সেবা খাতে রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ
প্রথমবারের মতো দেশের সেবা খাতে রপ্তানির বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত রপ্তানিনীতিতেও সেবা খাত রপ্তানির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে, যা ইতিমধ্যেই অনুমোদিত হয়েছে।
জানা গেছে, সেবা খাত রপ্তানির ব্যাপারে সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। তবে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সেবা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেমন- স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা ও পর্যটন ইত্যাদি।
সূত্রগুলো জানায়, বর্তমানেও দেশের সেবা খাত থেকে রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু এ সম্পর্কে সমন্বিত কোনো নীতিমালা নেই। তবে একেক মন্ত্রণালয় একেকভাবে সেবা খাত রপ্তানির ব্যাপারে সুপারিশ করে থাকে। এতে অনেক ক্ষেত্রেই সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ জনগণকে।
সম্প্রতি সেবা খাতসংক্রান্ত বিষয়ে দেশের অবস্থান নিরূপণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত বুধবার।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে সেবা খাতসংশ্লিষ্ট যেসব বিধিবিধান রয়েছে, তা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সেবা খাত রপ্তানির বিদ্যমান বিধিবিধান কী এবং এসব বিধিবিধান কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয়গুলো যাতে সুপারিশসংবলিত মতামত পাঠায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাজার সম্প্রসারণ ও বাজার বহুমুখীকরণ এখন সময়ের দাবি। তাই পণ্য খাতের পাশাপাশি সেবা খাতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। সে কারণেই প্রতিবছর রপ্তানিনীতি শুধু পণ্য খাতের জন্য প্রণয়ন করা হলেও প্রথমবারের মতো এবার সেবা খাতকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী দিনে রপ্তানি বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে সেবা খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তাঁরা মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে জানান, প্রথম দফায় সার্কভুক্ত দেশগুলোতে সেবা খাত রপ্তানির ব্যাপারে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ জন্যই এসব দেশের ব্যাপারে নিয়মনীতি তৈরির কাজে আগে হাত দেওয়া হয়েছে। মাত্র দুটি বৈঠক হয়েছে, সামনে আরও হবে।
তারপর অন্যান্য দেশের ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপর্যায়ের ওই কর্মকর্তা। তিনি জানান, সব মিলিয়েই প্রণয়ন করা হবে একটি সমন্বিত সেবা খাত রপ্তানি নীতিমালা। এ জন্য বেশি দিন সময়ও নেওয়া হবে না।
সাধারণভাবে সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত প্রধান উপখাতগুলো হলো: পর্যটন, শিক্ষা, চিকিত্সা ও আর্থিক সেবা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সেবা খাতে রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ১৮৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
জানা গেছে, সেবা খাত রপ্তানির ব্যাপারে সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। তবে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সেবা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেমন- স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা ও পর্যটন ইত্যাদি।
সূত্রগুলো জানায়, বর্তমানেও দেশের সেবা খাত থেকে রপ্তানি হচ্ছে। কিন্তু এ সম্পর্কে সমন্বিত কোনো নীতিমালা নেই। তবে একেক মন্ত্রণালয় একেকভাবে সেবা খাত রপ্তানির ব্যাপারে সুপারিশ করে থাকে। এতে অনেক ক্ষেত্রেই সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ জনগণকে।
সম্প্রতি সেবা খাতসংক্রান্ত বিষয়ে দেশের অবস্থান নিরূপণ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত বুধবার।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে সেবা খাতসংশ্লিষ্ট যেসব বিধিবিধান রয়েছে, তা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সেবা খাত রপ্তানির বিদ্যমান বিধিবিধান কী এবং এসব বিধিবিধান কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয়গুলো যাতে সুপারিশসংবলিত মতামত পাঠায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাজার সম্প্রসারণ ও বাজার বহুমুখীকরণ এখন সময়ের দাবি। তাই পণ্য খাতের পাশাপাশি সেবা খাতকেও গুরুত্ব দিতে হবে। সে কারণেই প্রতিবছর রপ্তানিনীতি শুধু পণ্য খাতের জন্য প্রণয়ন করা হলেও প্রথমবারের মতো এবার সেবা খাতকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী দিনে রপ্তানি বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে সেবা খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তাঁরা মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে জানান, প্রথম দফায় সার্কভুক্ত দেশগুলোতে সেবা খাত রপ্তানির ব্যাপারে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ জন্যই এসব দেশের ব্যাপারে নিয়মনীতি তৈরির কাজে আগে হাত দেওয়া হয়েছে। মাত্র দুটি বৈঠক হয়েছে, সামনে আরও হবে।
তারপর অন্যান্য দেশের ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপর্যায়ের ওই কর্মকর্তা। তিনি জানান, সব মিলিয়েই প্রণয়ন করা হবে একটি সমন্বিত সেবা খাত রপ্তানি নীতিমালা। এ জন্য বেশি দিন সময়ও নেওয়া হবে না।
সাধারণভাবে সেবা খাতের অন্তর্ভুক্ত প্রধান উপখাতগুলো হলো: পর্যটন, শিক্ষা, চিকিত্সা ও আর্থিক সেবা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে সেবা খাতে রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ১৮৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
No comments