শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি মিশেলেত্তি
হন্ডুরাসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট রবার্তো মিশেলেত্তি বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল জেলায়া ক্ষমতায় ফিরে আসার দাবি থেকে সরে এলে তিনিও ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি আছেন। গত বুধবার অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ কথা বলেন তিনি। মিশেলেত্তি বলেন, ‘সংকট সমাধানের পথে আমি বাধা হয়ে থাকলে সরে দাঁড়াতে রাজি আছি। কিন্তু শর্ত হচ্ছে, এই লোকটিকেও (জেলায়া) সরে দাঁড়াতে হবে।’
গত ২৮ আগস্ট এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেলায়াকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠায় হন্ডুরাসের সামরিক বাহিনী। ওই দিনই অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন সে দেশের কংগ্রেসের তত্কালীন স্পিকার মিশেলেত্তি। এর পর থেকে সেখানে রাজনৈতিক সংকট চলছে। গত ২১ আগস্ট গোপনে দেশে ফেরেন জেলায়া। এরপর সংকট সমাধানে নতুন করে সমঝোতার উদ্যোগ নেয় ওএএস। এরই অংশ হিসেবে বুধবার ওএএসের মহাসচিব হোসে মিগুয়েল ইনসুলজা রাজধানী তেগুচিগালপায় আসেন। দুপুরে একটি হোটেলে তাঁর নেতৃত্বে ওএএসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিশেলেত্তির আলোচনা শুরু হয়।
বৈঠকে মিশেলেত্তি বলেন, আগামী ২৯ নভেম্বরের নির্বাচন থামানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে আন্তর্জাতিক সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে ওই নির্বাচন হলে তা স্বীকৃতি পাবে না। ওএএসের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে রয়েছেন লাতিন আমেরিকার পাঁচজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনজন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা টমাস শ্যানন।
ওএএসের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এখানে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ শুনতে আসিনি। এই রাজনৈতিক অচলাবস্থার একটি সুনির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।’ বৈঠকে জেলায়ার প্রতিনিধিরা দাবি জানিয়েছেন, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে নিঃশর্তভাবে জেলায়াকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করতে হবে। এই শর্ত মানতে দেরি হলে নভেম্বরের নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তাঁরা।
এদিকে স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এক সাক্ষাত্কারে জেলায়া বলেন, ‘নীতিগত অবস্থান থেকে আমরা সরে আসব না। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, আমাকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া।’
গত ২৮ আগস্ট এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেলায়াকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠায় হন্ডুরাসের সামরিক বাহিনী। ওই দিনই অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন সে দেশের কংগ্রেসের তত্কালীন স্পিকার মিশেলেত্তি। এর পর থেকে সেখানে রাজনৈতিক সংকট চলছে। গত ২১ আগস্ট গোপনে দেশে ফেরেন জেলায়া। এরপর সংকট সমাধানে নতুন করে সমঝোতার উদ্যোগ নেয় ওএএস। এরই অংশ হিসেবে বুধবার ওএএসের মহাসচিব হোসে মিগুয়েল ইনসুলজা রাজধানী তেগুচিগালপায় আসেন। দুপুরে একটি হোটেলে তাঁর নেতৃত্বে ওএএসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিশেলেত্তির আলোচনা শুরু হয়।
বৈঠকে মিশেলেত্তি বলেন, আগামী ২৯ নভেম্বরের নির্বাচন থামানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে আন্তর্জাতিক সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বর্তমান সরকারের অধীনে ওই নির্বাচন হলে তা স্বীকৃতি পাবে না। ওএএসের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে রয়েছেন লাতিন আমেরিকার পাঁচজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তিনজন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা টমাস শ্যানন।
ওএএসের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এখানে পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ শুনতে আসিনি। এই রাজনৈতিক অচলাবস্থার একটি সুনির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য।’ বৈঠকে জেলায়ার প্রতিনিধিরা দাবি জানিয়েছেন, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে নিঃশর্তভাবে জেলায়াকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করতে হবে। এই শর্ত মানতে দেরি হলে নভেম্বরের নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেন তাঁরা।
এদিকে স্থানীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এক সাক্ষাত্কারে জেলায়া বলেন, ‘নীতিগত অবস্থান থেকে আমরা সরে আসব না। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, আমাকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া।’
No comments