আফগান শান্তি আলোচনার সার কথা by সালমান রাফি শেখ
দোহাতে
যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে সপ্তম দফা শান্তি আলোচনা চলছে। এ পর্যন্ত
যে সব বিষয়ে বিস্তারিত জানা গেছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে যে, একটা খসড়া এখন
পুণরায় লেখা হচ্ছে, যেটার ব্যাপারে আগে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছিল এবং খসড়া
শান্তি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে যথেষ্ট ‘অগ্রগতি’ অর্জিত হয়েছে।
আলোচনা যে চলছে, এটাই একটা ইতিবাচক বিষয়। চুক্তির খসড়া লেখা এবং সেটা সংশোধনের যে অব্যাহত প্রক্রিয়া, সেটা থেকে শুধু এটাই বোঝা যাচ্ছে না যে, এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া, বরং এটাও বোঝা যাচ্ছে যে, দুই পক্ষের মধ্যে অনেক ভিন্নমতও রয়েছে, যেগুলোর কারণে চুক্তি চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। ষষ্ঠ দফা আলোচনার পর মার্কিন বিশেষ দূত খলিলজাদ বলেছিলেন যে, “বিশদ খসড়ার মধ্যেই যত সমস্যা”। তিনি আরও বলেন যে, “চুক্তির মূল বিষয় নিয়ে” বিতর্ক হচ্ছে।
আলোচনার এই ‘সারবস্তু’ নিয়ে বিশ্লেষণ যখন প্রকাশিত হলো, তখন দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বড় মতবিরোধের বিষয় এবং বিবাদের মূল বিষয়টি এখনও রয়ে গেছে, বিশেষ করে তালেবানদের দিক থেকে। সেটা হলো সেনা প্রত্যাহারের সময় ঘোষণা। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে অবশ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তালেবানদের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যে তারা কোন সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সাথে সহায়তা করবে না।
তালেবানদের দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার যুদ্ধে ইতি টানার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে, কয়েক শ সেনা রাখাটা প্রয়োজন যাতে চুক্তি যথাযথাভাবে বাস্তবায়নের বিষয়টি ‘পর্যবেক্ষণ’ করা যায় এবং যাতে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আবার আঘাত হানতে না পারে।
খসড়া পুনরায় লেখার যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মার্কিন সেনার উপস্থিতি ও প্রত্যাহারের বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র হয়তো দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজি হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রাজি হওয়ার কারণ কি হতে পারে?
এখানে যদি শুধুমাত্র তালেবানদের জোরাজুরির ব্যাপার হতো, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো সেনা প্রত্যাহারে রাজি হতো না, অন্তত এত তাড়াতাড়ি নয়। তবে, বাস্তবতা হলো রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তালেবানদের অবস্থান ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে, আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পক্ষ হিসেবে তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাড়ছে, যেটা সামগ্রিক শান্তি প্রক্রিয়ার মূল বিষয়। এর অর্থ হলো চুক্তিটি শেষ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ আসলেই বাড়ছে।
অতি সম্প্রতি তালেবানরা চীনে গিয়েছিল চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, “তারা (চীন ও তালেবান) আফগানিস্তানে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার জন্য পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার বিষয়ে একমত হয়েছে”।
‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের’ উল্লেখ করাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে তালেবান ও আফগানিস্তানে সক্রিয় ২০টি অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে। চীনাদের যদিও এই দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে, তালেবানরা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করবে, কিন্তু ‘প্রতিশ্রুতি’ দেয়ার বিষয়টি অনেক বেশি জটিল, সেটা সাদামাটা দৃষ্টিতে বোঝা যাবে না।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা তালেবানদের জন্য কোন সমস্যা হবে না, আল কায়েদার সাথে সম্পর্কটা শত্রুতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নয়। তালেবানরা যদি একমতও হয় যে তারা আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে এই গ্রুপগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে বা পশ্চিমা কোন দেশে হামলা চালাতে দেবে না, কিন্তু এখানে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে যুদ্ধের বিষয়ে কোন উত্তর না আসলে এই সব গ্রুপগুলোর হাজার হাজার সদস্যদের কি হবে।
