আসামের এনআরসি থেকে বাদ পড়া ৮৯% মানুষ মানসিক নির্যাতনের শিকার, জরিপের তথ্য
আসামের
ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) থেকে যে ৪১ লাখের বেশি মানুষ
বাদ পড়েছে, এদের মধ্যে ৮৯% মানুষ মারাত্মক মানসিক নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে,
কারণ তারা বিদেশী ঘোষিত হওয়া এর পরবর্তী পরিণতি নিয়ে শঙ্কিত। ন্যাশনাল
ক্যাম্পেইন এগেন্সট টর্চার (এনসিএটি) তাদের এক জরিপে এ তথ্য জানতে পেরেছে।
১৬ থেকে ২০ জুলাই বাকসা, গোয়ালপাড়া এবং কামরুপ জেলাগুলোতে এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটা জরিপ চালায় এনসিএটি। এরপর শুক্রবার তারা জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ করে, যেটার শিরোনাম হলো: “আসাম’স এনআরসি: ফোর মিলিযন টেলস অব মেন্টাল টর্চার, ট্রমা অ্যান্ড হিউমিলিয়েশান”।
যে ৯১ জনকের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে, এদের মধ্যে ৮১ জন বলেছে যে, তারা চরম উদ্বেগ এবং ফেরত পাঠানোর ও পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বা গোয়াহাটি হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের সামনে হাজির হওয়ার মতো আর্থিক সামর্থও তাদের নেই। বাকিদের মধ্যে নয়জন একই কারণে মাঝারি পর্যায়ের উদ্বেগ ও একজন স্বল্প পর্যায়ের উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।
এটার হিসেবে দেখা যাচ্ছে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৯% চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে, ১০% মাঝারি ধরণের এবং ১% স্বল্পমাত্রার উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই উদ্বেগের কারণে ঘুমে সমস্যা হচ্ছে, ক্ষুধামন্দা দেখা দিয়েছে, তাদের কাজের প্রক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছে, এবং সামাজিকভাবে একটা লজ্জা ও বিচ্ছিন্নতার মধ্যে তারা অবস্থান করছে।
এনসিএটি কোঅর্ডিনেটর সুহাস চাকমা বলেন, “এনআরসি থেকে এখন যদি ৪১,১০,১৬৯ জন মানুষ বাদ পড়ে, তাহলে জরিপের অনুপাত অনুযায়ী ৩৬,৯৯,১৫২ জন ব্যক্তি চরম উদ্বেগের মধ্যে এবং ৪,১১,০১৭ জন মাঝারি ধরণের উদ্বেগের মধ্যে বাস করছে”।
‘নিষ্ঠুর কর্মসূচি’
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯১ ব্যক্তির সবাই বলেছেন খসড়া এনআরসি থেকে বাদ পড়ে তারা অপমানিত ও লজ্জিত বোধ করেছেন। এদের মধ্যে ৮৮ জনের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, ৮১ জন ফেরত পাঠানোর আতঙ্কে আছেন, আর ৫৫ জন বলেছেন তারা মানসিক ট্রমা ও ডিপ্রেশানে ভুগছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৭ জন বলেছেন, উদ্বেগের কারণে তাদের ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, ৩৭ জন জানিয়েছেন এটা তাদের খাদ্যাভ্যাসের উপর প্রভাব ফেলছে এবং খাবারে অনীহা আসছে, ২২ জন বলেছেন এটা তাদের চিন্তার প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে এবং ২৪ জন বলেছেন এটা তাদের কাজের ক্ষতি করছে।
এনসিএটি রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে চরম মানসিক নির্যাতনের কারণে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে অন্তত ৩১ জন আত্মহত্যা করেছে।
১৬ থেকে ২০ জুলাই বাকসা, গোয়ালপাড়া এবং কামরুপ জেলাগুলোতে এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটা জরিপ চালায় এনসিএটি। এরপর শুক্রবার তারা জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ করে, যেটার শিরোনাম হলো: “আসাম’স এনআরসি: ফোর মিলিযন টেলস অব মেন্টাল টর্চার, ট্রমা অ্যান্ড হিউমিলিয়েশান”।
যে ৯১ জনকের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে, এদের মধ্যে ৮১ জন বলেছে যে, তারা চরম উদ্বেগ এবং ফেরত পাঠানোর ও পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বা গোয়াহাটি হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের সামনে হাজির হওয়ার মতো আর্থিক সামর্থও তাদের নেই। বাকিদের মধ্যে নয়জন একই কারণে মাঝারি পর্যায়ের উদ্বেগ ও একজন স্বল্প পর্যায়ের উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।
এটার হিসেবে দেখা যাচ্ছে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৯% চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে, ১০% মাঝারি ধরণের এবং ১% স্বল্পমাত্রার উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই উদ্বেগের কারণে ঘুমে সমস্যা হচ্ছে, ক্ষুধামন্দা দেখা দিয়েছে, তাদের কাজের প্রক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছে, এবং সামাজিকভাবে একটা লজ্জা ও বিচ্ছিন্নতার মধ্যে তারা অবস্থান করছে।
এনসিএটি কোঅর্ডিনেটর সুহাস চাকমা বলেন, “এনআরসি থেকে এখন যদি ৪১,১০,১৬৯ জন মানুষ বাদ পড়ে, তাহলে জরিপের অনুপাত অনুযায়ী ৩৬,৯৯,১৫২ জন ব্যক্তি চরম উদ্বেগের মধ্যে এবং ৪,১১,০১৭ জন মাঝারি ধরণের উদ্বেগের মধ্যে বাস করছে”।
‘নিষ্ঠুর কর্মসূচি’
জরিপে অংশগ্রহণকারী ৯১ ব্যক্তির সবাই বলেছেন খসড়া এনআরসি থেকে বাদ পড়ে তারা অপমানিত ও লজ্জিত বোধ করেছেন। এদের মধ্যে ৮৮ জনের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, ৮১ জন ফেরত পাঠানোর আতঙ্কে আছেন, আর ৫৫ জন বলেছেন তারা মানসিক ট্রমা ও ডিপ্রেশানে ভুগছেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৭ জন বলেছেন, উদ্বেগের কারণে তাদের ঘুমের সমস্যা হচ্ছে, ৩৭ জন জানিয়েছেন এটা তাদের খাদ্যাভ্যাসের উপর প্রভাব ফেলছে এবং খাবারে অনীহা আসছে, ২২ জন বলেছেন এটা তাদের চিন্তার প্রক্রিয়া ব্যাহত করছে এবং ২৪ জন বলেছেন এটা তাদের কাজের ক্ষতি করছে।
এনসিএটি রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে চরম মানসিক নির্যাতনের কারণে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে অন্তত ৩১ জন আত্মহত্যা করেছে।
No comments