ইদলিবে মানবিক বিপর্যয় রোধে তুরস্ক by মুহাম্মদ খায়রুল বাশার
এই
শতাব্দীর সম্ভাব্য মারাত্মক মানবাধিকার ট্র্যাজেডি সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘের
সতর্কবাণী সত্ত্বেও ইদলিব পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটছে। কেবল রাশিয়া ও সিরিয়া
সরকারের বিমান হামলার কারণেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি- বরং সেখানে
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোনো হস্তক্ষেপ না করার কারণে এবং বিষয়টি নিয়ে
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদাসীনতার কারণেই পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে মোড়
নিচ্ছে।
এই সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়রোধ করার জন্য তুরস্ক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে, তারা একই সাথে ইদলিবের ভবিষ্যৎ নিয়ে মস্কো, দামেস্ক ও তেহরানের পৃথক ভিশনকে সামাল দেয়ার জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার চুক্তি লঙ্ঘন করে রুশ বিমানবাহিনীর সমর্থন নিয়ে আসাদ সরকার স্থলবাহিনী নিয়ে অগ্রসর হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত একটি গভীর মানবিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হবে। ইদলিবের বর্তমান পরিস্থিতি হচ্ছে সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত একটি ধীর ও অব্যাহত প্রক্রিয়ার ফল। গত মে মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ ইদলিবের ভেতর ও চতুর্দিক থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেই আবার তুরস্ক সীমান্তের দিকে পাড়ি জমিয়েছে। তুরস্ক কর্তৃপক্ষ ইদলিবের বিদ্রোহী তথা সরকার বিরোধীদের সাহায্য-সহায়তা দিচ্ছে। সরকারি হামলা প্রতিহত করার আশা নিয়েই বিদ্রোহীদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে একটি মানবিক বিপর্যয় থেকে বাঁচানোর জন্য আঙ্কারা একাই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মানবিক বিপর্যয়ের ফলে হাজার হাজার বেসামরিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সিরিয়ার তুরস্কের নীতি হচ্ছে বিরোদের সাথে অংশীদারিত্ব। সিরিয়ায় বেশির ভাগ উদ্বাস্তুকে নিজ দেশে আশ্রয় দানকারী দেশ হচ্ছে তুরস্ক। তারা কিছুতেই সঙ্ঘাত থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না। আঙ্কারা ইদলিবে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ার নেতৃত্বে ইদলিবে যে হামলা চালানো হচ্ছে- সেই হামলা প্রতিরোধ করতে তুরস্ক সরকার বিরোধীদের গাইডেড অ্যান্টি টাংক মিসাইল সরবরাহ করছে। মস্কোকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য তুরস্ক রুশ হামলা প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তুরস্ক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর অন্য স্বার্থ ও এজেন্ডা রয়েছে। আসাদ সরকার সিরিয়ার ‘প্রতি ইঞ্চি’ মাটি পুনর্দখলের জন্য ইদলিবে পরিকল্পিতভাবে বোমা বর্ষণ করে। আসাদ সরকার মনে করে ইদলিবে সত্যিকারভাবে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি কার্যককর হলে সেখানে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হবে। অন্য দিকে রাশিয়া, সামরিক শক্তির মাধ্যমে তার ইচ্ছা পূরণের জন্য কাজ করছে। দেশটি বিমান হামলা চলিয়ে তুরস্ককে তার নিজের রাজনৈতিক বোঝাপড়ার মধ্যে নিয়ে আসার প্রয়াস চালাচ্ছে। রাশিয়া সমঝোতার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিরোধী পক্ষের প্রতি নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার, তাদের প্রতি সহায়তা দান বন্ধ করে এবং এককভাবে ওয়াইপিজি প্রভাবিত সিরীয় গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে নিজে সাইড লাইনে চলে গেছে। পেন্টাগনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে কেবল ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আইএস-বিরোধী অংশীদারদের আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে উৎসাহিত করে না। কিন্তু তারা এখন সিরিয়া সরকারের ‘আচরণে’ পরির্তন চায় এবং ইরানকে সিরিয়া থেকে বের করে দিতে চায়। এ জন্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ইদলিবে সিরিয়ার বিরোধীদের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ইদলিবে আমেরিকা আল কায়েদার সাথে যুক্ত হায়াত তাহির আল শামের (এইটিএম) বলিষ্ঠ ভূমিকার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন এবং তারা ওই এলাকাকে ৯/১১-এর পর থেকে এ পর্যন্ত আলকায়েদার ‘বৃহত্তম নিরাপদ এলাকা’ বলে আখ্যায়িত করে আসছে।
