আমেরিকা থেকে অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান কিনতে চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ
বিমান বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এএইচ-৬৪ই অ্যপাচি অ্যাটাক
হেলিকপ্টার এবং সি-১৩০এইচ পরিবহন কেনার চেষ্টা করছে। দুই দেশের সরকারের
পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এই ক্রয় করা হবে।
চলতি বছরের শেষ দিকে দুই দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে এটা নিয়ে দর কষাকষি হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এআইএম-৯এক্স শর্ট-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলসহ এফ-১৬সি/ডি ব্লক ৫০/৫২ প্লাস জঙ্গি বিমান কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পূর্ণাঙ্গ অস্ত্র প্যাকেজ বাদে বিমান কেনার ব্যাপারে রাজি হয়নি, কারণ বিমানকে পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহারের জন্য এই অস্ত্রাদি প্রয়োজন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এখন প্রাথমিকভাবে আটটি উচ্চ সক্ষমতার অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও কেনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তুরস্কের টি-১২৯ এবং রাশিয়ান এমআই-৩৫এম হেলিকপ্টারও বিবেচনায় ছিল কিন্তু দরের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে গেছে।
সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে তারা আপগ্রেডেড সি-১৩০জে দিতে পারবে না, ফলে এখন অন্তত সি-১৩০এইচ কেনার চেষ্টা করছে তারা। ফলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের কাছ থেকে পাঁচটি আপগ্রেডেড সি-১৩০জে এমকে৫ পরিবহন বিমান কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে অন্তত দুটি সি-১৩০এইচ পরিবহন বিমান দিতে না পারে, তাহলে ব্রিটেনের কাছ থেকে আরও অতিরিক্ত ইউনিট বিমান কেনা হবে।
এদিকে, মার্শাল অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স গ্রুপের আপগ্রেডকৃত প্রথম সি-১৩০জে বিমানটি ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসার কথা।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আধুনিক পরিবহন বিমান ক্রয়ের মাধ্যমে তাদের পরিবহন বিমানগুলোকে নতুন করে তুলেছে। আগামী বছরগুলোতে আরও পশ্চিমা জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টার বহরে যুক্ত করে পুরনো পুরো বহরকে বদলে ফেলতে চায় তারা।
মার্কিন সরকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আমেরিকান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে বলেছে। দাম গ্রহণযোগ্য হলে এবং কেনার জন্য কোন শর্ত না থাকলে সেগুলো কিনতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বজায় রাখছে যাতে পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষিত হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব বিমান এয়ারলাইন্স চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সদ্য কেনা বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার যাত্রীবাহী বিমান বহরে যুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১০টি বিমান কেনার চুক্তির অংশ হিসেবে এটি বহরে যুক্ত করলো বিমান। ২০০৮ সালের চুক্তির অধীনে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, দুটো ৭৩৭-৮০০ এবং তিনটি ৭৮৭-৮ এরই মধ্যে বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী মাসে চতুর্থ আরেকটি বোয়িং ৮৭৮-৮ বিমানের বহরে যুক্ত হবে।
এ্যাপাচি হেলিকপ্টার
