কোম্পানীগঞ্জের বালু সিন্ডিকেট বেপরোয়া: মামলা নিয়ে উত্তেজনা, জেলে থাকা ইয়াকুবও আসামি by ওয়েছ খছরু
মাদক
মামলায় পরোয়ানা ছিল আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ছিল
পরিবার। শেষ পর্যন্ত ৩০শে জুন আইয়ুব আলীকে পুলিশে সোপর্দ করে পরিবারের
সদস্যরা। সেই থেকে কারান্তরীণ আইয়ুব আলী। কিন্তু কারাগারে থেকেও বুধবার
কোম্পানীগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলার আসামি হলেন তিনি। এ মামলার পর থেকে
কোম্পানীগঞ্জে তোলপাড় চলছে। একই সঙ্গে নদীতে নৌকায় চাঁদাবাজি নিয়ে
উত্তেজনাও চলছে। মামলা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।
আর এই আলোচনায় পুলিশ হচ্ছে বিতর্কিত। প্রায় তিন মাস আগে কোম্পানীগঞ্জের ভাটরাই মৌজা মাত্র ১৬ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া। এরপর থেকে শুধু ভাটরাই নয়, পার্শ্ববর্তী কালাইরাগ, কালাসাদেক মৌজার সব জায়গায় বালু লুটপাট শুরু হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের দাবি- মাত্র ১৬ লাখ টাকা লিজ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ কোটি টাকার বালু লুটপাট করা হয়েছে। বালু সম্পর্কে তিনি নিজেও বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পরিবেশের ক্ষতি করে বালু উত্তোলন বন্ধের তাগিদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন কারো নির্দেশ পালন করেনি। স্থানীয় নৌকা শ্রমিকদের নেতা ফয়জুল বারী জানিয়েছেন- ভাটরাই মৌজায় এখন আর বালু নেই। কালাইরাগ ও কালা সাদেক মৌজা লুটপাট করা হয়েছে। এখন বালু সিন্ডিকেট নজর দিয়েছে রেলওয়ের সংরক্ষিত ‘বাঙ্কার’ এলাকায়। বাঙ্কারে বালু উত্তোলনে প্রতিবাদ করেছে এলাকার মানুষ। বুধবার এলাকার কিছুসংখ্যক মানুষ গিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানায়। এ সময় বালু লুটপাটকারী চাঁদাবাজরা হামলা চালায়। পরে তারা থানায় চাঁদাবাজির মামলা করে। আর এ মামলায় তারা পাড়ুয়া মাঝপাড়া গ্রামের ছমছু মিয়া চৌধুরীর ছেলে আইয়ুব আলীকে আসামি করেছে। আইয়ুবের ভাই জানিয়েছেন- চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ মামলা করেছে। শ্রমিকরা জানিয়েছেন- প্রশাসন বারবার অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। সম্প্রতি ‘বাঙ্কার’ এলাকায় আঘাত করেছে বালুখেকো সিন্ডিকেটরা। এ নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে উত্তেজনা দেখা দেয়। আর ধলাই ব্রিজের নিচে বালু নৌকা থেকে অবাধে চাঁদাবাজি করা হচ্ছিল। ওখানে নৌকা থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। স্থানীয় কয়েক যুবক বুধবার এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজির মূল হোতা রোমান আহমদ ও তার লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের রোমান আহমদ বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে পাড়ুয়া উজানপাড়া গ্রামের সুজন মিয়াকে থানায় ডেকে এনে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি অন্যরা হচ্ছে- মিন্টু মিয়া, হুমায়ুন আহমদ, আরিফ মিয়া, নাসিরুল, আইয়ুব আলী, মনির হোসেন ও লায়েক আহমদ। মামলার আসামি লায়েক আহমদ ঘটনার দিন ছাতকের গোবিন্দগঞ্জের মাহবুব কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। লায়েক জানান- তিনি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। অথচ তাকে আসামি করা হয়েছে। ভলগেট নৌকা ইঞ্জিন মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন- ধলাই নদীতে ৭-৮টি স্থানে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রায় সময়ই হামলার শিকার হচ্ছে নৌকার মালিক ও শ্রমিকরা। এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাননি। গত মঙ্গলবার তাদের এক শ্রমিকের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে দাবি করেন তিনি। বারকি শ্রমিক ফয়জুল বারী অভিযোগ করেছেন- রিপন ও আজিমের নেতৃত্বে রুমান, শাহীন, আবিরসহ কয়েকজন ধলাই নদীতে চাঁদাবাজি করছে। প্রতিদিন তারা প্রায় ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে জানান তিনি। এদিকে- মামলার বাদী রুমান আহমদ মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ইয়াকুব ঘটনাস্থলে ছিল বলে মামলার সাক্ষী আল আমিন তাকে নিশ্চিত করেছে। এ কারণে তিনি ইয়াকুবকে মামলার আসামি করেছেন। প্রয়োজনে তিনি এ ব্যাপারে আদালতে লিখিত দরখাস্ত দেবেন বলে জানান। তার নৌকায় জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- মামলায় কারান্তরীণ কেউ আসামি হলে তাকে অভিযুক্তদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে। তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান তিনি।
