বিহারে আরএসএসকে নিয়ে ‘রিপোর্ট’ পুলিশের, ক্ষুব্ধ বিজেপি
বিজেপির
সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাতারাতি বিহারের রাজনৈতিক নকশা বদলে দিয়েছিলেন নীতীশ
কুমার। কিন্তু এ বার সেই বিজেপির সঙ্গেই সংঘাতের মুখে তাঁর সংযুক্ত জনতা দল
(জেডিইউ)। রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) এবং তাদের বিভিন্ন শাখা
সংগঠনের গতিবিধির উপর গোপনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। আর তা
নিয়েই ফের ঘোরাল হয়ে উঠেছে বিহারের রাজনীতি।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বিতর্কের সূত্রপাত। ওই দিন একটি বিতর্কিত চিঠি সামনে আসে। গত ২৮ মে ওই চিঠিটি লেখেন পটনা স্পেশাল শাখার তৎকালীন পুলিশ সুপার রাজীব রঞ্জন। তাতে আরএসএস, তাদের ১৮টি শাখা সংগঠন এবং ওই সংগঠনের কর্মীদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পেশা এবং অন্য জরুরি তথ্য সংগ্রহ করে সদর দফতরে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।
সঙ্ঘের যে ১৮টি শাখা সংগঠন সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়, তার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরঙ্গ দল, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, ধর্ম জাগরণ সমন্বয় সমিতি, হিন্দু রাষ্ট্র সেনা, মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ, দুর্গা বাহিনী। চিঠিটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখার পাশাপাশি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই সংগঠনগুলি সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়।
এই চিঠি ঘিরেই তোলপাড় শুরু হয়েছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে। সঙ্ঘের উপর নজর রাখতে নীতীশ কুমারই কি তা হলে নির্দেশ দিয়েছিলেন? উঠছে এমন প্রশ্ন। পটনা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত চিঠিটিকে উড়িয়েও দেননি আবার চিঠিতে সঙ্ঘের উপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন কি না, তা নিয়েও প্রকাশ্যে স্বীকারও করেননি। গত মাসেই রাজীব রঞ্জনকে বদলি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর দায়িত্বে রয়েছেন কার্তিকেয় শর্মা। যে হেতু সেই সময় পটনায় ছিলেন না, তাই চিঠির ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইন্সপেক্টর জেনারেলের দাবি, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করা স্পেশাল ব্রাঞ্চের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কোনটা কার সংগঠন তাতে কিছু যায় আসে না। বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী এবং রাজনৈতিক সংগঠন সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিই আমরা।’’
যদিও বিহার পুলিশের সদর দফতর সূত্রে খবর, গত বছর রামনবমী ঘিরে রাজ্যের একাধিক জেলায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি দেখা দিয়েছিল। তার জেরেই এই পদক্ষেপ করা হয়। সঙ্ঘ এবং তাদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনকে সাবধান করতে উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদীর সঙ্গেও আলাদা করে কথা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। নজরদারির কোনও ব্যাপার নেই বরং গোটা ঘটনাকে ‘রুটিন অ্যাফেয়ার’ বলে অভিহিত করেছে জেডিইউ। রাজ্যের জনসংযোগ মন্ত্রী নীরজ কুমার জানান, ‘‘এ রকম বহু সংগঠন সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে স্পেশাল ব্রাঞ্চ। এতে বিজেপি-জেডিইউ সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
তবে চিঠিটি যে সময় লেখা হয়েছিল, সেই সময় দিল্লিতে দ্বিতীয় বার সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মন্ত্রিসভায় জেডিইউয়ের জায়গা হচ্ছে না, তখনই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই কি সঙ্ঘের উপর কড়া নজর রাখতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছিলেন নীতীশ কুমার? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
