দুইদিনে ১০,০০০ কোটি টাকার মূলধন উধাও by এম এম মাসুদ
পুঁজিবাজারের
টানা পতন রোধে গত কয়েক মাসে নানা কার্যকরী সংস্কার করা হয়েছে। তারপরও
অস্বাভাবিক দরপতন হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও থেকে প্রতিনিয়ত উধাও
হচ্ছে পুঁজি। ফলে প্রতিদিনই লোকসানের হিসাব কষতে হচ্ছে সাধারণ
বিনিয়োগকারীদের। গতকালও শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। দেশের প্রধান
শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৭ পয়েন্ট
কমে নেমে এসেছে ৫ হাজার পয়েন্টের নিচে। যা গত আড়াই বছরে আর কখনও সূচক এতটা
নামেনি। অন্যদিকে, গত দুদিনের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও থেকে
উধাও হয়ে গেছে ১০ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০০ পয়েন্ট।
বাজারের সামপ্রতিক এ দরপতনকে ‘অস্বাভাবিক’ মনে করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি)। পতনের কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে এখন আতঙ্ক চলছে; সেই আতঙ্কে প্রতিদিনই পড়ছে সূচক। বেশ কিছুদিন ধরে সব খাতের শেয়ারের দরই পড়ে যাচ্ছে। ছোট বিনিয়োগকারীরা ফের রাস্তায় নামছেন। মিছিল-মানববন্ধন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার তারা ১৫ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এদিকে অস্বাভাবিক এই দরপতনে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারের পতনরোধে সাম্প্রাতিক সময়ে নানা কার্যকরি সংস্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে বহুদিনের চাহিদা বিনিয়োগসীমা সংশোধন, প্লেসমেন্ট শেয়ারে লক-ইন এর মেয়াদ বৃদ্ধি, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বৃদ্ধি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রি-ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট (আরআইইউ) বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বিতর্কিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন করা হয়েছে। তারপরও শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক পতন হচ্ছে। যদিও আইপিও্থর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানির মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা রয়েছে। এছাড়া একটি কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিয়ে বিএসইসি ও ডিএসইর মধ্যে সৃষ্ট দুরত্ব বাজারে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে গুনঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার ডিএসইএক্স ৬৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬৬.৪৪ পয়েন্টে নেমে আসে। সূচকে এর চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২শে ডিসেম্বর, সেদিন সূচক নেমে গিয়েছিল ৪ হাজার ৯৬৬ পয়েন্টে। চলতি বছরের ২৪শে জানুয়ারি ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করছিল ৫৯৫০ পয়েন্টে। সেই হিসাবে গত ছয় মাসে ১০০০ পয়েন্ট হারিয়েছে ডিএসইর প্রধান সূচক। আর এই পতনের কারণ অনুসন্ধানে রোববার ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
সমপ্রতি কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের তালিকাভুক্তি নিয়ে বিএসইসি ও ডিএসই কর্তৃপক্ষ দুই মেরুতে অবস্থান করছে। আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধরনের অসংগতি থাকায় কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্ত না করতে অনড় অবস্থান নেয় ডিএসই। এ ইস্যুতে বিএসইসির অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ডিএসইর সদস্যদের মধ্যে।
অন্যদিকে, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পূণঃনিয়োগ ঝুলিয়ে রাখার মাধ্যমে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে উঠেছে। গত মে মাসে কেএএম মাজেদুর রহমানকে ডিএসইর এমডি হিসাবে পূণঃনিয়োগের বিষয়ে অনুমতি চেয়ে বিএসইসিকে চিঠি দেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোন উত্তর দেয়নি বিএসইসি। এরইমধ্যে গত ১১ই জুলাই ডিএসই থেকে বিদায় নিয়েছেন মাজেদুর রহমান। তবে কমিশনের কোন জবাব না পাওয়ায় মাজেদুর রহমানকে পূণঃনিয়োগ বা নতুন এমডির খোঁজে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছে না ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া গত কয়েক বছরে মানহীন কিছু কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের বিষয়টি নিয়েও বাজারসংশ্লিষ্টদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। বিনিয়োগকারীরাও এ জন্য বিএসইসিকে দুষছেন। এমনকি বাজারের আস্থা ফেরাতে বিএসইসির চেয়ারম্যানেরও পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারে পতনের কারণ হচ্ছে সার্বিকভাবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হয়েছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে ব্যাংক খাতের ঋণ সরবরাহ কমে গেছে। এতে অনেক বিনিয়োগকারী ঋণ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ঋণ কমে যাওয়ায় ব্যাংকের মুনাফা কমবে। এছাড়া একটি লিজিং কোম্পানি অবসায়ন হচ্ছে। অন্যদের অবস্থাও খুব একটা সন্তোষজনক না। এসব বিষয়গুলো বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। আর দুই দিন আগের কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর ও সূচক। ফলে দুই দিনের ব্যবধানেই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন কমেছে।
এদিকে বাজেট অনুমোদনের পর ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে ১১ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ৩৮৭.৮৮ পয়েন্ট।
বাজার পরিস্থিতি: গতকাল ডিএসইএক্স সূচক ৬৭.৩০ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৬৬.৪৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৮.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৩৯.৫৩ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২৩.২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৭৬.১৪ পয়েন্টে। এর আগের দিন ডিএসইর ৪৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ওই দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ২৭৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।
