ফুটবলের এত আয়োজন, মাঠ কোথায়?
আর্থিক সংকট নয়, বাফুফের কাছে এখন সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার নাম মাঠ।
বাফুফের সবেধন নীলমণি মাঠ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দিনে দুটি করে খেলা চালাতে গিয়ে সেটির অবস্থা এখন বেহাল। বৃষ্টির কারণে মাঠ কাদায় থিকথিক করছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য এরই মধ্যে বারকয়েক ফেডারেশন কাপ বন্ধ করে মাঠটাকে একটু রেহাই দেওয়া হয়েছে বটে। কিন্তু প্রতিদিনই হচ্ছে বৃষ্টি, এ অবস্থায় সামনে যে কী ঘটবে কেউ বলতে পারছে না।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কাল বিকেলে কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলেন মাঠের ব্যাপারে আলোচনা করতে। কী সিদ্ধান্ত হলো জানতে চাইলে বললেন, ‘আমি আসলে কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছি না। প্রকৃতির ওপর তো কারও হাত নেই। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে যে খেলা এগিয়ে নেব, বুঝতে পারছি না।’
সাফ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরদিন সালাউদ্দিন বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলকে চাঙা করতে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট তিনি করবেন। বেশির ভাগই ঢাকায় করার ইচ্ছা তাঁর। কিন্তু কোথায় করবেন? সালাউদ্দিন যত পরিকল্পনাই করুন, মাঠ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকলে সব পরিকল্পনাই মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। সালাউদ্দিন বললেন, ‘সরকারকে চিঠি দিয়ে বলব, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ সংস্কার করে দিন। না দিলে আমাদের পক্ষে খেলা চালানোই আর সম্ভব নয়। আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকব।’
সামনে ব্যস্ত সূচি। ডিসেম্বরে সাফ ফুটবল, জানুয়ারিতে এসএ গেমস। আছে ঘরোয়া খেলা। কমলাপুর স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কয়েক মাস আগে। এখনো সেটি তৈরি হয়নি খেলার জন্য। এ জন্য বন্ধ হয়ে আছে সিনিয়র ডিভিশন লিগ। শুধু আন্তর্জাতিক ফুটবল আর ফেডারেশন কাপ, বি-লিগ খেললেই তো আর খেলোয়াড় তৈরি হয়ে যাবে না, বলছেন ফুটবল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। নিচের দিকের লিগগুলো মাঠের অভাবে বন্ধ থাকায় এক কর্মকর্তা ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘সবাই ব্যস্ত পেশাদার লিগ নিয়ে। বাকি লিগগুলো যে হচ্ছে না, সেদিকে কারোরই নজর নেই। মাঠ নেই বলে থমকে আছে সব।’
নতুন মাঠ দূরে থাক, হাতের পাঁচ হয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ গত মৌসুমে মোটামুটি ভালো থাকলেও এবার এটির অবস্থা খুবই খারাপ। ৬ সেপ্টেম্বর আবাহনী-মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচটা হয়েছে থিকথিকে কাদা মাঠে। আবাহনী অধিনায়ক বিপ্লব ওই দিন খেলার পরে বলেছিলেন, ‘সংস্কারের পর গত বছরও মাঠটা ভালোই ছিল। কিন্তু এবার বৃষ্টিতে এত কাদা হবে ভাবতেই পারিনি। মনে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চেয়ে আমাদের আবাহনী মাঠটা ভালো।’
বলাই বাহুল্য, মাঠের দুরবস্থার জন্য প্রাথমিক দায় বৃষ্টির। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টি আরও হতে পারে। বৃষ্টির বাগড়ায় দুবার সিটিসেল ফেডারেশন কাপ পিছিয়েছে। গত এক মাসে ফেডারেশন কাপের মাত্র গ্রুপ পর্ব শেষ হয়েছে। ৭ তারিখের পরিবর্তে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব ১১ তারিখ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বৃষ্টি সেটি হতে দেবে তো? বৃষ্টি হতেই পারে। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের দায়টা এড়াবে কী করে? অর্ধশতাব্দীরও বেশি পুরোনো মাঠের পানি নিষ্কাশন-ব্যবস্থা কেন এখনো প্রস্তরযুগে পড়ে থাকবে?