প্রথমে এর নাম ছিলো এএইচ-৬৪ডি ব্লক-থ্রি। ২০১২ সালে এর সামর্থ্য বৃদ্ধির পর একে এএইচ-৬৪ই গার্ডিয়ান নামে রেজিস্ট্রি করা হয়। এর ডিজিটাল কানেকটিভিটি ও জয়েন্ট ট্যাকটিক্যাল ইনফরমেশন ডিসট্রিবিউশন সিস্টেম উন্নত করা হয়। এতে আরো শক্তিশালী টি৭০০-জিই-৭০১ডি ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়। আরো শক্তি জড় করার জন্য ফেস গিয়ার ট্রান্সমিশন আপগ্রেড করা হয়। এর ড্রোন নিয়ন্ত্রণ সামর্থ্য রয়েছে। এটি পূরোপুরি আইএফআর ক্যাপাবল। এর ল্যান্ডিং গিয়ারও উন্নত।
এর নতুন কম্পোজিট রোটর ব্লেডের কারণে গতি, উপরে ওঠা এবং ভার বহনের সামর্থ্য বেড়ে গেছে। ২০১১ সাল থেকে এটি সরবরাহ শুরু হয়। পুরোদস্তুর উৎপাদনের অনুমোদন দেয়া হয় ২০১২ সালের অক্টোবরে। এর আরো উন্নত সংস্করণ এএইচ-৬৪ই এবং ২০১৯/২০ সালে এ ধরনের ৫৬টি চপার তৈরি হবে। এর আপডেট লংবো রাডারের ওভারসি ক্যাপাবিলিটি রয়েছে। ই মডেলটি সমুদ্রক্ষেত্রে অপারেশন চালানো উপযোগী। পাল্লা ও দীর্ঘ সময় ওড়ার ক্ষমতা বাড়াতে এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ফুয়েল ট্যাংক সংযোজনের কথা ভাবা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন মিলিটারি সেলস কর্মসূচির আওতায় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম ইন্দোনেশিয়া ৮টি এ্যাপাচি এএইচ-৬৪ই গার্ডিয়ান কেনে।
ট্যাকটিক্যাল স্পেসিফিকেশন:
ক্রু: ২ (পাইলট, ও কো-পাইলট/গানার)
লম্বা: ৫৮.১৭ ফুট
রোটরের ব্যাস: ৪৮ ফুট
উচ্চতা: ১২.৭ ফুট
ডিস্ক এরিয়া: ১,৮০৯ বর্গফুট
খালি অবস্থায় ওজন: ৫,১৬৫ কেজি
ভর্তি অবস্থায় ওজন: ৮,০০০ কেজি
সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন: ১০,৪৩৩ কেজি
ফিউজিলাজ লম্বায়: ৪৯.৫ ফুট
রোটর সিস্টেম: চার ব্লেডের মেইন রোটর, চার ব্লেডের টেইল রোটর
সর্বোচ্চ গতি: ২৯৩ কি.মি/ঘন্টা
ক্রুজ স্পিড: ২৬৫ কি.মি/ঘন্টা
পাল্লা: লংবো রাডার মাস্টসহ ৪৭৬ কি.মি.
কমব্যাট রেডিয়াস: ৪৮০ কি.মি.
ফেরি রেঞ্জ: ১,৯০০ কি.মি.
আর্মামেন্ট গান: ১টি ৩০ মি.মি. এম২৩০ চেইন গান, ১,২০০ রাউন্ড, যা এরিয়া উইপন সাবসিস্টেমের অংশ।
চলতি বছরের শেষ দিকে দুই দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে এটা নিয়ে দর কষাকষি হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এআইএম-৯এক্স শর্ট-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলসহ এফ-১৬সি/ডি ব্লক ৫০/৫২ প্লাস জঙ্গি বিমান কেনার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পূর্ণাঙ্গ অস্ত্র প্যাকেজ বাদে বিমান কেনার ব্যাপারে রাজি হয়নি, কারণ বিমানকে পূর্ণ সক্ষমতায় ব্যবহারের জন্য এই অস্ত্রাদি প্রয়োজন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এখন প্রাথমিকভাবে আটটি উচ্চ সক্ষমতার অ্যাটাক হেলিকপ্টার কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও কেনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তুরস্কের টি-১২৯ এবং রাশিয়ান এমআই-৩৫এম হেলিকপ্টারও বিবেচনায় ছিল কিন্তু দরের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে গেছে।
সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে তারা আপগ্রেডেড সি-১৩০জে দিতে পারবে না, ফলে এখন অন্তত সি-১৩০এইচ কেনার চেষ্টা করছে তারা। ফলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের কাছ থেকে পাঁচটি আপগ্রেডেড সি-১৩০জে এমকে৫ পরিবহন বিমান কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে অন্তত দুটি সি-১৩০এইচ পরিবহন বিমান দিতে না পারে, তাহলে ব্রিটেনের কাছ থেকে আরও অতিরিক্ত ইউনিট বিমান কেনা হবে।