অন্যদিকে, সিএসইএর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯৯.৫৪ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ২১৫.৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। শতাংশ হিসাবে এই সূচক ১.২৯ শতাংশ কমেছে। গতকাল সোমবার সিএসইতে ২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত রোববার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। লেনদেন হয়েছে ২৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দর।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০০ পয়েন্ট।
বাজারের সামপ্রতিক এ দরপতনকে ‘অস্বাভাবিক’ মনে করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি)। পতনের কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে এখন আতঙ্ক চলছে; সেই আতঙ্কে প্রতিদিনই পড়ছে সূচক। বেশ কিছুদিন ধরে সব খাতের শেয়ারের দরই পড়ে যাচ্ছে। ছোট বিনিয়োগকারীরা ফের রাস্তায় নামছেন। মিছিল-মানববন্ধন হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার তারা ১৫ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। এদিকে অস্বাভাবিক এই দরপতনে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারের পতনরোধে সাম্প্রাতিক সময়ে নানা কার্যকরি সংস্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে বহুদিনের চাহিদা বিনিয়োগসীমা সংশোধন, প্লেসমেন্ট শেয়ারে লক-ইন এর মেয়াদ বৃদ্ধি, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বৃদ্ধি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রি-ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট (আরআইইউ) বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বিতর্কিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন করা হয়েছে। তারপরও শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক পতন হচ্ছে। যদিও আইপিও্থর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানির মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা রয়েছে। এছাড়া একটি কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিয়ে বিএসইসি ও ডিএসইর মধ্যে সৃষ্ট দুরত্ব বাজারে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে গুনঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার ডিএসইএক্স ৬৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬৬.৪৪ পয়েন্টে নেমে আসে। সূচকে এর চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২শে ডিসেম্বর, সেদিন সূচক নেমে গিয়েছিল ৪ হাজার ৯৬৬ পয়েন্টে। চলতি বছরের ২৪শে জানুয়ারি ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করছিল ৫৯৫০ পয়েন্টে। সেই হিসাবে গত ছয় মাসে ১০০০ পয়েন্ট হারিয়েছে ডিএসইর প্রধান সূচক। আর এই পতনের কারণ অনুসন্ধানে রোববার ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
সমপ্রতি কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের তালিকাভুক্তি নিয়ে বিএসইসি ও ডিএসই কর্তৃপক্ষ দুই মেরুতে অবস্থান করছে। আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধরনের অসংগতি থাকায় কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্ত না করতে অনড় অবস্থান নেয় ডিএসই। এ ইস্যুতে বিএসইসির অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ডিএসইর সদস্যদের মধ্যে।
অন্যদিকে, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পূণঃনিয়োগ ঝুলিয়ে রাখার মাধ্যমে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়েছে উঠেছে। গত মে মাসে কেএএম মাজেদুর রহমানকে ডিএসইর এমডি হিসাবে পূণঃনিয়োগের বিষয়ে অনুমতি চেয়ে বিএসইসিকে চিঠি দেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোন উত্তর দেয়নি বিএসইসি। এরইমধ্যে গত ১১ই জুলাই ডিএসই থেকে বিদায় নিয়েছেন মাজেদুর রহমান। তবে কমিশনের কোন জবাব না পাওয়ায় মাজেদুর রহমানকে পূণঃনিয়োগ বা নতুন এমডির খোঁজে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছে না ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া গত কয়েক বছরে মানহীন কিছু কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের বিষয়টি নিয়েও বাজারসংশ্লিষ্টদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। বিনিয়োগকারীরাও এ জন্য বিএসইসিকে দুষছেন। এমনকি বাজারের আস্থা ফেরাতে বিএসইসির চেয়ারম্যানেরও পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজারে পতনের কারণ হচ্ছে সার্বিকভাবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হয়েছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে ব্যাংক খাতের ঋণ সরবরাহ কমে গেছে। এতে অনেক বিনিয়োগকারী ঋণ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ঋণ কমে যাওয়ায় ব্যাংকের মুনাফা কমবে। এছাড়া একটি লিজিং কোম্পানি অবসায়ন হচ্ছে। অন্যদের অবস্থাও খুব একটা সন্তোষজনক না। এসব বিষয়গুলো বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। আর দুই দিন আগের কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ছিল ৩ লাখ ৮২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর ও সূচক। ফলে দুই দিনের ব্যবধানেই প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন কমেছে।
এদিকে বাজেট অনুমোদনের পর ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে ১১ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ৩৮৭.৮৮ পয়েন্ট।
বাজার পরিস্থিতি: গতকাল ডিএসইএক্স সূচক ৬৭.৩০ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৬৬.৪৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৮.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৩৯.৫৩ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২৩.২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৭৬.১৪ পয়েন্টে। এর আগের দিন ডিএসইর ৪৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ওই দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ২৭৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।
অন্যদিকে, সিএসইএর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯৯.৫৪ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ২১৫.৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। শতাংশ হিসাবে এই সূচক ১.২৯ শতাংশ কমেছে। গতকাল সোমবার সিএসইতে ২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গত রোববার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। লেনদেন হয়েছে ২৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দর।
No comments