কী প্রক্রিয়ায় তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে; স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন -সাক্ষাৎকারে আহসানুল করিম by সাজেদুল হক
সুপ্রিম
কোর্টের খ্যাতিমান আইনজীবী আহসানুল করিম বলেছেন, বিচারপতিদের সুনামের
সঙ্গে বিচার বিভাগের সুনামের প্রশ্ন জড়িত। কী প্রক্রিয়ায় তিন বিচারপতির
বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে তা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। সম্প্রতি নিজ চেম্বারে
মানবজমিন ও একটি ইংরেজি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমানে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল আছে বলেও মনে করেন এই আইনবিদ।
তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে আপিল বিভাগ শুধু ওই সংশোধনী অবৈধই
ঘোষণা করেনি, আপিল বিভাগ একই সঙ্গে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থাও
পুনর্বহাল করে দিয়েছে। এখন শুধু একটি রিভিউ দায়ের আছে এই কথা বলে বলা যাবে
না যে, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নেই। কারণ, ওই রায়ের ওপর কোনো ধরনের
স্থগিতাদেশ নেই। তবে দ্রুতই এ রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মত দেন
তিনি।
অষ্টম সংশোধনী মামলার রায় কীভাবে কার্যকর হয়েছিল সেটাও স্মরণ করে তিনি বলেন, রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকার বাইরের হাইকোর্ট বেঞ্চগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সংবিধান সংশোধনের জন্য অপেক্ষা করা হয়নি। আহসানুল করিম বলেন, আচরণ বিধির চেয়েও দুর্নীতির বিষয়টা অনেক বড় ব্যাপার। কোনো বিচারপতিকে বেঞ্চ দেয়া না দেয়া একান্তই প্রধান বিচাপরপতির এখতিয়ার বলেও মত তার। বাংলাদেশে আইন প্রণয়নে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন আহসানুল করিম। বলেন, পৃথিবীর সভ্য দেশগুলোতে সুপ্রিম কোর্টে এভাবে এত আইন বা সংবিধানের সংশোধনী বাতিল করে না। আমাদের এখানে আইন প্রণয়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয় না বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এত আইন অবৈধ ঘোষণার ঘটনা ঘটে না। বিচার বিভাগ অতীতের মতো দক্ষতা দেখাতে পারছে বলে মনে করেন না আহসানুল করিম। তবে তিনি বিচার বিভাগের বেশ কিছু কার্যক্রমের প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনা না দেখে দক্ষতা, যোগ্যতা দেখে বিচারক নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন। বিচারক নিয়োগে আইন প্রণয়নের ওপরও জোর দেন তিনি। বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিচারক নিয়োগে আইনের কথা বলা হচ্ছে। এ ধরনের আইন দ্রুতই প্রণয়ন করা উচিত।
আহসানুল করিম এরই মধ্যে আইন পেশায় দুই যুগের বেশি সময় কাটিয়েছেন। তার প্রজন্মের সবচেয়ে খ্যাতিমান আইনজীবীদের একজন মনে করা হয় তাকে। তার পিতা ড. মাহমুদুল করিম চাকরি করেছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতিসংঘে। বাবার চাকরির সূত্রে আহসানুল করিম পড়ালেখা করেছেন ভারতের স্কুলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক এই ছাত্র দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সঙ্গে। বলেন, রফিক-উল হক আমাকে ছেলের চেয়েও বেশি স্নেহ করতেন। তিনি আমাদের জুনিয়রদের অর্থনৈতিকভাবে বিপুল সুযোগ দিয়েছিলেন। যে কারণে আমরা পুরো মাত্রায় আইন অধ্যয়নে মনোনিবেশ করতে পেরেছিলাম। প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম তাকে খুব স্নেহ করতেন বলে জানান তিনি। জরুরি অবস্থার সময় আটক বেশিরভাগ রাজনীতিবিদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে নেপথ্যে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন আহসানুল করিম। তিনি বলেন, সেসময় আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না। তবে বুঝতাম আমাকে এক ধরনের নজরে রাখা হচ্ছে। পর পর তিন বার আইনজীবীদের মধ্যে ট্যাক্স দেয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছেন আহসানুল করিম। তিন অর্থ বছরেই শীর্ষ তিনের মধ্যে স্থান পেয়েছেন তিনি।
অষ্টম সংশোধনী মামলার রায় কীভাবে কার্যকর হয়েছিল সেটাও স্মরণ করে তিনি বলেন, রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকার বাইরের হাইকোর্ট বেঞ্চগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সংবিধান সংশোধনের জন্য অপেক্ষা করা হয়নি। আহসানুল করিম বলেন, আচরণ বিধির চেয়েও দুর্নীতির বিষয়টা অনেক বড় ব্যাপার। কোনো বিচারপতিকে বেঞ্চ দেয়া না দেয়া একান্তই প্রধান বিচাপরপতির এখতিয়ার বলেও মত তার। বাংলাদেশে আইন প্রণয়নে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন আহসানুল করিম। বলেন, পৃথিবীর সভ্য দেশগুলোতে সুপ্রিম কোর্টে এভাবে এত আইন বা সংবিধানের সংশোধনী বাতিল করে না। আমাদের এখানে আইন প্রণয়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয় না বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এত আইন অবৈধ ঘোষণার ঘটনা ঘটে না। বিচার বিভাগ অতীতের মতো দক্ষতা দেখাতে পারছে বলে মনে করেন না আহসানুল করিম। তবে তিনি বিচার বিভাগের বেশ কিছু কার্যক্রমের প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনা না দেখে দক্ষতা, যোগ্যতা দেখে বিচারক নিয়োগ হওয়া প্রয়োজন। বিচারক নিয়োগে আইন প্রণয়নের ওপরও জোর দেন তিনি। বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিচারক নিয়োগে আইনের কথা বলা হচ্ছে। এ ধরনের আইন দ্রুতই প্রণয়ন করা উচিত।
আহসানুল করিম এরই মধ্যে আইন পেশায় দুই যুগের বেশি সময় কাটিয়েছেন। তার প্রজন্মের সবচেয়ে খ্যাতিমান আইনজীবীদের একজন মনে করা হয় তাকে। তার পিতা ড. মাহমুদুল করিম চাকরি করেছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতিসংঘে। বাবার চাকরির সূত্রে আহসানুল করিম পড়ালেখা করেছেন ভারতের স্কুলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক এই ছাত্র দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সঙ্গে। বলেন, রফিক-উল হক আমাকে ছেলের চেয়েও বেশি স্নেহ করতেন। তিনি আমাদের জুনিয়রদের অর্থনৈতিকভাবে বিপুল সুযোগ দিয়েছিলেন। যে কারণে আমরা পুরো মাত্রায় আইন অধ্যয়নে মনোনিবেশ করতে পেরেছিলাম। প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম তাকে খুব স্নেহ করতেন বলে জানান তিনি। জরুরি অবস্থার সময় আটক বেশিরভাগ রাজনীতিবিদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে নেপথ্যে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন আহসানুল করিম। তিনি বলেন, সেসময় আমার ওপর কোনো চাপ ছিল না। তবে বুঝতাম আমাকে এক ধরনের নজরে রাখা হচ্ছে। পর পর তিন বার আইনজীবীদের মধ্যে ট্যাক্স দেয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছেন আহসানুল করিম। তিন অর্থ বছরেই শীর্ষ তিনের মধ্যে স্থান পেয়েছেন তিনি।
No comments