এদিকে, মার্শাল অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স গ্রুপের আপগ্রেডকৃত প্রথম সি-১৩০জে বিমানটি ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসার কথা।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পশ্চিমা দেশগুলো থেকে আধুনিক পরিবহন বিমান ক্রয়ের মাধ্যমে তাদের পরিবহন বিমানগুলোকে নতুন করে তুলেছে। আগামী বছরগুলোতে আরও পশ্চিমা জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টার বহরে যুক্ত করে পুরনো পুরো বহরকে বদলে ফেলতে চায় তারা।
মার্কিন সরকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আমেরিকান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে বলেছে। দাম গ্রহণযোগ্য হলে এবং কেনার জন্য কোন শর্ত না থাকলে সেগুলো কিনতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বজায় রাখছে যাতে পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষিত হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব বিমান এয়ারলাইন্স চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সদ্য কেনা বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার যাত্রীবাহী বিমান বহরে যুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১০টি বিমান কেনার চুক্তির অংশ হিসেবে এটি বহরে যুক্ত করলো বিমান। ২০০৮ সালের চুক্তির অধীনে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, দুটো ৭৩৭-৮০০ এবং তিনটি ৭৮৭-৮ এরই মধ্যে বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী মাসে চতুর্থ আরেকটি বোয়িং ৮৭৮-৮ বিমানের বহরে যুক্ত হবে।
এ্যাপাচি হেলিকপ্টার
প্রথমে এর নাম ছিলো এএইচ-৬৪ডি ব্লক-থ্রি। ২০১২ সালে এর সামর্থ্য বৃদ্ধির পর একে এএইচ-৬৪ই গার্ডিয়ান নামে রেজিস্ট্রি করা হয়। এর ডিজিটাল কানেকটিভিটি ও জয়েন্ট ট্যাকটিক্যাল ইনফরমেশন ডিসট্রিবিউশন সিস্টেম উন্নত করা হয়। এতে আরো শক্তিশালী টি৭০০-জিই-৭০১ডি ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়। আরো শক্তি জড় করার জন্য ফেস গিয়ার ট্রান্সমিশন আপগ্রেড করা হয়। এর ড্রোন নিয়ন্ত্রণ সামর্থ্য রয়েছে। এটি পূরোপুরি আইএফআর ক্যাপাবল। এর ল্যান্ডিং গিয়ারও উন্নত।
এর নতুন কম্পোজিট রোটর ব্লেডের কারণে গতি, উপরে ওঠা এবং ভার বহনের সামর্থ্য বেড়ে গেছে। ২০১১ সাল থেকে এটি সরবরাহ শুরু হয়। পুরোদস্তুর উৎপাদনের অনুমোদন দেয়া হয় ২০১২ সালের অক্টোবরে। এর আরো উন্নত সংস্করণ এএইচ-৬৪ই এবং ২০১৯/২০ সালে এ ধরনের ৫৬টি চপার তৈরি হবে। এর আপডেট লংবো রাডারের ওভারসি ক্যাপাবিলিটি রয়েছে। ই মডেলটি সমুদ্রক্ষেত্রে অপারেশন চালানো উপযোগী। পাল্লা ও দীর্ঘ সময় ওড়ার ক্ষমতা বাড়াতে এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ফুয়েল ট্যাংক সংযোজনের কথা ভাবা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন মিলিটারি সেলস কর্মসূচির আওতায় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম ইন্দোনেশিয়া ৮টি এ্যাপাচি এএইচ-৬৪ই গার্ডিয়ান কেনে।
ট্যাকটিক্যাল স্পেসিফিকেশন:
ক্রু: ২ (পাইলট, ও কো-পাইলট/গানার)
লম্বা: ৫৮.১৭ ফুট
রোটরের ব্যাস: ৪৮ ফুট
উচ্চতা: ১২.৭ ফুট
ডিস্ক এরিয়া: ১,৮০৯ বর্গফুট
খালি অবস্থায় ওজন: ৫,১৬৫ কেজি
ভর্তি অবস্থায় ওজন: ৮,০০০ কেজি
সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন: ১০,৪৩৩ কেজি
ফিউজিলাজ লম্বায়: ৪৯.৫ ফুট
রোটর সিস্টেম: চার ব্লেডের মেইন রোটর, চার ব্লেডের টেইল রোটর
সর্বোচ্চ গতি: ২৯৩ কি.মি/ঘন্টা
ক্রুজ স্পিড: ২৬৫ কি.মি/ঘন্টা
পাল্লা: লংবো রাডার মাস্টসহ ৪৭৬ কি.মি.
কমব্যাট রেডিয়াস: ৪৮০ কি.মি.
ফেরি রেঞ্জ: ১,৯০০ কি.মি.
আর্মামেন্ট গান: ১টি ৩০ মি.মি. এম২৩০ চেইন গান, ১,২০০ রাউন্ড, যা এরিয়া উইপন সাবসিস্টেমের অংশ।
No comments