বৃটেনে পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তে: ক্ষোভ, পদত্যাগ, আইনি চ্যালেঞ্জ
পার্লামেন্ট
স্থগিত করার সিদ্ধান্তে বৃটেনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ক্ষোভ দেখা
দিয়েছে এমপিদের মধ্যে এবং চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট সম্পাদনের বিরোধীদের
মধ্যে। বিক্ষোভ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ বিষয়ক একটি পিটিশনে স্বাক্ষর
করেছেন কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ। আইনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন ব্যবসায়ী গিনা
মিলার। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পদত্যাগ
করেছেন স্কটল্যান্ডে তার দল কনজার্ভেটিভ নেতা মিসেস রুথ ডেভিডসন।
পার্লামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত জনসন ঘোষণা দেয়ার কযেক ঘন্টা পরেই তিনি
পদত্যাগের ঘোষণা দেন। একে বরিস জনসনের জন্য প্রচ- এক আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত
করেছে অনলাইন স্কাই নিউজ।
বলা হচ্ছে, এ কারণে জনসনকে স্কটল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে ডজনখানেক আসন হারাতে হতে পারে।
অনলাইন বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, সরকারের দাবি সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ৫ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত থাকলেও ব্রেক্সিট সম্পাদনের বিতর্কের জন্য সময় থাকবে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট যাতে এমপিরা আটকে দিতে না পারেন, তা থামাতে সরকারের এটি একটি অগণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা। মন্ত্রীপরিষদের সদস্য মাইকেল গভ বিবিসিকে বলেছেন, বুধবার রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ পার্লামেন্ট স্থগিত করার আবেদন অনুমোদন দিয়েছেন। এটা অবশ্যই বিরোধীদের সামনে বাধা সৃষ্টির জন্য কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ নয়। তিনি বলেন, ৩১ শে অক্টোবর ব্রেক্সিট সম্পাদনের শেষ সময়সীমা। ফলে ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনার জন্য ‘প্রচুর সময়’ থাকবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, পার্লামেন্টের স্থগিতাদেশের পর আগামী ১৪ই অক্টোবর বক্তব্য রাখবেন রাণী। তাতে তিনি তার ‘অতি চমৎকার এজেন্ডা’ তুলে ধরবেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে বৈঠকের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হাউজ অব কমন্সের নেতা জ্যাকব রিজ-মগ। তিনি বলেছেন, ৪০০ বছরের মধ্যে এই পার্লামেন্ট সেশন দীর্ঘস্থায়ীর দিক থেকে অন্যতম। তাই এটা স্থগিত করা ও নতুন করে সেশন শুরু করার অধিকার আছে। তিনি ডেইলি টেলিগ্রাফে একটি নিবন্ধে বলেছেন, যারা ২০১৬ সালের গণভোটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শুধু তাদের কারণেই এক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিচ্ছে।
ওদিকে বিরোধী দল লেবার নেতা জেরেমি করবিন সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার আমাদের গণতন্ত্রকে কেড়ে নিচ্ছে। এর উদ্দেশ্য পার্লামেন্টে আইন পাস করার জন্য এমপিদের যথেষ্ট সময় না দিয়ে একটি চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট সম্পাদন করা। তিনি এই স্থগিতাদেশ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সিদ্ধান্তে আদালতে জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদন করেছেন ব্রেক্সিট বিরোধী প্রচারক গিনা মিলার। তিনি এর আগে অনুচ্ছেদ ৫০ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তার ওই আইনি লড়াইয়ের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টে ভোট দিতে বাধ্য হন।
রাজনীতিকদের প্রতিক্রিয়া কি?
হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউ এমন অবস্থাকে একটি ‘সাংবিধানিক ক্ষোভ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উল্লেখ্য, তিনি সাধারণত রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন না। অন্যদিকে কনজার্ভেটিভ দলের সাবেক চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড সরকারের এ উদ্যোগকে বড় ধরণের একটি অগণতান্ত্রিক কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের নেতা জো সুইনসন বিবিসিকে বলেছেন, চুক্তিবিহীন একটি ব্রেক্সিট সম্পাদনের জন্য পার্লামেন্টে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রী। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনা থামাতে আগামী সপ্তাহে অবশ্যই একত্রিত হতে হবে এমপিদের। অথবা এটা হবে বৃটেনের গণতন্ত্রের ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়। ওদিকে বুধবার সন্ধ্যায়ই ওয়েস্টমিনস্টারে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় পার্লামেন্ট স্থগিতকরণকে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করে স্লোগান দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- ‘অভ্যুত্থান থামাও’। এ সময় লোকজনের হাতে ছিল ব্রেক্সিট বিরোধী প্লাকার্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা। এই বিক্ষোভ পার্লামেন্টের বাইরে শুরু হয়ে তা ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে বিবিসির সাংবাদিক রিচার্ড গালপিন পরিস্থিতিকে শান্তিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।
বলা হচ্ছে, এ কারণে জনসনকে স্কটল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে ডজনখানেক আসন হারাতে হতে পারে।
অনলাইন বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, সরকারের দাবি সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ৫ সপ্তাহের জন্য পার্লামেন্ট স্থগিত থাকলেও ব্রেক্সিট সম্পাদনের বিতর্কের জন্য সময় থাকবে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট যাতে এমপিরা আটকে দিতে না পারেন, তা থামাতে সরকারের এটি একটি অগণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা। মন্ত্রীপরিষদের সদস্য মাইকেল গভ বিবিসিকে বলেছেন, বুধবার রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ পার্লামেন্ট স্থগিত করার আবেদন অনুমোদন দিয়েছেন। এটা অবশ্যই বিরোধীদের সামনে বাধা সৃষ্টির জন্য কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ নয়। তিনি বলেন, ৩১ শে অক্টোবর ব্রেক্সিট সম্পাদনের শেষ সময়সীমা। ফলে ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনার জন্য ‘প্রচুর সময়’ থাকবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, পার্লামেন্টের স্থগিতাদেশের পর আগামী ১৪ই অক্টোবর বক্তব্য রাখবেন রাণী। তাতে তিনি তার ‘অতি চমৎকার এজেন্ডা’ তুলে ধরবেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে বৈঠকের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হাউজ অব কমন্সের নেতা জ্যাকব রিজ-মগ। তিনি বলেছেন, ৪০০ বছরের মধ্যে এই পার্লামেন্ট সেশন দীর্ঘস্থায়ীর দিক থেকে অন্যতম। তাই এটা স্থগিত করা ও নতুন করে সেশন শুরু করার অধিকার আছে। তিনি ডেইলি টেলিগ্রাফে একটি নিবন্ধে বলেছেন, যারা ২০১৬ সালের গণভোটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শুধু তাদের কারণেই এক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিচ্ছে।
ওদিকে বিরোধী দল লেবার নেতা জেরেমি করবিন সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার আমাদের গণতন্ত্রকে কেড়ে নিচ্ছে। এর উদ্দেশ্য পার্লামেন্টে আইন পাস করার জন্য এমপিদের যথেষ্ট সময় না দিয়ে একটি চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট সম্পাদন করা। তিনি এই স্থগিতাদেশ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সিদ্ধান্তে আদালতে জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদন করেছেন ব্রেক্সিট বিরোধী প্রচারক গিনা মিলার। তিনি এর আগে অনুচ্ছেদ ৫০ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। তার ওই আইনি লড়াইয়ের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিট ইস্যুতে পার্লামেন্টে ভোট দিতে বাধ্য হন।
রাজনীতিকদের প্রতিক্রিয়া কি?
হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকাউ এমন অবস্থাকে একটি ‘সাংবিধানিক ক্ষোভ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উল্লেখ্য, তিনি সাধারণত রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেন না। অন্যদিকে কনজার্ভেটিভ দলের সাবেক চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড সরকারের এ উদ্যোগকে বড় ধরণের একটি অগণতান্ত্রিক কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের নেতা জো সুইনসন বিবিসিকে বলেছেন, চুক্তিবিহীন একটি ব্রেক্সিট সম্পাদনের জন্য পার্লামেন্টে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য প্রস্তুত প্রধানমন্ত্রী। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন বলেছেন, সরকারের পরিকল্পনা থামাতে আগামী সপ্তাহে অবশ্যই একত্রিত হতে হবে এমপিদের। অথবা এটা হবে বৃটেনের গণতন্ত্রের ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়। ওদিকে বুধবার সন্ধ্যায়ই ওয়েস্টমিনস্টারে বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় পার্লামেন্ট স্থগিতকরণকে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করে স্লোগান দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- ‘অভ্যুত্থান থামাও’। এ সময় লোকজনের হাতে ছিল ব্রেক্সিট বিরোধী প্লাকার্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা। এই বিক্ষোভ পার্লামেন্টের বাইরে শুরু হয়ে তা ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে বিবিসির সাংবাদিক রিচার্ড গালপিন পরিস্থিতিকে শান্তিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।
No comments