প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই চাতলাপুর স্থলবন্দরে by মুজিবুর রহমান
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্তে অবস্থিত চাতলাপুর স্থলবন্দরে নেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। খোলা আকাশের নিচে চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে কার্যক্রম পরিচালনা করেন শুল্ক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ইমিগ্রেশন অফিসে নেই বিদ্যুত্সুবিধা।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসহর স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার চাতলাপুর শুল্ক স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন হয় শমশেরনগর সড়ক ব্যবহার করে।
আর চাতলাপুর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে শমশেরনগর বাজারে একটি ভাড়া করা দুই কক্ষের ঘরে চাতলাপুর স্থলবন্দর শুল্ক অফিস রয়েছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে শমশেরনগর থেকে শুল্ক কর্মকর্তারা চাতলাপুর চেকপোস্টে গিয়ে কার্যক্রম চালান।
ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা যখন ট্রাকে করে চিপ পাথর, ইট ও মাছ নিয়ে চাতলাপুর স্থলবন্দরে যান, তখন শমশেরনগর থেকে শুল্ক কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে চাতলাপুর স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে যোগাযোগের জন্য সিলেট বিভাগের স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো চাতলাপুর স্থলবন্দর। অথচ চাতলাপুর স্থলবন্দরে শুল্ক কর্মকর্তাদের বসে কাজ করার মতো কোনো ঘর নেই। রপ্তানিযোগ্য মালামাল খালাসের সময় তাঁরা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মালামাল পরীক্ষা করে কাগজপত্র সই করেন।’
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এই স্থলবন্দরের বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশে কোনো ডাম্পিং স্টেশন (যেখানে মালামাল রেখে পণ্য পরিবহন করা হয়) নেই। তাই রপ্তানিমুখী সিমেন্ট, চিপ পাথর ও ইট খালাসে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়। এতে ব্যবসায়ীদের বাড়তি অর্থ গুনতে হয়।
চাতলাপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর ত্রিপুরার জেলা কৈলাসহরে নিয়মিত রপ্তানি করা হচ্ছে সেভেন রিং ও ফ্রেস সিমেন্ট, প্রচুর পরিমাণে চিপ পাথর ও ইট। ভারতের ত্রিপুরায় এসব সামগ্রীর চাহিদার কারণে উত্সাহী বাংলাদেশি কয়েকজন রপ্তানিকারক নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সিমেন্ট, চিপ পাথর, ইট ও মাছ রপ্তানি করছেন।
১৭ অক্টোবর দুপুরে সরেজমিনে চাতলাপুর স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কথা হয় বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী খন্দকার এন্টারপ্রাইজের মালিক খন্দকার আতিক সেলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পণ্য ও নির্মাণসামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই তাঁরা চাতলাপুর স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরার ব্যবসায়ীদের চাহিদামতো সিমেন্ট, চিপ পাথর, ইট ও মাছ রপ্তানি করছেন।’
অন্যদিকে ভারতীয় ফল কমলা লেবু, আদা, কাঁঠাল, কলাসহ অন্যান্য সামগ্রীর চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। তবে আমদানিকারকেরা জানান, কৈলাসহরের ব্যবসায়ীরা মানসম্পন্ন কমলা লেবু, আদা, কাঁঠাল ও কলা সরবরাহ করতে পারছেন না। তাই তাঁরা আপাতত আমদানি করতে পারছেন না।
ব্যবসায়ীরা বলেন, চাতলাপুর স্থলবন্দরের তেমন কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশি অংশে নেই কোনো ডাম্পিং স্টেশন। তবে মুক্তিযোদ্ধা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সালাউদ্দিন বলেন, তিনি অনেক কষ্টে চাতলাপুর স্থলবন্দরের বাংলাদেশ অংশে একটি ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের অনুমতি পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, ভারতীয় অংশে কৈলাসহরেও নেই কোনো ডাম্পিং স্টেশন। তাই বাংলাদেশ অংশের রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে রেখে পরে ভারতীয় শ্রমিক দিয়ে তাঁদের ট্রাকে পণ্য তুলতে হয়।
বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা আরও বলেন, বিএসএফের কারণে পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাক ভারতীয় অংশে প্রবেশ করে মালামাল খালাস করতে পারছে না।
চাতলাপুর স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এসআই কবির আহমদ বলেন, শমশেরনগর থেকে চাতলাপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করা প্রয়োজন। প্রয়োজন স্থলবন্দর এলাকায় একটি ওয়্যার হাউস নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক সুবিধা বৃদ্ধি করা। আর এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে স্থলবন্দরটির ব্যবহারোপযোগিতা বাড়বে।