ঘরোয়া ফুটবলের ভবিষ্যত্ কী তাহলে? মুক্তিযোদ্ধার কোচ গোলাম সারোয়ার টিপুর কাছে এই প্রশ্নের উত্তর নেই, ‘কী হবে বুঝতে পারছি না। বৃষ্টি হচ্ছেই, এ অবস্থায় মাঠ তৈরি না করে খেলা শুরু করা ঠিক হবে না। মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ। তার ওপর শুনছি, জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য খেলোয়াড় চায় কোচ। ক্লাবগুলো সমস্যায় পড়বে।’
৪ থেকে ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সাফ ফুটবলের জন্য ১ নভেম্বর থেকেই জাতীয় দলের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় বাফুফে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। সে ক্ষেত্রে ফেডারেশন কাপ শেষ করে বি-লিগ সম্ভবত সাফ ফুটবলের আগে শুরু করা যাবে না। জানুয়ারিতে এসএ গেমস, ৩-১৩ ফেব্রুয়ারি কলম্বোয় চ্যালেঞ্জ কাপ, বি-লিগ কবে শেষ হবে বলা কঠিন। রয়েছে সুপার কাপ—এতগুলো টুর্নামেন্ট কোথায় হবে? বিকল্প মাঠই যে এর সমাধান, সেটা না বললেও চলছে। তাই বাফুফেকে মোহামেডান কর্মকর্তা লোকমান হোসেনের পরামর্শ, ‘বিকল্প একটা মাঠ বের করুন। এক মাঠে গোটা মৌসুম চালানো সম্ভব নয়।’
বিকল্প মাঠ সুদূরপরাহতই মনে হচ্ছে, বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য আগেই ছাড়পত্র লাগবে, এই জটিলতায় আর্মি স্টেডিয়াম ব্যবহার করা গেল না। ফুটবলের এত আয়োজন, খেলা হবে কোথায় সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
বাফুফের সবেধন নীলমণি মাঠ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দিনে দুটি করে খেলা চালাতে গিয়ে সেটির অবস্থা এখন বেহাল। বৃষ্টির কারণে মাঠ কাদায় থিকথিক করছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য এরই মধ্যে বারকয়েক ফেডারেশন কাপ বন্ধ করে মাঠটাকে একটু রেহাই দেওয়া হয়েছে বটে। কিন্তু প্রতিদিনই হচ্ছে বৃষ্টি, এ অবস্থায় সামনে যে কী ঘটবে কেউ বলতে পারছে না।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন কাল বিকেলে কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেছিলেন মাঠের ব্যাপারে আলোচনা করতে। কী সিদ্ধান্ত হলো জানতে চাইলে বললেন, ‘আমি আসলে কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছি না। প্রকৃতির ওপর তো কারও হাত নেই। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে যে খেলা এগিয়ে নেব, বুঝতে পারছি না।’
সাফ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরদিন সালাউদ্দিন বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলকে চাঙা করতে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট তিনি করবেন। বেশির ভাগই ঢাকায় করার ইচ্ছা তাঁর। কিন্তু কোথায় করবেন? সালাউদ্দিন যত পরিকল্পনাই করুন, মাঠ এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকলে সব পরিকল্পনাই মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য। সালাউদ্দিন বললেন, ‘সরকারকে চিঠি দিয়ে বলব, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ সংস্কার করে দিন। না দিলে আমাদের পক্ষে খেলা চালানোই আর সম্ভব নয়। আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকব।’