আর এই আলোচনায় পুলিশ হচ্ছে বিতর্কিত। প্রায় তিন মাস আগে কোম্পানীগঞ্জের ভাটরাই মৌজা মাত্র ১৬ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া। এরপর থেকে শুধু ভাটরাই নয়, পার্শ্ববর্তী কালাইরাগ, কালাসাদেক মৌজার সব জায়গায় বালু লুটপাট শুরু হয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদের দাবি- মাত্র ১৬ লাখ টাকা লিজ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় ২০ কোটি টাকার বালু লুটপাট করা হয়েছে। বালু সম্পর্কে তিনি নিজেও বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন। এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে পরিবেশের ক্ষতি করে বালু উত্তোলন বন্ধের তাগিদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন কারো নির্দেশ পালন করেনি। স্থানীয় নৌকা শ্রমিকদের নেতা ফয়জুল বারী জানিয়েছেন- ভাটরাই মৌজায় এখন আর বালু নেই। কালাইরাগ ও কালা সাদেক মৌজা লুটপাট করা হয়েছে। এখন বালু সিন্ডিকেট নজর দিয়েছে রেলওয়ের সংরক্ষিত ‘বাঙ্কার’ এলাকায়। বাঙ্কারে বালু উত্তোলনে প্রতিবাদ করেছে এলাকার মানুষ। বুধবার এলাকার কিছুসংখ্যক মানুষ গিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানায়। এ সময় বালু লুটপাটকারী চাঁদাবাজরা হামলা চালায়। পরে তারা থানায় চাঁদাবাজির মামলা করে। আর এ মামলায় তারা পাড়ুয়া মাঝপাড়া গ্রামের ছমছু মিয়া চৌধুরীর ছেলে আইয়ুব আলীকে আসামি করেছে। আইয়ুবের ভাই জানিয়েছেন- চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা টাকা দিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ মামলা করেছে। শ্রমিকরা জানিয়েছেন- প্রশাসন বারবার অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। সম্প্রতি ‘বাঙ্কার’ এলাকায় আঘাত করেছে বালুখেকো সিন্ডিকেটরা। এ নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে উত্তেজনা দেখা দেয়। আর ধলাই ব্রিজের নিচে বালু নৌকা থেকে অবাধে চাঁদাবাজি করা হচ্ছিল। ওখানে নৌকা থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। স্থানীয় কয়েক যুবক বুধবার এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজির মূল হোতা রোমান আহমদ ও তার লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের রোমান আহমদ বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে পাড়ুয়া উজানপাড়া গ্রামের সুজন মিয়াকে থানায় ডেকে এনে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি অন্যরা হচ্ছে- মিন্টু মিয়া, হুমায়ুন আহমদ, আরিফ মিয়া, নাসিরুল, আইয়ুব আলী, মনির হোসেন ও লায়েক আহমদ। মামলার আসামি লায়েক আহমদ ঘটনার দিন ছাতকের গোবিন্দগঞ্জের মাহবুব কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন। লায়েক জানান- তিনি ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। অথচ তাকে আসামি করা হয়েছে। ভলগেট নৌকা ইঞ্জিন মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন- ধলাই নদীতে ৭-৮টি স্থানে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রায় সময়ই হামলার শিকার হচ্ছে নৌকার মালিক ও শ্রমিকরা। এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাননি। গত মঙ্গলবার তাদের এক শ্রমিকের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে দাবি করেন তিনি। বারকি শ্রমিক ফয়জুল বারী অভিযোগ করেছেন- রিপন ও আজিমের নেতৃত্বে রুমান, শাহীন, আবিরসহ কয়েকজন ধলাই নদীতে চাঁদাবাজি করছে। প্রতিদিন তারা প্রায় ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে জানান তিনি। এদিকে- মামলার বাদী রুমান আহমদ মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ইয়াকুব ঘটনাস্থলে ছিল বলে মামলার সাক্ষী আল আমিন তাকে নিশ্চিত করেছে। এ কারণে তিনি ইয়াকুবকে মামলার আসামি করেছেন। প্রয়োজনে তিনি এ ব্যাপারে আদালতে লিখিত দরখাস্ত দেবেন বলে জানান। তার নৌকায় জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- মামলায় কারান্তরীণ কেউ আসামি হলে তাকে অভিযুক্তদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে। তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান তিনি।
No comments