বাংলাদেশ ভালো করলেও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শাস্তি দিচ্ছে
বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট হয়নি। লেনদেনের ভারসাম্যে কোনো সংকট তৈরি হয়নি। এর পরও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে শাস্তি দিচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় এসব অভিযোগ তোলেন। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী সভার সমাপনী দিনে গত বুধবার তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সতর্কতামূলক বাণিজ্য অর্থায়ন ও ঋণ ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোনো আর্থিক সংকটে পড়েনি। কিন্তু তেল, সার ও খাদ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশের স্বল্প মেয়াদে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে বাণিজ্য কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য অর্থায়ন না করায় স্বল্প মেয়াদে উচ্চ সুদে বাংলাদেশকে ঋণ করতে হয়।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানের উচিত বাংলাদেশের মতো অর্থনীতিকে অনুদান ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া।
অর্থমন্ত্রী একই সঙ্গে বড় কোনো শর্ত আরোপ না করেই এসব অর্থ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, এতে নিম্ন আয়ের ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি প্রকৃত খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে পারে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল রায় নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সরকার নির্বাচনের আগে যে ইশতেহার প্রকাশ করেছিল, তাতে পরিষ্কার প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত, প্রযুক্তিনির্ভর ও মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তর করা। ওই সময়ে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ করবে। এ জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর সকল সময় ও পরিশ্রমে আত্মনিয়োগ করেছেন।
মুহিত আরও বলেন, লক্ষ্য অর্জনের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দিয়েছে সরকার। তবে এ জন্য কাউকে আতঙ্কিত না করে জনপ্রশাসনের সংস্কার, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক শক্তি গতিশীল করাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, একই সঙ্গে জাতীয় ইস্যুতে সংসদে বিতর্ক, জনগণের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিকে জোর দিয়েছে সরকার।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সরকার তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইতিমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দ্বিতীয় দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (পিআরএসপি) নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনায় সরকার এখন প্রস্তুত।
মুহিত বলেন, বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। রপ্তানি খাতকে ধরে রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে উদ্দীপনামূলক সহায়তা প্যাকেজ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে বাংলাদেশের বৃহত্ আকারে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় বাংলাদেশ প্রথম দফার ধাক্কা এড়াতে পেরেছে এবং প্রায় ছয় শতাংশের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে।
তবে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে দ্বিতীয় দফার ধাক্কায় আক্রান্ত হতে পারে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই রপ্তানি-আয়ের নিম্নমুখী প্রবণতা এবং জনশক্তি রপ্তানি কমে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের হয়েছে।
তবে প্রবাসী-আয় কমেনি উল্লেখ করে এর কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থাপনায় উন্নতি এসেছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, মন্দার প্রভাবে রাজস্ব প্রবাহ কমে গেছে এবং বিনিয়োগে কোনো গতি নেই। তবে করের গভীরতা বাড়ানো এবং করের আওতা বাড়ানোতে কিছু ফল আসতে পারে। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে যে বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার ওপর প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে।
মুহিত অবকাঠামোর প্রতিবন্ধকতা এবং জ্বালানি ও বিদ্যুত্ সরবরাহের নাজুক অবস্থা অর্থনীতিকে অগ্রসর হতে দিচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেন।
সরকার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে বিশাল পরিকল্পনা নিয়েছে তাতে উন্নয়ন সহযোগী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৬ ও ৭ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হলেও রাজপথে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় এসব অভিযোগ তোলেন। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী সভার সমাপনী দিনে গত বুধবার তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সতর্কতামূলক বাণিজ্য অর্থায়ন ও ঋণ ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোনো আর্থিক সংকটে পড়েনি। কিন্তু তেল, সার ও খাদ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশের স্বল্প মেয়াদে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে বাণিজ্য কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য অর্থায়ন না করায় স্বল্প মেয়াদে উচ্চ সুদে বাংলাদেশকে ঋণ করতে হয়।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানের উচিত বাংলাদেশের মতো অর্থনীতিকে অনুদান ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া।
অর্থমন্ত্রী একই সঙ্গে বড় কোনো শর্ত আরোপ না করেই এসব অর্থ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, এতে নিম্ন আয়ের ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি প্রকৃত খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে পারে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের বিপুল রায় নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সরকার নির্বাচনের আগে যে ইশতেহার প্রকাশ করেছিল, তাতে পরিষ্কার প্রতিশ্রুতি ছিল ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত, প্রযুক্তিনির্ভর ও মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তর করা। ওই সময়ে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ করবে। এ জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর সকল সময় ও পরিশ্রমে আত্মনিয়োগ করেছেন।
মুহিত আরও বলেন, লক্ষ্য অর্জনের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপরও জোর দিয়েছে সরকার। তবে এ জন্য কাউকে আতঙ্কিত না করে জনপ্রশাসনের সংস্কার, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক শক্তি গতিশীল করাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, একই সঙ্গে জাতীয় ইস্যুতে সংসদে বিতর্ক, জনগণের সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিকে জোর দিয়েছে সরকার।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সরকার তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইতিমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দ্বিতীয় দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (পিআরএসপি) নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনায় সরকার এখন প্রস্তুত।
মুহিত বলেন, বিশ্বমন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। রপ্তানি খাতকে ধরে রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে উদ্দীপনামূলক সহায়তা প্যাকেজ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে বাংলাদেশের বৃহত্ আকারে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় বাংলাদেশ প্রথম দফার ধাক্কা এড়াতে পেরেছে এবং প্রায় ছয় শতাংশের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে।
তবে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে দ্বিতীয় দফার ধাক্কায় আক্রান্ত হতে পারে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই রপ্তানি-আয়ের নিম্নমুখী প্রবণতা এবং জনশক্তি রপ্তানি কমে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের হয়েছে।
তবে প্রবাসী-আয় কমেনি উল্লেখ করে এর কারণ হিসেবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থাপনায় উন্নতি এসেছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, মন্দার প্রভাবে রাজস্ব প্রবাহ কমে গেছে এবং বিনিয়োগে কোনো গতি নেই। তবে করের গভীরতা বাড়ানো এবং করের আওতা বাড়ানোতে কিছু ফল আসতে পারে। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে যে বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার ওপর প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে।
মুহিত অবকাঠামোর প্রতিবন্ধকতা এবং জ্বালানি ও বিদ্যুত্ সরবরাহের নাজুক অবস্থা অর্থনীতিকে অগ্রসর হতে দিচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেন।
সরকার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে বিশাল পরিকল্পনা নিয়েছে তাতে উন্নয়ন সহযোগী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৬ ও ৭ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হলেও রাজপথে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
No comments