সামনে ব্যস্ত সূচি। ডিসেম্বরে সাফ ফুটবল, জানুয়ারিতে এসএ গেমস। আছে ঘরোয়া খেলা। কমলাপুর স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কয়েক মাস আগে। এখনো সেটি তৈরি হয়নি খেলার জন্য। এ জন্য বন্ধ হয়ে আছে সিনিয়র ডিভিশন লিগ। শুধু আন্তর্জাতিক ফুটবল আর ফেডারেশন কাপ, বি-লিগ খেললেই তো আর খেলোয়াড় তৈরি হয়ে যাবে না, বলছেন ফুটবল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। নিচের দিকের লিগগুলো মাঠের অভাবে বন্ধ থাকায় এক কর্মকর্তা ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, ‘সবাই ব্যস্ত পেশাদার লিগ নিয়ে। বাকি লিগগুলো যে হচ্ছে না, সেদিকে কারোরই নজর নেই। মাঠ নেই বলে থমকে আছে সব।’
নতুন মাঠ দূরে থাক, হাতের পাঁচ হয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ গত মৌসুমে মোটামুটি ভালো থাকলেও এবার এটির অবস্থা খুবই খারাপ। ৬ সেপ্টেম্বর আবাহনী-মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচটা হয়েছে থিকথিকে কাদা মাঠে। আবাহনী অধিনায়ক বিপ্লব ওই দিন খেলার পরে বলেছিলেন, ‘সংস্কারের পর গত বছরও মাঠটা ভালোই ছিল। কিন্তু এবার বৃষ্টিতে এত কাদা হবে ভাবতেই পারিনি। মনে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চেয়ে আমাদের আবাহনী মাঠটা ভালো।’
বলাই বাহুল্য, মাঠের দুরবস্থার জন্য প্রাথমিক দায় বৃষ্টির। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টি আরও হতে পারে। বৃষ্টির বাগড়ায় দুবার সিটিসেল ফেডারেশন কাপ পিছিয়েছে। গত এক মাসে ফেডারেশন কাপের মাত্র গ্রুপ পর্ব শেষ হয়েছে। ৭ তারিখের পরিবর্তে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব ১১ তারিখ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বৃষ্টি সেটি হতে দেবে তো? বৃষ্টি হতেই পারে। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদের দায়টা এড়াবে কী করে? অর্ধশতাব্দীরও বেশি পুরোনো মাঠের পানি নিষ্কাশন-ব্যবস্থা কেন এখনো প্রস্তরযুগে পড়ে থাকবে?
ঘরোয়া ফুটবলের ভবিষ্যত্ কী তাহলে? মুক্তিযোদ্ধার কোচ গোলাম সারোয়ার টিপুর কাছে এই প্রশ্নের উত্তর নেই, ‘কী হবে বুঝতে পারছি না। বৃষ্টি হচ্ছেই, এ অবস্থায় মাঠ তৈরি না করে খেলা শুরু করা ঠিক হবে না। মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ। তার ওপর শুনছি, জাতীয় দলের ক্যাম্পের জন্য খেলোয়াড় চায় কোচ। ক্লাবগুলো সমস্যায় পড়বে।’
৪ থেকে ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সাফ ফুটবলের জন্য ১ নভেম্বর থেকেই জাতীয় দলের প্রস্তুতি শুরু করতে চায় বাফুফে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। সে ক্ষেত্রে ফেডারেশন কাপ শেষ করে বি-লিগ সম্ভবত সাফ ফুটবলের আগে শুরু করা যাবে না। জানুয়ারিতে এসএ গেমস, ৩-১৩ ফেব্রুয়ারি কলম্বোয় চ্যালেঞ্জ কাপ, বি-লিগ কবে শেষ হবে বলা কঠিন। রয়েছে সুপার কাপ—এতগুলো টুর্নামেন্ট কোথায় হবে? বিকল্প মাঠই যে এর সমাধান, সেটা না বললেও চলছে। তাই বাফুফেকে মোহামেডান কর্মকর্তা লোকমান হোসেনের পরামর্শ, ‘বিকল্প একটা মাঠ বের করুন। এক মাঠে গোটা মৌসুম চালানো সম্ভব নয়।’
বিকল্প মাঠ সুদূরপরাহতই মনে হচ্ছে, বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য আগেই ছাড়পত্র লাগবে, এই জটিলতায় আর্মি স্টেডিয়াম ব্যবহার করা গেল না। ফুটবলের এত আয়োজন, খেলা হবে কোথায় সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
No comments