অথচ সেখানে বেসামরিক লোকদের ওপর রাশিয়ার বর্বর বোমা হামলার বিরুদ্ধে আমেরিকা নীরব। যুক্তরাষ্ট্র কেবল রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার। সিরিয়া যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলো আমেরিকার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে হামলার অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু তারা ইদলিবে কৌশলগত দায়দায়িত্ব গ্রহণ এড়িয়ে গেছে। তারা ইউরোপে নতুন একটি মানবিক বিপর্যয় এবং উদ্বাস্তু প্রবাহ চায় ন। তবে তারা মানবিক সহায়তা এবং তুরস্কের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বাইরে গিয়ে বৃহত্তর কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত নয়।
সিরিয়ার যুদ্ধকে শূন্যগর্ভ ভূ-রাজনৈতিক খেলা হিসেবে অভিমত প্রকাশ করে উপসাগরীয় দেশগুলোর একটি ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা তুরস্কের ভূমিকাকে হেয় করার কৌশল গ্রহণ করেছে।
ইদলিব পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তুরস্কের ক্ষতি করতে চায়। কাতারের ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞা এবং দোহার প্রতি তুরস্কের সমর্থনকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা তুরস্ককে কোণঠাসা করার প্রয়াস চালাচ্ছে।
একই সময়ে সিরিয়ার সরকারবিরোধীরাও নানাবিধ সমস্যায় রয়েছে। ইদলিবে এইচটিএসের প্রাধান্য রয়েছে। তুরস্ক তার জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইদলিবে দৃঢ় ভূমিকা রাখছে। কিন্তু বহু দেশ সিরিয়ার মজলুম সরকার বিরোধী বেসামরিক লোকদের প্রতি সহানুভূতি সম্পন্ন নয়। সিরিয়ার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক গ্রুপ ও বেসামরিক লোকেরা ইদলিবের চরমপন্থীদের হাতে অস্ত্র চলে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চান না। সিরিয়া বিরোধী শক্তি তাদের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং চরমপন্থী গ্রুপগুলোকে নির্মূল করতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজেরাই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বিরোধী পক্ষের অনেক সদস্য মনে করেন, চরমপন্থীরা সরকারের বিরুদ্ধে ভালো যোদ্ধা এবং তারা অত্যাবশ্যকীয় আন্তর্জাতিক সহায়তা পেয়ে থাকে। কিন্তু এই দায়িত্বহীন দৃষ্টিভঙ্গি তুরস্কের হাতকে দুর্বল করে দিয়েছে।
এই সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়রোধ করার জন্য তুরস্ক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে, তারা একই সাথে ইদলিবের ভবিষ্যৎ নিয়ে মস্কো, দামেস্ক ও তেহরানের পৃথক ভিশনকে সামাল দেয়ার জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার চুক্তি লঙ্ঘন করে রুশ বিমানবাহিনীর সমর্থন নিয়ে আসাদ সরকার স্থলবাহিনী নিয়ে অগ্রসর হতে থাকলে শেষ পর্যন্ত একটি গভীর মানবিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি হবে। ইদলিবের বর্তমান পরিস্থিতি হচ্ছে সিরিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত একটি ধীর ও অব্যাহত প্রক্রিয়ার ফল। গত মে মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ ইদলিবের ভেতর ও চতুর্দিক থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তাদের অনেকেই আবার তুরস্ক সীমান্তের দিকে পাড়ি জমিয়েছে। তুরস্ক কর্তৃপক্ষ ইদলিবের বিদ্রোহী তথা সরকার বিরোধীদের সাহায্য-সহায়তা দিচ্ছে। সরকারি হামলা প্রতিহত করার আশা নিয়েই বিদ্রোহীদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে একটি মানবিক বিপর্যয় থেকে বাঁচানোর জন্য আঙ্কারা একাই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মানবিক বিপর্যয়ের ফলে হাজার হাজার বেসামরিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সিরিয়ার তুরস্কের নীতি হচ্ছে বিরোদের সাথে অংশীদারিত্ব। সিরিয়ায় বেশির ভাগ উদ্বাস্তুকে নিজ দেশে আশ্রয় দানকারী দেশ হচ্ছে তুরস্ক। তারা কিছুতেই সঙ্ঘাত থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না। আঙ্কারা ইদলিবে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ার নেতৃত্বে ইদলিবে যে হামলা চালানো হচ্ছে- সেই হামলা প্রতিরোধ করতে তুরস্ক সরকার বিরোধীদের গাইডেড