মার্কিন সাহায্য নিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্ক
মার্কিন সাহায্য গ্রহণ করা নিয়ে পাকিস্তান সরকার বেকায়দায় পড়েছে। পাকিস্তানের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, যেসব শর্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিয়েছে, তা মেনে নেওয়ার মতো নয়। এসব শর্ত মেনে সাহায্য গ্রহণ করলে তা দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করবে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্ক হয়। প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সব পক্ষকে ওই সাহায্য গ্রহণে একমত করার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান কৌশল নিয়ে একই দিন ওয়াশিংটনে শীর্ষ উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি পশ্চিমা বাজার, সামরিক প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রবেশাধিকার চেয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রকে আস্থা রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত সাপেক্ষে দেওয়া সাহায্য নিয়ে কোনো উদ্বেগের সৃষ্টি হয়নি—এমন দাবি করে কুরেশি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের দোদুল্যমান অর্থনীতিতে আরও সহায়তা প্রয়োজন, বিশেষ করে পশ্চিমা বাজারে পাকিস্তানি পণ্যের প্রবেশাধিকার খুবই দরকার। আমরা যে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি এটি তার চেয়েও বড়। আমরা বলছি না যে আমাদের সবাই ভাগবাটোয়ারা করে অর্থ সহায়তা করুক। এর চেয়ে আমরা পশ্চিমা বাজারে বেশি করে প্রবেশাধিকার চাইছি।’
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মুসলিম চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, বর্ধিত এই সাহায্য ও বাণিজ্য এর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেস আগামী পাঁচ বছরে পাকিস্তানের জন্য অর্থসহায়তা তিন গুণ করে একটি বিল পাস করেছে। এই সহায়তার পরিমাণ সাড়ে সাত শ কোটি ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র শর্ত হিসেবে বলেছে, সহায়তা লাভের জন্য পাকিস্তানকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি কাটছাঁট এবং জঙ্গিবিরোধী লড়াই আরও জোরদার করতে হবে।
মার্কিন সহায়তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল বিতর্কের মধ্যে গতকাল পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের জন্য সহায়তার নামে যে সাহায্য দিচ্ছে, তাতে আপত্তিকর শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এভাবে ওই সহায়তা নিলে তা হবে দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর। খোদ সেনাবাহিনীর মধ্যেও এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, যদি এ বিষয় নিয়ে পার্লামেন্ট কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে কোনো আপত্তি থেকে থাকে, তাহলে এটা নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে। পার্লামেন্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে সবাইকে মতৈক্যে আনা হবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি বৈঠক করেছেন। কায়ানি ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ওই বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন সহায়তার জন্য জুড়ে দেওয়া শর্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তান কৌশল নিয়ে একই দিন ওয়াশিংটনে শীর্ষ উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি পশ্চিমা বাজার, সামরিক প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রবেশাধিকার চেয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রকে আস্থা রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত সাপেক্ষে দেওয়া সাহায্য নিয়ে কোনো উদ্বেগের সৃষ্টি হয়নি—এমন দাবি করে কুরেশি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের দোদুল্যমান অর্থনীতিতে আরও সহায়তা প্রয়োজন, বিশেষ করে পশ্চিমা বাজারে পাকিস্তানি পণ্যের প্রবেশাধিকার খুবই দরকার। আমরা যে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি এটি তার চেয়েও বড়। আমরা বলছি না যে আমাদের সবাই ভাগবাটোয়ারা করে অর্থ সহায়তা করুক। এর চেয়ে আমরা পশ্চিমা বাজারে বেশি করে প্রবেশাধিকার চাইছি।’
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মুসলিম চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, বর্ধিত এই সাহায্য ও বাণিজ্য এর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেস আগামী পাঁচ বছরে পাকিস্তানের জন্য অর্থসহায়তা তিন গুণ করে একটি বিল পাস করেছে। এই সহায়তার পরিমাণ সাড়ে সাত শ কোটি ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র শর্ত হিসেবে বলেছে, সহায়তা লাভের জন্য পাকিস্তানকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি কাটছাঁট এবং জঙ্গিবিরোধী লড়াই আরও জোরদার করতে হবে।
মার্কিন সহায়তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল বিতর্কের মধ্যে গতকাল পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের জন্য সহায়তার নামে যে সাহায্য দিচ্ছে, তাতে আপত্তিকর শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এভাবে ওই সহায়তা নিলে তা হবে দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর। খোদ সেনাবাহিনীর মধ্যেও এ নিয়ে আপত্তি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, যদি এ বিষয় নিয়ে পার্লামেন্ট কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে কোনো আপত্তি থেকে থাকে, তাহলে এটা নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে। পার্লামেন্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে সবাইকে মতৈক্যে আনা হবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি বৈঠক করেছেন। কায়ানি ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ওই বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন সহায়তার জন্য জুড়ে দেওয়া শর্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
No comments