ঘাটতি কমাতে জাপানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পরামর্শ by সুনীতি বিশ্বাস
এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশ জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। জাপানের বাজারে রপ্তানির পরিমাণ বাড়লেও তা পরিমাণের দিক থেকে কম হওয়ায় ঘাটতি কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায় মনে করে, জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হলে রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। আর রপ্তানি বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগও রয়েছে। এ জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বাজার উন্নয়নে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। তা ছাড়া জাপানের মতো উন্নত দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করলে তা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে।
কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সফরকালে জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান তোশিহিতো তামবা দুই দেশের মধ্যে এফটিএ করার প্রস্তাব দেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে জাপানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল ৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এ ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ কোটি ২৮ লাখ ডলার। অর্থাত্ ১০ বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ১০১ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। আগের ২০০৭-০৮ অর্থবছরে জাপান থেকে ৮৩ কোটি ২৪ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছিল। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে আমদানির পরিমাণ ২২ শতাংশ বেড়েছে।
একই সময় বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জাপানে ২০ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়। তার আগে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে জাপানে ১৭ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানির পরিমাণও ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ৪৯ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। আর এ সময় জাপানে নয় কোটি ২৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়। অর্থাত্ এ অর্থবছরে বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল ৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্যানুসারে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জাপানে প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ডলারের ওভেন পোশাক, দুই কোটি ২০ লাখ ডলারের নিট পোশাক, এক কোটি ৬৪ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য, এক কোটি ৪৮ লাখ ডলারের চামড়া, এক কোটি ৪১ লাখ ডলারের পাট পণ্য রপ্তানি করা হয়। অন্যদিকে জাপান থেকে মূলত গাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়ে থাকে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মো. ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘাটতি কমাতে হলে রপ্তানি বাড়াতে হবে। জাপানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, জাপানের বাজারে বাংলাদেশের নিট ও ওভেন পোশাক, পাদুকা, হিমায়িত খাদ্য প্রভৃতির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ওভেন পোশাক রপ্তানিতে এক স্তরবিশিষ্ট রুলস অব অরিজিন সুবিধা পাওয়া গেলেও নিট পোশাকের রপ্তানিতে তিন স্তরবিশিষ্ট রুলস অব অরিজিন রয়েছে। ইউরোপের বাজারের মতো জাপানের বাজারেও দুই স্তরবিশিষ্ট রুলস অব অরিজিন সুবিধা পাওয়া গেলে নিট পোশাকের রপ্তানি প্রচুর পরিমাণে বাড়ানো সম্ভব হবে। তিনি এ সুবিধা আদায়ের জন্য সরকারি পর্যায়ে আলোচনার দাবি জানান।
মো. ফজলুল হক বলেন, আগামী ২ নভেম্বর থেকে ঢাকায় তিন দিনব্যাপী নিট পোশাকের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই খাতে জাপানের ৩০ সদস্যবিশিষ্ট একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আসবে। তারা সফরকালে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি ও বিনিয়োগ সুবিধা খতিয়ে দেখবে।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায় মনে করে, জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হলে রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। আর রপ্তানি বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগও রয়েছে। এ জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বাজার উন্নয়নে সরকারকে ভূমিকা নিতে হবে। তা ছাড়া জাপানের মতো উন্নত দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করলে তা বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে।
কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সফরকালে জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান তোশিহিতো তামবা দুই দেশের মধ্যে এফটিএ করার প্রস্তাব দেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে জাপানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল ৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এ ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ কোটি ২৮ লাখ ডলার। অর্থাত্ ১০ বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ১০১ কোটি ৫৪ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। আগের ২০০৭-০৮ অর্থবছরে জাপান থেকে ৮৩ কোটি ২৪ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছিল। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে আমদানির পরিমাণ ২২ শতাংশ বেড়েছে।
একই সময় বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জাপানে ২০ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়। তার আগে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে জাপানে ১৭ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। অর্থাত্ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানির পরিমাণও ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ৪৯ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। আর এ সময় জাপানে নয় কোটি ২৮ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়। অর্থাত্ এ অর্থবছরে বাংলাদেশের ঘাটতি ছিল ৪০ কোটি ১২ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্যানুসারে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে জাপানে প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে পাঁচ কোটি ২৪ লাখ ডলারের ওভেন পোশাক, দুই কোটি ২০ লাখ ডলারের নিট পোশাক, এক কোটি ৬৪ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য, এক কোটি ৪৮ লাখ ডলারের চামড়া, এক কোটি ৪১ লাখ ডলারের পাট পণ্য রপ্তানি করা হয়। অন্যদিকে জাপান থেকে মূলত গাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়ে থাকে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মো. ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘাটতি কমাতে হলে রপ্তানি বাড়াতে হবে। জাপানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, জাপানের বাজারে বাংলাদেশের নিট ও ওভেন পোশাক, পাদুকা, হিমায়িত খাদ্য প্রভৃতির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ওভেন পোশাক রপ্তানিতে এক স্তরবিশিষ্ট রুলস অব অরিজিন সুবিধা পাওয়া গেলেও নিট পোশাকের রপ্তানিতে তিন স্তরবিশিষ্ট রুলস অব অরিজিন রয়েছে। ইউরোপের বাজারের মতো জাপানের বাজারেও দুই স্তরবিশিষ্ট রুলস অব অরিজিন সুবিধা পাওয়া গেলে নিট পোশাকের রপ্তানি প্রচুর পরিমাণে বাড়ানো সম্ভব হবে। তিনি এ সুবিধা আদায়ের জন্য সরকারি পর্যায়ে আলোচনার দাবি জানান।
মো. ফজলুল হক বলেন, আগামী ২ নভেম্বর থেকে ঢাকায় তিন দিনব্যাপী নিট পোশাকের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই খাতে জাপানের ৩০ সদস্যবিশিষ্ট একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আসবে। তারা সফরকালে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি ও বিনিয়োগ সুবিধা খতিয়ে দেখবে।
No comments