রফিক-তাণ্ডবে শিরোপা আবাহনীর by তারেক মাহমুদ
শামসুল হক |
কী ছিল না এই ম্যাচে! দর্শক, দর্শকদের আবেগের বাড়াবাড়ি, আতশবাজির বর্ণচ্ছটা, ফানুস, টি-টোয়েন্টির উন্মাতাল ব্যাটিং কিংবা ক্রিকেটীয় শিহরণ—বিগ বস টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের আলোয় ভরা ফাইনাল এক মঞ্চে তুলে ধরল সবই। আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ ছাড়াও যে ফাইনাল হয় এবং সেই ফাইনাল দেখতে স্টেডিয়াম হয়ে যায় জনসমুদ্র—জানল বাংলাদেশের ক্রিকেট। আর ফাইনালের এই রং সবচেয়ে বেশি লাগল আবাহনীর গায়ে। গাজী ট্যাংককে ৫ উইকেটে হারিয়ে এবারের বর্ণিল টি-টোয়েন্টি লিগের শিরোপা-উত্সবটা যে তারাই করল।
একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল গাজী ট্যাংকের দেওয়া ১৪৫ রানের টার্গেটও চোখ রাঙাবে আবাহনীকে। ৫৭ রানে নেই ৪ উইকেট, যাঁদের মধ্যে আছেন সেমিফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ ইমরুল কায়েস, অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। কিন্তু আসল চমক নিয়ে যে অপেক্ষা করছিলেন মোহাম্মদ রফিক। পুরো টুর্নামেন্টেই যিনি ব্যাট হাতে অনুজ্জ্বল, ফাইনালে তিনিই হয়ে উঠলেন মহানায়ক। ২১ বলে অপরাজিত ৫০, ২টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা। রাজ্জাকের করা ১৮তম ওভারে ওঠা ২৩ রানে তাঁর একারই ২২! প্রথম বলে নাসির হোসেনের সঙ্গে প্রান্ত বদলের পরের বলে চার। এরপর পর পর তিন ছক্কা। অলক কাপালির করা ১৯তম ওভারে এল ১৪ রান, আরও দুটি ছক্কা। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। ১৮ ও ১৯তম ওভারের তাণ্ডবের পর শেষ ওভারে আবাহনীর প্রয়োজনটা নেমে এল মাত্র ৪ রানে। জিয়ার প্রথম বলেই লং অফ দিয়ে রফিকের আরেকটি ছক্কা—বিজয়ের উত্সবে মাতোয়ারা আবাহনী।
মাতোয়ারা শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দর্শকেরাও। খেলার শেষ দিক থেকেই কিছুটা নিয়ন্ত্রণহারা তারা। গ্যালারির এদিক-সেদিক দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে মাঠে ঢুকে পড়ার চেষ্টা, বোতল ছুড়ে মারা। স্বল্পসংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী সাময়িকভাবে সে চেষ্টা আটকাতে পারলেও শেষ রক্ষা হয়নি। আতশবাজির উত্সবের পর পুরো মাঠই দর্শকারণ্য! সেখানে কে আবাহনী কে বা গাজী ট্যাংক, বোঝার উপায় ছিল না।
আবাহনী-মোহামেডান বললে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আর কোনো সমীকরণ লাগে না। নাম দুটোই যথেষ্ট চিরায়ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বোঝাতে। সেই অর্থে আবাহনী-গাজী ট্যাংক নিতান্তই একটা রুটিন ফাইনাল। তবে লড়াইয়ের উপাত্ত চাইলে এখানেও খুঁজতে পারেন। ‘আইসিএল বিদ্রোহ’ এখন অতীত অধ্যায় হলেও গাজী ট্যাংকের অলক কাপালি-শাহরিয়ার নাফীসদের নামের সঙ্গে ‘আইসিএল’ ব্যাপারটা চলেই আসে। অন্যদিকে আইসিএল খেলা আরেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক ও মাহবুবুল করিমকে বাদ দিলে আবাহনী অনেকটাই প্রতীকী বাংলাদেশ দল। ইনজুরির কারণে খেলতে না পারলেও জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আবাহনীর। আছেন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আছেন ইমরুল কায়েসও। কে জানে, দুই দলের আর কোনো শাখা-প্রশাখায়ও হয়তো লুকিয়ে আছে পক্ষ-প্রতিপক্ষ ব্যাপারটি।
টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতায় কাগজ-কলমে আবাহনীর চেয়ে এগিয়েই ছিল গাজী ট্যাংক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ঢেউটা যেখান থেকে প্রথম উঠল সেই আইসিএলে খেলা অলক কাপালি, শাহরিয়ার নাফীস, নাজিমউদ্দিন, ফরহাদ রেজারা এই দলে। অলক তো এক মৌসুম আইসিএল খেলেই হিট! আইসিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানও। প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগে শুরু থেকে সেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং ধরে রাখলেও কাল ফাইনালে আইসিএল-ফেরতদের কেউ নন, গাজীর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এগিয়ে সোহ্রাওয়ার্দী আর নাঈম ইসলাম। ৮.৫ ওভারে ৬৬ রান তুলতে ৪ উইকেট হারালেও পঞ্চম উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়ে এই দুই ব্যাটসম্যান অবিচ্ছিন্ন থাকলেন শেষ পর্যন্ত।
