প্রয়োগের পাশাপাশি শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হবে -বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৯ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। উচ্চশিক্ষার মতো স্পর্শকাতর ক্ষেত্র নিয়ে কম বাণিজ্য হয়নি বাংলাদেশে। বেসরকারি মানেই যে বাণিজ্যের লাগামছাড়া চলন নয়, তা বোধ করি ভুলে যাওয়া হয়েছিল। দেশের ৫১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৮টিরই বৈধতার মেয়াদোত্তীর্ণ দশা এরই প্রমাণ। নতুন আইনের কার্যকারিতার প্রত্যাশা এখানেই।
সব বিচারেই বেসরকারি পর্যায়ের উচ্চশিক্ষার মান ও নিয়ম রক্ষার স্বার্থে সরকারি তদারকির ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সাত বছর ধরে চেষ্টা চললেও চূড়ান্ত কোনো বিধিমালা প্রণয়ন করা যায়নি। কারণটি স্বয়ং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তাদের বাধা, যাঁরা একে আর দশটা ব্যবসার মতো বিবেচনা করে যেকোনোভাবে মুনাফা করার চেষ্টা করে আসছেন। এ ধরনের ব্যবসায়ীদের নানা বাধা সত্ত্বেও গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ২০০৮ জারি করা হয়। বর্তমান জাতীয় সংসদ সেই অধ্যাদেশকে পাশ কাটিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে এবং তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনও পেয়েছে।
প্রথম আলোর গত মঙ্গলবারের এ-বিষয়ক সংবাদ বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের কিছুটা ছাড় দিয়েই নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যেমন, দূরশিক্ষণের নামে নিতান্তই সনদ বিক্রি কিংবা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস নাম দিয়ে ব্যবসা করা আগের আইনে নিষিদ্ধ ছিল। নতুন আইনে তা শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদনের বিধি রাখা হয়েছে। একইভাবে আগে যেখানে পাঁচ বছর পর্যন্ত সাময়িক সনদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যেত, এখন তা ১২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অভিজ্ঞতা বলে, ‘শর্ত’ পূরণ করিয়ে নেওয়া এবং অনুমোদনের সময় বাড়ানোর সুযোগেই অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত কাজকর্ম করা হয়ে থাকে।
তবে নতুন আইনে সরকারি নজরদারি ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনা বিধিকে গণতান্ত্রিক করার চেষ্টা হয়েছে। উপাচার্যকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান করা এবং ছাত্র ফি ও বেতনকাঠামো মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কম গুরুত্ব পেয়েছে শিক্ষাদান, পাঠক্রম ও পরীক্ষা পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রশ্নটি। শিক্ষক ও শিক্ষাদানের মান, উপযুক্ত পাঠ্যসূচি এবং মানসম্পন্ন পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে এই আইন বুমেরাং হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং আইনটির খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে উল্লিখিত ত্রুটিগুলো দূর করাই শ্রেয়।
২০০০ সালে যেখানে দেশে ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, ২০০৯ সালে তা দাঁড়ায় ৫১টিতে। এখন প্রায় দেড় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী এখানে পাঠরত। দেশে উচ্চশিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা লক্ষণীয়। কিন্তু বাণিজ্যিক শিক্ষা যেন কালো টাকা সাদা করার লীলাক্ষেত্র না হয়, বাণিজ্যই যেন এর প্রধান চালিকাশক্তি না হয়, তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। ব্যবসাকে প্রধান লক্ষ্যের স্থান থেকে অপসারণ করতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি শিক্ষার মানের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ যেন এতে না থাকে।
সব বিচারেই বেসরকারি পর্যায়ের উচ্চশিক্ষার মান ও নিয়ম রক্ষার স্বার্থে সরকারি তদারকির ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সাত বছর ধরে চেষ্টা চললেও চূড়ান্ত কোনো বিধিমালা প্রণয়ন করা যায়নি। কারণটি স্বয়ং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তাদের বাধা, যাঁরা একে আর দশটা ব্যবসার মতো বিবেচনা করে যেকোনোভাবে মুনাফা করার চেষ্টা করে আসছেন। এ ধরনের ব্যবসায়ীদের নানা বাধা সত্ত্বেও গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রণীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ২০০৮ জারি করা হয়। বর্তমান জাতীয় সংসদ সেই অধ্যাদেশকে পাশ কাটিয়ে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে এবং তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনও পেয়েছে।
প্রথম আলোর গত মঙ্গলবারের এ-বিষয়ক সংবাদ বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের কিছুটা ছাড় দিয়েই নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যেমন, দূরশিক্ষণের নামে নিতান্তই সনদ বিক্রি কিংবা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস নাম দিয়ে ব্যবসা করা আগের আইনে নিষিদ্ধ ছিল। নতুন আইনে তা শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদনের বিধি রাখা হয়েছে। একইভাবে আগে যেখানে পাঁচ বছর পর্যন্ত সাময়িক সনদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যেত, এখন তা ১২ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অভিজ্ঞতা বলে, ‘শর্ত’ পূরণ করিয়ে নেওয়া এবং অনুমোদনের সময় বাড়ানোর সুযোগেই অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত কাজকর্ম করা হয়ে থাকে।
তবে নতুন আইনে সরকারি নজরদারি ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালনা বিধিকে গণতান্ত্রিক করার চেষ্টা হয়েছে। উপাচার্যকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান করা এবং ছাত্র ফি ও বেতনকাঠামো মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন পাওয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কম গুরুত্ব পেয়েছে শিক্ষাদান, পাঠক্রম ও পরীক্ষা পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রশ্নটি। শিক্ষক ও শিক্ষাদানের মান, উপযুক্ত পাঠ্যসূচি এবং মানসম্পন্ন পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারলে এই আইন বুমেরাং হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং আইনটির খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে উল্লিখিত ত্রুটিগুলো দূর করাই শ্রেয়।
২০০০ সালে যেখানে দেশে ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, ২০০৯ সালে তা দাঁড়ায় ৫১টিতে। এখন প্রায় দেড় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী এখানে পাঠরত। দেশে উচ্চশিক্ষিত মানবসম্পদ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা লক্ষণীয়। কিন্তু বাণিজ্যিক শিক্ষা যেন কালো টাকা সাদা করার লীলাক্ষেত্র না হয়, বাণিজ্যই যেন এর প্রধান চালিকাশক্তি না হয়, তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। ব্যবসাকে প্রধান লক্ষ্যের স্থান থেকে অপসারণ করতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি শিক্ষার মানের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ যেন এতে না থাকে।
No comments