যেহেতু এই যোদ্ধাদের বড় একটা অংশই আফগান, তাই তাদের সমাজে সাধারণ নাগরিক হিসেবে প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ তৈরির গুরুত্বটি কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, একটা সাধারণ অস্ত্রবিরতি, নিরস্ত্রিকরণ এবং সমাজে পুনর্বাসনের এই বিপুল কর্মযজ্ঞের জন্য তালেবানদের এককভাবে দায়বদ্ধ করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোকে এখানে তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। চীন, রাশিয়া ও এমনকি পাকিস্তানের ভূমিকা এখানে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যারা চায় না যে, এই ইসলামিক গ্রুপগুলো নিরবে মধ্য এশিয়া বা জিনজিয়াংয়ে ছড়িয়ে পড়ুক এবং এইসব এলাকায় হামলা শুরু করুক।
আন্তর্জাতিক চাপ ও উদ্বেগ থাকলেও, আসলে যুক্তরাষ্ট্রই এখানে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে চায় এবং সে কারণেই তারা সম্ভবত দ্রুত (কয়েক মাসের মধ্যে) সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজি হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এটাকে তাদের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারণা চালানোর জন্য সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চান। যে প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধের ইতি টানতে সক্ষম হয়েছে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিশ্চিতভাবে সেটা তাদেরকে একটা শক্ত রাজনৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাবে। এটা ভুললে চলবে না যে, এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার একটা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে যাচ্ছেন, যে প্রতিশ্রুতি তিনি ২০১৬ সালের প্রচারণার সময় দিয়েছিলেন। সেটা হলো যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সমাপ্তি টানা।
সাম্প্রতিক সপ্তম দফা আলোচনায় ‘অসামান্য অগ্রগতি’ হয়েছে বলে তালেবানরা যে বিবৃতি দিয়েছে, সেটাকে যদি বিশ্বাস করা হয়, তাহলে এটা অনুমান করা হয়তো নিরাপদ হবে যে, চুক্তির বিস্তারিত খসড়ার ব্যাপারে দুই পক্ষ একমত হতে পেরেছে এবং এ ব্যাপারে চূড়ান্ত অর্জন প্রায় দ্বারপ্রান্তে।
তবে বিনষ্টকারীরাও সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে কারণ আফগান সরকারকে এই প্রক্রিয়া থেকে প্রায় স্থায়ীভাবে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাছাড়া তালেবানদের আধিপত্যের রাজনৈতিক সিস্টেম কেমন হবে, সেটা নিয়েও একটা অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। অশুভের একটা বড় অংশ তাই এখনও রয়েই গেছে।
আলোচনা যে চলছে, এটাই একটা ইতিবাচক বিষয়। চুক্তির খসড়া লেখা এবং সেটা সংশোধনের যে অব্যাহত প্রক্রিয়া, সেটা থেকে শুধু এটাই বোঝা যাচ্ছে না যে, এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া, বরং এটাও বোঝা যাচ্ছে যে, দুই পক্ষের মধ্যে অনেক ভিন্নমতও রয়েছে, যেগুলোর কারণে চুক্তি চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না। ষষ্ঠ দফা আলোচনার পর মার্কিন বিশেষ দূত খলিলজাদ বলেছিলেন যে, “বিশদ খসড়ার মধ্যেই যত সমস্যা”। তিনি আরও বলেন যে, “চুক্তির মূল বিষয় নিয়ে” বিতর্ক হচ্ছে।
আলোচনার এই ‘সারবস্তু’ নিয়ে বিশ্লেষণ যখন প্রকাশিত হলো, তখন দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বড় মতবিরোধের বিষয় এবং বিবাদের মূল বিষয়টি এখনও রয়ে গেছে, বিশেষ করে তালেবানদের দিক থেকে। সেটা হলো সেনা প্রত্যাহারের সময় ঘোষণা। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে অবশ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তালেবানদের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যে তারা কোন সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সাথে সহায়তা করবে না।
তালেবানদের দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার যুদ্ধে ইতি টানার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে, কয়েক শ সেনা রাখাটা প্রয়োজন যাতে চুক্তি যথাযথাভাবে বাস্তবায়নের বিষয়টি ‘পর্যবেক্ষণ’ করা যায় এবং যাতে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো আবার আঘাত হানতে না পারে।
খসড়া পুনরায় লেখার যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মার্কিন সেনার উপস্থিতি ও প্রত্যাহারের বিষয়টির সমাধান হয়ে গেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র হয়তো দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজি হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রাজি হওয়ার কারণ কি হতে পারে?