কিন্তু আইসিএল-সতীর্থদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মোহাম্মদ রফিক যে আবাহনীতে! শিরোপাও তাই আবাহনীর।
একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল গাজী ট্যাংকের দেওয়া ১৪৫ রানের টার্গেটও চোখ রাঙাবে আবাহনীকে। ৫৭ রানে নেই ৪ উইকেট, যাঁদের মধ্যে আছেন সেমিফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ ইমরুল কায়েস, অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। কিন্তু আসল চমক নিয়ে যে অপেক্ষা করছিলেন মোহাম্মদ রফিক। পুরো টুর্নামেন্টেই যিনি ব্যাট হাতে অনুজ্জ্বল, ফাইনালে তিনিই হয়ে উঠলেন মহানায়ক। ২১ বলে অপরাজিত ৫০, ২টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা। রাজ্জাকের করা ১৮তম ওভারে ওঠা ২৩ রানে তাঁর একারই ২২! প্রথম বলে নাসির হোসেনের সঙ্গে প্রান্ত বদলের পরের বলে চার। এরপর পর পর তিন ছক্কা। অলক কাপালির করা ১৯তম ওভারে এল ১৪ রান, আরও দুটি ছক্কা। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। ১৮ ও ১৯তম ওভারের তাণ্ডবের পর শেষ ওভারে আবাহনীর প্রয়োজনটা নেমে এল মাত্র ৪ রানে। জিয়ার প্রথম বলেই লং অফ দিয়ে রফিকের আরেকটি ছক্কা—বিজয়ের উত্সবে মাতোয়ারা আবাহনী।
মাতোয়ারা শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দর্শকেরাও। খেলার শেষ দিক থেকেই কিছুটা নিয়ন্ত্রণহারা তারা। গ্যালারির এদিক-সেদিক দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে মাঠে ঢুকে পড়ার চেষ্টা, বোতল ছুড়ে মারা। স্বল্পসংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী সাময়িকভাবে সে চেষ্টা আটকাতে পারলেও শেষ রক্ষা হয়নি। আতশবাজির উত্সবের পর পুরো মাঠই দর্শকারণ্য! সেখানে কে আবাহনী কে বা গাজী ট্যাংক, বোঝার উপায় ছিল না।
আবাহনী-মোহামেডান বললে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আর কোনো সমীকরণ লাগে না। নাম দুটোই যথেষ্ট চিরায়ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বোঝাতে। সেই অর্থে আবাহনী-গাজী ট্যাংক নিতান্তই একটা রুটিন ফাইনাল। তবে লড়াইয়ের উপাত্ত চাইলে এখানেও খুঁজতে পারেন। ‘আইসিএল বিদ্রোহ’ এখন অতীত অধ্যায় হলেও গাজী ট্যাংকের অলক কাপালি-শাহরিয়ার নাফীসদের নামের সঙ্গে ‘আইসিএল’ ব্যাপারটা চলেই আসে। অন্যদিকে আইসিএল খেলা আরেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক ও মাহবুবুল করিমকে বাদ দিলে আবাহনী অনেকটাই প্রতীকী বাংলাদেশ দল। ইনজুরির কারণে খেলতে না পারলেও জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আবাহনীর। আছেন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আছেন ইমরুল কায়েসও। কে জানে, দুই দলের আর কোনো শাখা-প্রশাখায়ও হয়তো লুকিয়ে আছে পক্ষ-প্রতিপক্ষ ব্যাপারটি।
টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতায় কাগজ-কলমে আবাহনীর চেয়ে এগিয়েই ছিল গাজী ট্যাংক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ঢেউটা যেখান থেকে প্রথম উঠল সেই আইসিএলে খেলা অলক কাপালি, শাহরিয়ার নাফীস, নাজিমউদ্দিন, ফরহাদ রেজারা এই দলে। অলক তো এক মৌসুম আইসিএল খেলেই হিট! আইসিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানও। প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগে শুরু থেকে সেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং ধরে রাখলেও কাল ফাইনালে আইসিএল-ফেরতদের কেউ নন, গাজীর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এগিয়ে সোহ্রাওয়ার্দী আর নাঈম ইসলাম। ৮.৫ ওভারে ৬৬ রান তুলতে ৪ উইকেট হারালেও পঞ্চম উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়ে এই দুই ব্যাটসম্যান অবিচ্ছিন্ন থাকলেন শেষ পর্যন্ত।
কিন্তু আইসিএল-সতীর্থদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মোহাম্মদ রফিক যে আবাহনীতে! শিরোপাও তাই আবাহনীর।
No comments