এবার চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান আল-কায়েদার
সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর হামলার জবাবে চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে আল-কায়েদা। এক ভিডিও-বার্তায় সংগঠনটির শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার আবু ইয়াইহা আল লিবি উইঘুরদের প্রতি চীনা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদের আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইনটেলসেন্টার এ কথা জানিয়েছে।
২০ মিনিটের এক ভিডিও-বার্তায় আফগানিস্তানে আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় এই কমান্ডার উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘চীনের নাস্তিকেরা পূর্ব তুর্কিস্তানে উইঘুর মুসলমানদের ওপর ঘৃণ্য, নিষ্ঠুর ও বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। তারা সেখানে হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে। কিন্তু কেউ তাদের প্রকৃত সংখ্যা জানে না।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের এখন পবিত্র দায়িত্ব হলো পূর্ব তুর্কিস্তানে তাদের আহত ভাইদের পাশে দাঁড়ানো।’
আল-কায়েদা চীনের মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশ জিনজিয়াংকে ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
ইনটেলসেন্টার জানায়, গত মঙ্গলবার আল-কায়েদার গণমাধ্যম শাখা আল-সাহাব এই ভিডিও-বার্তা প্রকাশ করে। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে অথবা আগস্টের শুরুতে এই ভিডিও-বার্তা রেকর্ড করা হয়ে থাকতে পারে।
লিবি বলেন, ‘তুর্কিস্তানের মুসলমানদের জানা উচিত, তাদের ওপর চীনা সরকারের অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ থেকে পুনরুদ্ধারেরও কোনো উপায় নেই। কিন্তু তাদের যত দ্রুত সম্ভব সত্যিকারের বিশ্বাসে ফিরে আসা উচিত। তুর্কিস্তানের মুসলমানদের জিহাদের জন্য প্রস্তুত হওয়া দরকার।’
লিবি আরও বলেন, ‘জিনজিয়াংয়ে মুসলমানেরা বৈষম্যের শিকার। এ কারণে আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের যে পরিণতি হয়েছিল, চীনা কমিউনিস্টদেরও সেই একই ভাগ্য বরণ করতে হবে।’
লিবি বলেন, ‘চীনা সরকার তুর্কিস্তানের মুসলমানদের বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা মুসলমানদের সেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে তাদের ওপর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারা মুসলমানদের বিলুপ্ত করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।’
জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর সম্প্রদায়ের অভিযোগ, চীনা সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের নামে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়ভাবে তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত ৫ জুলাই শুরু হওয়া জিনজিয়াংয়ে চীনা আদিবাসী গোষ্ঠী হান ও উইঘুর মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৮৪ জন নিহত হয়। সংঘর্ষে আহত হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি। তাদের বেশির ভাগই হান জাতিগোষ্ঠীর বলে চীনা সরকার দাবি করেছে।
২০ মিনিটের এক ভিডিও-বার্তায় আফগানিস্তানে আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় এই কমান্ডার উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘চীনের নাস্তিকেরা পূর্ব তুর্কিস্তানে উইঘুর মুসলমানদের ওপর ঘৃণ্য, নিষ্ঠুর ও বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। তারা সেখানে হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে। কিন্তু কেউ তাদের প্রকৃত সংখ্যা জানে না।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সমগ্র মুসলমানের এখন পবিত্র দায়িত্ব হলো পূর্ব তুর্কিস্তানে তাদের আহত ভাইদের পাশে দাঁড়ানো।’
আল-কায়েদা চীনের মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশ জিনজিয়াংকে ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
ইনটেলসেন্টার জানায়, গত মঙ্গলবার আল-কায়েদার গণমাধ্যম শাখা আল-সাহাব এই ভিডিও-বার্তা প্রকাশ করে। গত জুলাইয়ের শেষ দিকে অথবা আগস্টের শুরুতে এই ভিডিও-বার্তা রেকর্ড করা হয়ে থাকতে পারে।
লিবি বলেন, ‘তুর্কিস্তানের মুসলমানদের জানা উচিত, তাদের ওপর চীনা সরকারের অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব নয়। এ থেকে পুনরুদ্ধারেরও কোনো উপায় নেই। কিন্তু তাদের যত দ্রুত সম্ভব সত্যিকারের বিশ্বাসে ফিরে আসা উচিত। তুর্কিস্তানের মুসলমানদের জিহাদের জন্য প্রস্তুত হওয়া দরকার।’
লিবি আরও বলেন, ‘জিনজিয়াংয়ে মুসলমানেরা বৈষম্যের শিকার। এ কারণে আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের যে পরিণতি হয়েছিল, চীনা কমিউনিস্টদেরও সেই একই ভাগ্য বরণ করতে হবে।’
লিবি বলেন, ‘চীনা সরকার তুর্কিস্তানের মুসলমানদের বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা মুসলমানদের সেই দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে তাদের ওপর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তারা মুসলমানদের বিলুপ্ত করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।’
জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর সম্প্রদায়ের অভিযোগ, চীনা সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের নামে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয়ভাবে তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত ৫ জুলাই শুরু হওয়া জিনজিয়াংয়ে চীনা আদিবাসী গোষ্ঠী হান ও উইঘুর মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৮৪ জন নিহত হয়। সংঘর্ষে আহত হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি। তাদের বেশির ভাগই হান জাতিগোষ্ঠীর বলে চীনা সরকার দাবি করেছে।
No comments