এখানে যদি শুধুমাত্র তালেবানদের জোরাজুরির ব্যাপার হতো, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো সেনা প্রত্যাহারে রাজি হতো না, অন্তত এত তাড়াতাড়ি নয়। তবে, বাস্তবতা হলো রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তালেবানদের অবস্থান ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে, আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পক্ষ হিসেবে তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাড়ছে, যেটা সামগ্রিক শান্তি প্রক্রিয়ার মূল বিষয়। এর অর্থ হলো চুক্তিটি শেষ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ আসলেই বাড়ছে।
অতি সম্প্রতি তালেবানরা চীনে গিয়েছিল চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, “তারা (চীন ও তালেবান) আফগানিস্তানে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার জন্য পরস্পরের সাথে যোগাযোগ রক্ষার বিষয়ে একমত হয়েছে”।
‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের’ উল্লেখ করাটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানে তালেবান ও আফগানিস্তানে সক্রিয় ২০টি অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে। চীনাদের যদিও এই দৃঢ় বিশ্বাস আছে যে, তালেবানরা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করবে, কিন্তু ‘প্রতিশ্রুতি’ দেয়ার বিষয়টি অনেক বেশি জটিল, সেটা সাদামাটা দৃষ্টিতে বোঝা যাবে না।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা তালেবানদের জন্য কোন সমস্যা হবে না, আল কায়েদার সাথে সম্পর্কটা শত্রুতা বা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নয়। তালেবানরা যদি একমতও হয় যে তারা আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে এই গ্রুপগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে বা পশ্চিমা কোন দেশে হামলা চালাতে দেবে না, কিন্তু এখানে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে যুদ্ধের বিষয়ে কোন উত্তর না আসলে এই সব গ্রুপগুলোর হাজার হাজার সদস্যদের কি হবে।
যেহেতু এই যোদ্ধাদের বড় একটা অংশই আফগান, তাই তাদের সমাজে সাধারণ নাগরিক হিসেবে প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ তৈরির গুরুত্বটি কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, একটা সাধারণ অস্ত্রবিরতি, নিরস্ত্রিকরণ এবং সমাজে পুনর্বাসনের এই বিপুল কর্মযজ্ঞের জন্য তালেবানদের এককভাবে দায়বদ্ধ করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোকে এখানে তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। চীন, রাশিয়া ও এমনকি পাকিস্তানের ভূমিকা এখানে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যারা চায় না যে, এই ইসলামিক গ্রুপগুলো নিরবে মধ্য এশিয়া বা জিনজিয়াংয়ে ছড়িয়ে পড়ুক এবং এইসব এলাকায় হামলা শুরু করুক।
আন্তর্জাতিক চাপ ও উদ্বেগ থাকলেও, আসলে যুক্তরাষ্ট্রই এখানে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করতে চায় এবং সে কারণেই তারা সম্ভবত দ্রুত (কয়েক মাসের মধ্যে) সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে রাজি হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এটাকে তাদের প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারণা চালানোর জন্য সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চান। যে প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধের ইতি টানতে সক্ষম হয়েছে, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিশ্চিতভাবে সেটা তাদেরকে একটা শক্ত রাজনৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাবে। এটা ভুললে চলবে না যে, এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার একটা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে যাচ্ছেন, যে প্রতিশ্রুতি তিনি ২০১৬ সালের প্রচারণার সময় দিয়েছিলেন। সেটা হলো যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সমাপ্তি টানা।
সাম্প্রতিক সপ্তম দফা আলোচনায় ‘অসামান্য অগ্রগতি’ হয়েছে বলে তালেবানরা যে বিবৃতি দিয়েছে, সেটাকে যদি বিশ্বাস করা হয়, তাহলে এটা অনুমান করা হয়তো নিরাপদ হবে যে, চুক্তির বিস্তারিত খসড়ার ব্যাপারে দুই পক্ষ একমত হতে পেরেছে এবং এ ব্যাপারে চূড়ান্ত অর্জন প্রায় দ্বারপ্রান্তে।
তবে বিনষ্টকারীরাও সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে কারণ আফগান সরকারকে এই প্রক্রিয়া থেকে প্রায় স্থায়ীভাবে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। তাছাড়া তালেবানদের আধিপত্যের রাজনৈতিক সিস্টেম কেমন হবে, সেটা নিয়েও একটা অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। অশুভের একটা বড় অংশ তাই এখনও রয়েই গেছে।
No comments