আইনকানুন কি অকার্যকর হয়ে পড়েছে -‘ভূমিদস্যু’দের দৌরাত্ম্য
‘হাউজিং প্রকল্পের মালিকেরা বিপুল অর্থবিত্তের অধিকারী। লোকমুখে শোনা যায়, তাদের হাত এত লম্বা যে তা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।’ এই কথাগুলো বলেছেন সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের অধিবেশনে। অবৈধভাবে ভূমি দখল ও জলাভূমি ভরাট করে বাণিজ্যিক আবাসিক প্রকল্প গড়ে তোলা প্রসঙ্গে একাধিক সাংসদের উত্থাপিত প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আরও কিছু কথা বলেছেন, যা বেশ প্রণিধানযোগ্য।
যেমন, তিনি বলেছেন যে হাউজিং প্রকল্প করার নামে খাল-বিল-জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। এটা ভূমিদস্যুদের কাজ। হাইকোর্টের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও দখল হওয়া ভূমি উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন, তবে এটা খুবই কঠিন কাজ। মন্ত্রী মহোদয় যাদের ‘ভূমিদস্যু’ বলছেন, তাদের বিপুল অর্থবিত্তের কথাও তিনি উল্লেখ করে বলেছেন যে তাদের হাত অনেক লম্বা। কিন্তু এ ধরনের কথাবার্তায় বক্তার অসহায়ত্বের প্রকাশ ঘটে। এসব ভূমিদস্যুর কাছে সাধারণ মানুষ অসহায় বোধ করতে পারে, কিন্তু সরকার বা রাষ্ট্রের পরিচালকদের উক্তি কেন এমনটি হবে? ‘তাদের হাত হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছায়’—এই কথা বলে মাননীয় মন্ত্রী জনগণের কাছে কী বার্তা পৌঁছাতে চান? সেই সব হাত হাইকোর্টে পৌঁছে কী করে? বিপুল অর্থবিত্তের মালিক ভূমিদস্যুদের লম্বা হাতের সঙ্গে হাইকোর্টের কী সম্পর্ক থাকতে পারে?
বছরের পর বছর ধরে এই ভূমিদুস্যরা অবৈধভাবে ভূমি দখল করে তাদের আবাসন-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। নিচু ও জলমগ্ন ভূমি ভরাট করার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট আইন থাকা সত্ত্বেও তারা এসব করে চলেছে। রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই এগুলো ঘটে চলেছে; কোনো ভূমিদস্যু বাধা পেয়ে তার অবৈধ ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে—এমন দৃষ্টান্ত নেই। বরং দিনে দিনে ঢাকার চারপাশের নিচু জলাভূমিগুলো ভরে উঠছে বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিজেই মন্তব্য করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ঢাকা অচিরেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
হাইকোর্ট ও প্রধানমন্ত্রী অবৈধভাবে দখল করা ভূমি উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন; মাননীয় মন্ত্রীর উক্তি অনুযায়ী, উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফলতা কতটুকু? ‘কাজটা খুব কঠিন’ বলে তো সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। এই মুহূর্তে অনেক বাণিজ্যিক আবাসন প্রকল্প রয়েছে যেগুলোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে নিচু জলাভূমিতে, যা ভরাট করা আইনত নিষিদ্ধ। অনেক আবাসন প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেয়নি, রাজউকের অনুমোদন পায়নি, অথচ সেগুলোর কাজ এগিয়ে চলেছে; সংবাদমাধ্যমে সেসব প্রকল্পে প্লট বিক্রির চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে, মানুষ প্লটের বুকিংও দিচ্ছে।
এগুলো বন্ধ করতে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগই যথেষ্ট। কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না কেন? ‘ভূমিদস্যু’দের লম্বা হাতের কাছে কি রাষ্ট্রের আইনকানুন, সরকার ও বিচারব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে?
যেমন, তিনি বলেছেন যে হাউজিং প্রকল্প করার নামে খাল-বিল-জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। এটা ভূমিদস্যুদের কাজ। হাইকোর্টের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও দখল হওয়া ভূমি উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন, তবে এটা খুবই কঠিন কাজ। মন্ত্রী মহোদয় যাদের ‘ভূমিদস্যু’ বলছেন, তাদের বিপুল অর্থবিত্তের কথাও তিনি উল্লেখ করে বলেছেন যে তাদের হাত অনেক লম্বা। কিন্তু এ ধরনের কথাবার্তায় বক্তার অসহায়ত্বের প্রকাশ ঘটে। এসব ভূমিদস্যুর কাছে সাধারণ মানুষ অসহায় বোধ করতে পারে, কিন্তু সরকার বা রাষ্ট্রের পরিচালকদের উক্তি কেন এমনটি হবে? ‘তাদের হাত হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছায়’—এই কথা বলে মাননীয় মন্ত্রী জনগণের কাছে কী বার্তা পৌঁছাতে চান? সেই সব হাত হাইকোর্টে পৌঁছে কী করে? বিপুল অর্থবিত্তের মালিক ভূমিদস্যুদের লম্বা হাতের সঙ্গে হাইকোর্টের কী সম্পর্ক থাকতে পারে?
বছরের পর বছর ধরে এই ভূমিদুস্যরা অবৈধভাবে ভূমি দখল করে তাদের আবাসন-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। নিচু ও জলমগ্ন ভূমি ভরাট করার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট আইন থাকা সত্ত্বেও তারা এসব করে চলেছে। রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই এগুলো ঘটে চলেছে; কোনো ভূমিদস্যু বাধা পেয়ে তার অবৈধ ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে—এমন দৃষ্টান্ত নেই। বরং দিনে দিনে ঢাকার চারপাশের নিচু জলাভূমিগুলো ভরে উঠছে বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নিজেই মন্তব্য করেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ঢাকা অচিরেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
হাইকোর্ট ও প্রধানমন্ত্রী অবৈধভাবে দখল করা ভূমি উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন; মাননীয় মন্ত্রীর উক্তি অনুযায়ী, উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সফলতা কতটুকু? ‘কাজটা খুব কঠিন’ বলে তো সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। এই মুহূর্তে অনেক বাণিজ্যিক আবাসন প্রকল্প রয়েছে যেগুলোর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে নিচু জলাভূমিতে, যা ভরাট করা আইনত নিষিদ্ধ। অনেক আবাসন প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেয়নি, রাজউকের অনুমোদন পায়নি, অথচ সেগুলোর কাজ এগিয়ে চলেছে; সংবাদমাধ্যমে সেসব প্রকল্পে প্লট বিক্রির চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে, মানুষ প্লটের বুকিংও দিচ্ছে।
এগুলো বন্ধ করতে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগই যথেষ্ট। কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না কেন? ‘ভূমিদস্যু’দের লম্বা হাতের কাছে কি রাষ্ট্রের আইনকানুন, সরকার ও বিচারব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে?
No comments