কিছু ছাড় দিয়েও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে ভারত -আগামী মাসে শেখ হাসিনার দিল্লি সফর নিয়ে ভারতীয় পত্রিকা
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরকালে এসব প্রস্তাব দেবে ভারত সরকার। এবার ক্ষমতায় আসার পর এটিই হবে শেখ হাসিনার প্রথম ভারত সফর।
কলকাতাভিত্তিক দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ এ খবর পরিবশেন করেছে। এতে বলা হয়েছে, ভারত ত্রিপুরার সঙ্গে রেললাইন স্থাপনসহ বাংলাদেশের রেল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের প্রস্তাব দেবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, সিরামিক ও টাইলস পণ্য, পাদুকাসামগ্রী এবং ক্রীড়া সরঞ্জাম আমদানির বিষয়েও ইতিবাচক অবস্থান নিতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশি উত্পাদকেরা ভারতে এসব পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না।
নেতিবাচক বা স্পর্শকাতর পণ্যের তালিকা ছোট করার অংশ হিসেবে এসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানির সুযোগ তৈরি করতে চায় ভারত।
ভারতের তৈরি স্পর্শকাতর পণ্য তালিকায় বর্তমানে ৪০০টি পণ্য রয়েছে। এ সংখ্যা আগে ছিল ৭০০। তবে তালিকাটি কাটছাঁট করে ছোট করা হলেও এতে তৈরি পোশাক ও ফুটওয়্যারের মতো পণ্যগুলো না থাকায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে। কারণ এগুলো বিশেষ করে তৈরি পোশাক হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার সফরের সময় একটি বড় ধরনের চুক্তি সম্পাদন এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর কিছু বিষয় সমাধানের পরিকল্পনা আছে ভারতের।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জিকেই সামনে এগিয়ে দিতে চান। এ ছাড়া তিনি রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আলোচনার টেবিলে রাখতে আগ্রহী।
দিল্লিতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণব মুখার্জি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্কটাকেই কাজে লাগাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত সরকার এবার প্রয়োজনে বাংলাদেশকে কিছু ছাড় দিতেও রাজি আছে বলে উল্লেখ করেন দিল্লির সরকারি কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ বরাবরই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ভারতের অনুকূলে থাকার কথা বলে আসছে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে—এমন ধরনের অন্তত ২৭টি পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে পারছে না। অর্থাত্ ভারতে এসব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ।
২০০৭-০৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৩৫ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই বছর ভারত থেকে প্রায় ১০ গুণ মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। ওই বছর ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে ৩৩৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য।
শেখ হাসিনার সফরকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ও বাংলাদেশের আখাউড়ার মধ্যে রেল যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে আলোচনা করবে দিল্লি।
বাংলাদেশ অবশ্য ভিসাব্যবস্থা উন্মুক্ত করার কথা বললেও এর অপব্যবহার হবে—এমন আশঙ্কায় ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিরোধিতা করে আসছে। তবে ভারত সরকার এবার মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা প্রদানের শর্ত শিথিল করতে পারে।
কলকাতাভিত্তিক দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ এ খবর পরিবশেন করেছে। এতে বলা হয়েছে, ভারত ত্রিপুরার সঙ্গে রেললাইন স্থাপনসহ বাংলাদেশের রেল যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের প্রস্তাব দেবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, সিরামিক ও টাইলস পণ্য, পাদুকাসামগ্রী এবং ক্রীড়া সরঞ্জাম আমদানির বিষয়েও ইতিবাচক অবস্থান নিতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশি উত্পাদকেরা ভারতে এসব পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না।
নেতিবাচক বা স্পর্শকাতর পণ্যের তালিকা ছোট করার অংশ হিসেবে এসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানির সুযোগ তৈরি করতে চায় ভারত।
ভারতের তৈরি স্পর্শকাতর পণ্য তালিকায় বর্তমানে ৪০০টি পণ্য রয়েছে। এ সংখ্যা আগে ছিল ৭০০। তবে তালিকাটি কাটছাঁট করে ছোট করা হলেও এতে তৈরি পোশাক ও ফুটওয়্যারের মতো পণ্যগুলো না থাকায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে। কারণ এগুলো বিশেষ করে তৈরি পোশাক হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার সফরের সময় একটি বড় ধরনের চুক্তি সম্পাদন এবং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর কিছু বিষয় সমাধানের পরিকল্পনা আছে ভারতের।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জিকেই সামনে এগিয়ে দিতে চান। এ ছাড়া তিনি রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আলোচনার টেবিলে রাখতে আগ্রহী।
দিল্লিতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণব মুখার্জি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্কটাকেই কাজে লাগাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত সরকার এবার প্রয়োজনে বাংলাদেশকে কিছু ছাড় দিতেও রাজি আছে বলে উল্লেখ করেন দিল্লির সরকারি কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ বরাবরই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ভারতের অনুকূলে থাকার কথা বলে আসছে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে—এমন ধরনের অন্তত ২৭টি পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে পারছে না। অর্থাত্ ভারতে এসব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ।
২০০৭-০৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৩৫ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই বছর ভারত থেকে প্রায় ১০ গুণ মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। ওই বছর ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে ৩৩৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য।
শেখ হাসিনার সফরকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা ও বাংলাদেশের আখাউড়ার মধ্যে রেল যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে আলোচনা করবে দিল্লি।
বাংলাদেশ অবশ্য ভিসাব্যবস্থা উন্মুক্ত করার কথা বললেও এর অপব্যবহার হবে—এমন আশঙ্কায় ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো বিরোধিতা করে আসছে। তবে ভারত সরকার এবার মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা প্রদানের শর্ত শিথিল করতে পারে।
No comments