লারার উইন্ডিজ দুশ্চিন্তা
আগামী মাসেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তিন টেস্টের সিরিজ। ২৬ নভেম্বর ব্রিসবেনে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে কেমন খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল? ২০০৭ বিশ্বকাপ খেলে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার আগে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন যিনি, সেই ব্রায়ান লারা কিন্তু আশাবাদ শোনাচ্ছেন না। বরং তাঁর শঙ্কা, অস্ট্রেলিয়ার দাপটে চিঁড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া ক্যারিবীয়রা আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে প্রথম রাউন্ডেই। এর পর অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পারফরম্যান্স কেমন হবে, সেটা অনুমান কারার জন্য ‘লারা’ হতে হয় না। তবে ১১৯৫৩ টেস্ট এবং ১০৪০৫ ওয়ানডে রানের মালিক বলছেন, গেইল-সারওয়ানরা ফিরলেও আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কেন পারবে না, সেটাও যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক। এক, বোর্ডের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই গেইলরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। জাতীয় দলে তাঁদের আবার ডাকা হলেও দীর্ঘ একটা সময় একত্রে না খেলার প্রভাব পড়বে তাঁদের পারফরম্যান্সে।
দুই, অ্যাশেজ হারের জ্বালা নিয়েই এই সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ হারের যন্ত্রণাটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর দিয়েই যাবে বলে শঙ্কা লারার, ‘অ্যাশেজ হারের পর চাপে থাকা অধিনায়কের নেতৃত্বে সিরিজ খেলবে তারা। চেষ্টা করবে দলকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার। আমার ভয়, এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেজেগোবরে অবস্থা হবে।’
প্রথম পছন্দের খেলোয়াড়েরা ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স কিছুটা ভালো হবে, তবে সেটা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে করেন না লারা, ‘ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে, টেস্ট পাঁচ দিনে টেনে নিয়ে যেতে পারলে এবং হারার আগেই না হেরে বসলেই খুশি হব আমি।’
শুধু দলের অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ভবিষ্যত্ নিয়েও ভাবছেন লারা। ক্যারিবীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে স্যার ভিভ রিচার্ডস, গর্ডন গ্রিনিজদের মতো গ্রেট ক্রিকেটারদের পাশাপাশি নিজেরও বড় ভূমিকা রাখার প্রয়োজন অনুভব করছেন লারা, ‘অদূর ভবিষ্যতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে আমাদের সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা রাখতে হবে।’ শুধু ‘হবে’তেই থেমে থাকলেন না, অচিরেই ক্যারিবীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে তাঁকে মাঠেও দেখা যাবে বলে জানালেন লারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ও প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলেই খবর। ক্রিস গেইলের কণ্ঠেও আগের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসার সুর, ‘আমাকে যদি কাজটা (নেতৃত্ব) চালিয়ে নিতে বলা হয়, আমি দায়িত্ব নিয়েই তা করব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব করাটা সব সময়ই সম্মানের। আমি সেটা করার জন্য সব সময়ই আগ্রহী।’
রামনরেশ সারওয়ান তো জাতীয় দলে ফিরতে রীতিমতো মুখিয়ে আছেন, ‘আবার মাঠে নামার সুযোগ পাওয়াটা আমাদের জন্য দারুণ হবে। এই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করাটা মিস করছি আমরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে খেলতে দেখা এবং সে দলে নিজের না থাকাটা ছিল অদ্ভুত একটা অনুভূতি। কিন্তু আমরা সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এবং সে সিদ্ধান্তের পক্ষেই দাঁড়াতে হয়েছে আমাদের।’ একটা সমাধান যে আর বেশি দূরে নয়, সেটিও বোঝা গেছে সারওয়ানের কথায়, ‘আমরা এটা জেনে খুব খুশি যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এবং প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন একটা সমঝোতায় আসতে পেরেছে এবং চূড়ান্ত সমাধানের জন্য কাজ চলছে।’
তাহলে কি অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই দেখা যাচ্ছে গেইল-সারওয়ানদের? ওয়েবসাইট।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া ক্যারিবীয়রা আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে প্রথম রাউন্ডেই। এর পর অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পারফরম্যান্স কেমন হবে, সেটা অনুমান কারার জন্য ‘লারা’ হতে হয় না। তবে ১১৯৫৩ টেস্ট এবং ১০৪০৫ ওয়ানডে রানের মালিক বলছেন, গেইল-সারওয়ানরা ফিরলেও আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কেন পারবে না, সেটাও যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক। এক, বোর্ডের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই গেইলরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। জাতীয় দলে তাঁদের আবার ডাকা হলেও দীর্ঘ একটা সময় একত্রে না খেলার প্রভাব পড়বে তাঁদের পারফরম্যান্সে।
দুই, অ্যাশেজ হারের জ্বালা নিয়েই এই সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ হারের যন্ত্রণাটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর দিয়েই যাবে বলে শঙ্কা লারার, ‘অ্যাশেজ হারের পর চাপে থাকা অধিনায়কের নেতৃত্বে সিরিজ খেলবে তারা। চেষ্টা করবে দলকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার। আমার ভয়, এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেজেগোবরে অবস্থা হবে।’
প্রথম পছন্দের খেলোয়াড়েরা ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স কিছুটা ভালো হবে, তবে সেটা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে করেন না লারা, ‘ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে, টেস্ট পাঁচ দিনে টেনে নিয়ে যেতে পারলে এবং হারার আগেই না হেরে বসলেই খুশি হব আমি।’
শুধু দলের অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ভবিষ্যত্ নিয়েও ভাবছেন লারা। ক্যারিবীয় ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে স্যার ভিভ রিচার্ডস, গর্ডন গ্রিনিজদের মতো গ্রেট ক্রিকেটারদের পাশাপাশি নিজেরও বড় ভূমিকা রাখার প্রয়োজন অনুভব করছেন লারা, ‘অদূর ভবিষ্যতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটে আমাদের সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা রাখতে হবে।’ শুধু ‘হবে’তেই থেমে থাকলেন না, অচিরেই ক্যারিবীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে তাঁকে মাঠেও দেখা যাবে বলে জানালেন লারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের চলমান অচলাবস্থা নিরসনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ও প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলেই খবর। ক্রিস গেইলের কণ্ঠেও আগের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসার সুর, ‘আমাকে যদি কাজটা (নেতৃত্ব) চালিয়ে নিতে বলা হয়, আমি দায়িত্ব নিয়েই তা করব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব করাটা সব সময়ই সম্মানের। আমি সেটা করার জন্য সব সময়ই আগ্রহী।’
রামনরেশ সারওয়ান তো জাতীয় দলে ফিরতে রীতিমতো মুখিয়ে আছেন, ‘আবার মাঠে নামার সুযোগ পাওয়াটা আমাদের জন্য দারুণ হবে। এই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করাটা মিস করছি আমরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে খেলতে দেখা এবং সে দলে নিজের না থাকাটা ছিল অদ্ভুত একটা অনুভূতি। কিন্তু আমরা সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এবং সে সিদ্ধান্তের পক্ষেই দাঁড়াতে হয়েছে আমাদের।’ একটা সমাধান যে আর বেশি দূরে নয়, সেটিও বোঝা গেছে সারওয়ানের কথায়, ‘আমরা এটা জেনে খুব খুশি যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এবং প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন একটা সমঝোতায় আসতে পেরেছে এবং চূড়ান্ত সমাধানের জন্য কাজ চলছে।’
তাহলে কি অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই দেখা যাচ্ছে গেইল-সারওয়ানদের? ওয়েবসাইট।
No comments