঁকে মুখ ভার করে থাকতে দেখা যায়নি। সব সময় ছিলেন হাসি-খুশি। সবার সঙ্গেই করতেন তামাশা ও দুষ্টুমি। যেন শিশুর মতো স্বভাবসুলভ আচরণ ছিল তাঁর। কবির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বই হলো গুলশান, শেফালী, পেয়ারা, হামার রংপুর।
বাংলা একাডেমী ১৪ অক্টোবর রংপুর টাউন হলে শতবর্ষী কবিকে সম্মাননা দেয়। এ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী বইমেলাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মু. আব্দুল জলিল মিয়া। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বি এম এনামুল হক।
বিকেলে কবিকে সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কারমাইকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. রেজাউল হক। কবি ও কবিতা নিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলা একাডেমীর পরিচালক ড. আব্দুল ওয়াব ও শাহিদা খাতুন।
এ ছাড়াও রংপুরের কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে আলোচনা করেছেন প্রবীণ সহিত্যিক ও লেখক সংসদের সভাপতি মতিউর রহমান বসনিয়া, ছান্দসিক সাহিত্যগোষ্ঠীর সভাপতি রোমেনা চৌধুরী, সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ আলীম উদ্দিন, নতুন সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক মহফিল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কাজী মো. জুননুন, অভিযাত্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি এম এ বাশার, অঞ্জলিকা সাহিত্যপত্রের সম্পাদক দিলরুবা শাহাদত্, সাংস্কৃতিক সংগঠক মফিজুল ইসলাম, নজরুল মৃধা ও বাংলা একাডেমীর কর্মকর্তা আবিদ করিম।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন ছান্দসিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীরা।
কবি নূরুল ইসলাম কাব্যবিনোদ বর্তমানে বসবাস করছেন মেয়ের বাসায়। নতুন শালবনের ওই বাসাটির নামও তিনি দিয়েছেন ‘কবিকুঞ্জ’। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। অনেক গল্পকথা। শেষমেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার দুটি পঙিক্ত বলে উঠলেন, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।’
No comments