এই বন্দর ব্যবহারকারী খন্দকার এন্টারপ্রাইজ, ক্রিসেন্ট ট্রেডিং, তাহরিম এন্টারপ্রাইজ, পিংকি ট্রেডাসের্র স্বত্বাধিকারীরাও তাঁদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বন্দর উন্নয়নে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে সিমেন্ট, ইট, চিপ পাথর ও মাছ রপ্তানি করে এই বন্দর ১৭ হাজার ৫১৬ ডলার আয় করেছে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসহর স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার চাতলাপুর শুল্ক স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পন্ন হয় শমশেরনগর সড়ক ব্যবহার করে।
আর চাতলাপুর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে শমশেরনগর বাজারে একটি ভাড়া করা দুই কক্ষের ঘরে চাতলাপুর স্থলবন্দর শুল্ক অফিস রয়েছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে শমশেরনগর থেকে শুল্ক কর্মকর্তারা চাতলাপুর চেকপোস্টে গিয়ে কার্যক্রম চালান।
ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা যখন ট্রাকে করে চিপ পাথর, ইট ও মাছ নিয়ে চাতলাপুর স্থলবন্দরে যান, তখন শমশেরনগর থেকে শুল্ক কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে চাতলাপুর স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে যোগাযোগের জন্য সিলেট বিভাগের স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো চাতলাপুর স্থলবন্দর। অথচ চাতলাপুর স্থলবন্দরে শুল্ক কর্মকর্তাদের বসে কাজ করার মতো কোনো ঘর নেই। রপ্তানিযোগ্য মালামাল খালাসের সময় তাঁরা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মালামাল পরীক্ষা করে কাগজপত্র সই করেন।’
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এই স্থলবন্দরের বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশে কোনো ডাম্পিং স্টেশন (যেখানে মালামাল রেখে পণ্য পরিবহন করা হয়) নেই। তাই রপ্তানিমুখী সিমেন্ট, চিপ পাথর ও ইট খালাসে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়। এতে ব্যবসায়ীদের বাড়তি অর্থ গুনতে হয়।
চাতলাপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর ত্রিপুরার জেলা কৈলাসহরে নিয়মিত রপ্তানি করা হচ্ছে সেভেন রিং ও ফ্রেস সিমেন্ট, প্রচুর পরিমাণে চিপ পাথর ও ইট। ভারতের ত্রিপুরায় এসব সামগ্রীর চাহিদার কারণে উত্সাহী বাংলাদেশি কয়েকজন রপ্তানিকারক নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে সিমেন্ট, চিপ পাথর, ইট ও মাছ রপ্তানি করছেন।
১৭ অক্টোবর দুপুরে সরেজমিনে চাতলাপুর স্থলবন্দর এলাকা ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কথা হয় বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী খন্দকার এন্টারপ্রাইজের মালিক খন্দকার আতিক সেলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় বাংলাদেশি পণ্য ও নির্মাণসামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই তাঁরা চাতলাপুর স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরার ব্যবসায়ীদের চাহিদামতো সিমেন্ট, চিপ পাথর, ইট ও মাছ রপ্তানি করছেন।’
অন্যদিকে ভারতীয় ফল কমলা লেবু, আদা, কাঁঠাল, কলাসহ অন্যান্য সামগ্রীর চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। তবে আমদানিকারকেরা জানান, কৈলাসহরের ব্যবসায়ীরা মানসম্পন্ন কমলা লেবু, আদা, কাঁঠাল ও কলা সরবরাহ করতে পারছেন না। তাই তাঁরা আপাতত আমদানি করতে পারছেন না।
ব্যবসায়ীরা বলেন, চাতলাপুর স্থলবন্দরের তেমন কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশি অংশে নেই কোনো ডাম্পিং স্টেশন। তবে মুক্তিযোদ্ধা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. সালাউদ্দিন বলেন, তিনি অনেক কষ্টে চাতলাপুর স্থলবন্দরের বাংলাদেশ অংশে একটি ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের অনুমতি পেয়েছেন। তিনি আরও জানান, ভারতীয় অংশে কৈলাসহরেও নেই কোনো ডাম্পিং স্টেশন। তাই বাংলাদেশ অংশের রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে রেখে পরে ভারতীয় শ্রমিক দিয়ে তাঁদের ট্রাকে পণ্য তুলতে হয়।
বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা আরও বলেন, বিএসএফের কারণে পণ্যবাহী বাংলাদেশি ট্রাক ভারতীয় অংশে প্রবেশ করে মালামাল খালাস করতে পারছে না।
চাতলাপুর স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এসআই কবির আহমদ বলেন, শমশেরনগর থেকে চাতলাপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করা প্রয়োজন। প্রয়োজন স্থলবন্দর এলাকায় একটি ওয়্যার হাউস নির্মাণ ও বৈদ্যুতিক সুবিধা বৃদ্ধি করা। আর এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে স্থলবন্দরটির ব্যবহারোপযোগিতা বাড়বে।
এই বন্দর ব্যবহারকারী খন্দকার এন্টারপ্রাইজ, ক্রিসেন্ট ট্রেডিং, তাহরিম এন্টারপ্রাইজ, পিংকি ট্রেডাসের্র স্বত্বাধিকারীরাও তাঁদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বন্দর উন্নয়নে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে সিমেন্ট, ইট, চিপ পাথর ও মাছ রপ্তানি করে এই বন্দর ১৭ হাজার ৫১৬ ডলার আয় করেছে।
No comments