মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যবসা পরিকল্পনায় সতর্ক বিনিয়োগকারীরা by গ্যারি ক্লেইম্যান
জাতিসংঘের
হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলকে গত বছর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর (তাতমাদাও)
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। অনুসন্ধানে
তারা দেখতে পেয়েছে যে, মিয়ানমারের একক বৃহত্তম কর্পোরেট মালিকানা হলো
তাতমাদাওয়ের এবং তিনটি রাজ্যে তারা শক্তির অপব্যবহার এবং যুদ্ধাপরাধের সাথে
যুক্ত। তারা আরও দেখতে পেয়েছেন যে, দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সাথে
তারা এমনভাবে মিলে মিশে কাজ করছে, যেখানে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিধিনিষেধের
কারণে তাদের উপর কোন প্রভাব পড়ছে না।
রিপোর্টে কাচিন, শান ও রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর ব্যাপক সহিংসতার উপর মনোযোগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুটিতে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার আন্দোলন চলে আসছে। আর রাখাইন রাজ্যটি আলোচনায় এসেছে ৮৫০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার মধ্য দিয়ে, যারা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সামরিক বাহিনীর ‘নির্মূল অভিযান’ থেকে বাঁচতে তারা রাখাইন থেকে পালিয়ে যায়, যে অভিযানকে গণহত্যার সাথে তুলনা করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠন। সামরিক বাহিনীর ইকোনমিক হোল্ডিংস (এমইএইচএল) এবং কোঅপারেশানের (এমইসি) নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে সামরিক জেনারেলরা, তারা ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছেন এবং তাদের সম্পদও জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া সামরিক বাহিনীকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ইউএন কাউন্সিল যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেটা নিয়ে সেপ্টেম্বরের সাধারণ অধিবেশনে বিতর্ক হবে।
তাতমাদাওয়ের ব্যবসায়িক কাঠামোতে প্রতিটি গ্রুপের অধীনে প্রায় ৬০টি কোম্পানি রয়েছে, যেগুলো এমইএইচএলের সাংগঠনিক কাঠামোর অধীনে সেবা, বাণিজ্য ও উৎপাদন খাতে বিভক্ত। এমইসির মনোযোগের মূলে রয়েছে কৃষি ও হাইড্রোকার্বন কাঁচামাল, সেইসাথে রয়েছে আর্থিক ও ইন্সুরেন্স হোল্ডিংস। মিয়াওয়াদ্দিকে একটি প্রাইভেট ব্যাংক বিবেচনা করা হয়, যেটা বিদ্যমান আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে এবং ২০১৬ সালের হিসেবে যেটার সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। প্রধান এমইসি ব্যাংক হলো ইনওয়া, যেটার দেখাশোনা করছেন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা।
জাতিসংঘের জরিপে বলা হয়েছে যে, খনি এলাকাগুলোতে শ্রমিকদের বলপ্রয়োগ এবং যৌন সহিংসতার বিষয়টি একটি নিয়মিত বিষয়। এবং ‘রোহিঙ্গাদের মুছে দেয়ার’ উদ্দেশ্যে রাখাইনে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছে, সেগুলো থেকে মনে হয় তাতমাদাও এবং তাদের পরিচালিত ব্যবসায়গুলো যুদ্ধাপরাধের সাথেও যুক্ত। বহু ডজন বিদেশী অংশীদারদের তারা পরোক্ষভাবে সাথে নিয়েছে। রিপোর্টে বিনিয়োগকারী, ভোক্তা ও দাতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা তাতমাদাওয়ের সাথে ব্যবসায়ে জড়ানো থেকে নিবৃত থাকে, যেখানে এ ধরণের ঝুঁকিতে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে এবং সেটা আর্থিক খাত থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে।
রিপোর্টে কাচিন, শান ও রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর ব্যাপক সহিংসতার উপর মনোযোগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুটিতে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার আন্দোলন চলে আসছে। আর রাখাইন রাজ্যটি আলোচনায় এসেছে ৮৫০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার মধ্য দিয়ে, যারা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সামরিক বাহিনীর ‘নির্মূল অভিযান’ থেকে বাঁচতে তারা রাখাইন থেকে পালিয়ে যায়, যে অভিযানকে গণহত্যার সাথে তুলনা করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠন। সামরিক বাহিনীর ইকোনমিক হোল্ডিংস (এমইএইচএল) এবং কোঅপারেশানের (এমইসি) নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে সামরিক জেনারেলরা, তারা ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছেন এবং তাদের সম্পদও জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া সামরিক বাহিনীকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ইউএন কাউন্সিল যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেটা নিয়ে সেপ্টেম্বরের সাধারণ অধিবেশনে বিতর্ক হবে।
তাতমাদাওয়ের ব্যবসায়িক কাঠামোতে প্রতিটি গ্রুপের অধীনে প্রায় ৬০টি কোম্পানি রয়েছে, যেগুলো এমইএইচএলের সাংগঠনিক কাঠামোর অধীনে সেবা, বাণিজ্য ও উৎপাদন খাতে বিভক্ত। এমইসির মনোযোগের মূলে রয়েছে কৃষি ও হাইড্রোকার্বন কাঁচামাল, সেইসাথে রয়েছে আর্থিক ও ইন্সুরেন্স হোল্ডিংস। মিয়াওয়াদ্দিকে একটি প্রাইভেট ব্যাংক বিবেচনা করা হয়, যেটা বিদ্যমান আইনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে এবং ২০১৬ সালের হিসেবে যেটার সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। প্রধান এমইসি ব্যাংক হলো ইনওয়া, যেটার দেখাশোনা করছেন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা।
জাতিসংঘের জরিপে বলা হয়েছে যে, খনি এলাকাগুলোতে শ্রমিকদের বলপ্রয়োগ এবং যৌন সহিংসতার বিষয়টি একটি নিয়মিত বিষয়। এবং ‘রোহিঙ্গাদের মুছে দেয়ার’ উদ্দেশ্যে রাখাইনে যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছে, সেগুলো থেকে মনে হয় তাতমাদাও এবং তাদের পরিচালিত ব্যবসায়গুলো যুদ্ধাপরাধের সাথেও যুক্ত। বহু ডজন বিদেশী অংশীদারদের তারা পরোক্ষভাবে সাথে নিয়েছে। রিপোর্টে বিনিয়োগকারী, ভোক্তা ও দাতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা তাতমাদাওয়ের সাথে ব্যবসায়ে জড়ানো থেকে নিবৃত থাকে, যেখানে এ ধরণের ঝুঁকিতে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে এবং সেটা আর্থিক খাত থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে।
No comments