অ্যান্টি টাংক মিসাইল সরবরাহ করছে। মস্কোকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য তুরস্ক রুশ হামলা প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তুরস্ক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর অন্য স্বার্থ ও এজেন্ডা রয়েছে। আসাদ সরকার সিরিয়ার ‘প্রতি ইঞ্চি’ মাটি পুনর্দখলের জন্য ইদলিবে পরিকল্পিতভাবে বোমা বর্ষণ করে। আসাদ সরকার মনে করে ইদলিবে সত্যিকারভাবে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি কার্যককর হলে সেখানে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হবে। অন্য দিকে রাশিয়া, সামরিক শক্তির মাধ্যমে তার ইচ্ছা পূরণের জন্য কাজ করছে। দেশটি বিমান হামলা চলিয়ে তুরস্ককে তার নিজের রাজনৈতিক বোঝাপড়ার মধ্যে নিয়ে আসার প্রয়াস চালাচ্ছে। রাশিয়া সমঝোতার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিরোধী পক্ষের প্রতি নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার, তাদের প্রতি সহায়তা দান বন্ধ করে এবং এককভাবে ওয়াইপিজি প্রভাবিত সিরীয় গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে নিজে সাইড লাইনে চলে গেছে। পেন্টাগনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে কেবল ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র আইএস-বিরোধী অংশীদারদের আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হতে উৎসাহিত করে না। কিন্তু তারা এখন সিরিয়া সরকারের ‘আচরণে’ পরির্তন চায় এবং ইরানকে সিরিয়া থেকে বের করে দিতে চায়। এ জন্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ইদলিবে সিরিয়ার বিরোধীদের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ইদলিবে আমেরিকা আল কায়েদার সাথে যুক্ত হায়াত তাহির আল শামের (এইটিএম) বলিষ্ঠ ভূমিকার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন এবং তারা ওই এলাকাকে ৯/১১-এর পর থেকে এ পর্যন্ত আলকায়েদার ‘বৃহত্তম নিরাপদ এলাকা’ বলে আখ্যায়িত করে আসছে।
অথচ সেখানে বেসামরিক লোকদের ওপর রাশিয়ার বর্বর বোমা হামলার বিরুদ্ধে আমেরিকা নীরব। যুক্তরাষ্ট্র কেবল রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার। সিরিয়া যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলো আমেরিকার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে হামলার অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু তারা ইদলিবে কৌশলগত দায়দায়িত্ব গ্রহণ এড়িয়ে গেছে। তারা ইউরোপে নতুন একটি মানবিক বিপর্যয় এবং উদ্বাস্তু প্রবাহ চায় ন। তবে তারা মানবিক সহায়তা এবং তুরস্কের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বাইরে গিয়ে বৃহত্তর কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত নয়।
সিরিয়ার যুদ্ধকে শূন্যগর্ভ ভূ-রাজনৈতিক খেলা হিসেবে অভিমত প্রকাশ করে উপসাগরীয় দেশগুলোর একটি ভিন্ন উদ্দেশ্য প্রকাশিত হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা তুরস্কের ভূমিকাকে হেয় করার কৌশল গ্রহণ করেছে।
ইদলিব পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তুরস্কের ক্ষতি করতে চায়। কাতারের ওপর চলমান নিষেধাজ্ঞা এবং দোহার প্রতি তুরস্কের সমর্থনকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা তুরস্ককে কোণঠাসা করার প্রয়াস চালাচ্ছে।
একই সময়ে সিরিয়ার সরকারবিরোধীরাও নানাবিধ সমস্যায় রয়েছে। ইদলিবে এইচটিএসের প্রাধান্য রয়েছে। তুরস্ক তার জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইদলিবে দৃঢ় ভূমিকা রাখছে। কিন্তু বহু দেশ সিরিয়ার মজলুম সরকার বিরোধী বেসামরিক লোকদের প্রতি সহানুভূতি সম্পন্ন নয়। সিরিয়ার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক গ্রুপ ও বেসামরিক লোকেরা ইদলিবের চরমপন্থীদের হাতে অস্ত্র চলে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চান না। সিরিয়া বিরোধী শক্তি তাদের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং চরমপন্থী গ্রুপগুলোকে নির্মূল করতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজেরাই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বিরোধী পক্ষের অনেক সদস্য মনে করেন, চরমপন্থীরা সরকারের বিরুদ্ধে ভালো যোদ্ধা এবং তারা অত্যাবশ্যকীয় আন্তর্জাতিক সহায়তা পেয়ে থাকে। কিন্তু এই দায়িত্বহীন দৃষ্টিভঙ্গি তুরস্কের হাতকে দুর্বল করে দিয়েছে।
No comments