রাজ্য বিজেপির তরফে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে দলের বিধায়ক নিতিন নবীন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘আরএসএস কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। যা ইচ্ছা তথ্য জোগাড় করুক পুলিশ। তবে বিহারে সঙ্ঘের প্রান্ত প্রচারক রাজেশকুমার পাণ্ডে বলেন, ‘‘চিঠির কথা কানে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি আমরা। কিন্তু এমন কোনও গোপন কাজকর্মে যুক্ত নই আমরা যে, পুলিশ লাগাতে হবে। রাজ্যে আমাদের অনেক শাখা সংগঠন রয়েছে। নির্বাচন এবং বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করি। তা সংবাদমাধ্যমকে প্রকাশিতও হয়।’’ কিন্তু ওই তালিকায় এমন কিছু সংগঠনের নাম রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগ থাকা তো দূর, আগে কখনও সেগুলির নাম শোনেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেসের ‘মহাজোট’ ছেড়ে বেরিয়ে এসে, ২০১৭-র ২৭ জুলাই বিজেপির হাত ধরে বিহারে সরকার গড়েন নীতীশ কুমার। কিন্তু তার পর থেকে, গত দু’বছরে তিন তালাক— সহ একাধিক বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এক সময় ‘সঙ্ঘ মুক্ত ভারত’-এর ডাক দেওয়া নীতীশের সঙ্গে সম্পর্ক তেমন ভাল নয় সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতেরও।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার বিতর্কের সূত্রপাত। ওই দিন একটি বিতর্কিত চিঠি সামনে আসে। গত ২৮ মে ওই চিঠিটি লেখেন পটনা স্পেশাল শাখার তৎকালীন পুলিশ সুপার রাজীব রঞ্জন। তাতে আরএসএস, তাদের ১৮টি শাখা সংগঠন এবং ওই সংগঠনের কর্মীদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, পেশা এবং অন্য জরুরি তথ্য সংগ্রহ করে সদর দফতরে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।
সঙ্ঘের যে ১৮টি শাখা সংগঠন সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়, তার মধ্যে অন্যতম হল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরঙ্গ দল, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, ধর্ম জাগরণ সমন্বয় সমিতি, হিন্দু রাষ্ট্র সেনা, মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ, দুর্গা বাহিনী। চিঠিটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখার পাশাপাশি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই সংগঠনগুলি সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়।
এই চিঠি ঘিরেই তোলপাড় শুরু হয়েছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে। সঙ্ঘের উপর নজর রাখতে নীতীশ কুমারই কি তা হলে নির্দেশ দিয়েছিলেন? উঠছে এমন প্রশ্ন। পটনা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত চিঠিটিকে উড়িয়েও দেননি আবার চিঠিতে সঙ্ঘের উপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন কি না, তা নিয়েও প্রকাশ্যে স্বীকারও করেননি। গত মাসেই রাজীব রঞ্জনকে বদলি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর দায়িত্বে রয়েছেন কার্তিকেয় শর্মা। যে হেতু সেই সময় পটনায় ছিলেন না, তাই চিঠির ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইন্সপেক্টর জেনারেলের দাবি, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করা স্পেশাল ব্রাঞ্চের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কোনটা কার সংগঠন তাতে কিছু যায় আসে না। বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী এবং রাজনৈতিক সংগঠন সম্পর্কেও খোঁজ খবর নিই আমরা।’’
যদিও বিহার পুলিশের সদর দফতর সূত্রে খবর, গত বছর রামনবমী ঘিরে রাজ্যের একাধিক জেলায় সাম্প্রদায়িক অশান্তি দেখা দিয়েছিল। তার জেরেই এই পদক্ষেপ করা হয়। সঙ্ঘ এবং তাদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনকে সাবধান করতে উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদীর সঙ্গেও আলাদা করে কথা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। নজরদারির কোনও ব্যাপার নেই বরং গোটা ঘটনাকে ‘রুটিন অ্যাফেয়ার’ বলে অভিহিত করেছে জেডিইউ। রাজ্যের জনসংযোগ মন্ত্রী নীরজ কুমার জানান, ‘‘এ রকম বহু সংগঠন সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে স্পেশাল ব্রাঞ্চ। এতে বিজেপি-জেডিইউ সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
তবে চিঠিটি যে সময় লেখা হয়েছিল, সেই সময় দিল্লিতে দ্বিতীয় বার সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মন্ত্রিসভায় জেডিইউয়ের জায়গা হচ্ছে না, তখনই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই কি সঙ্ঘের উপর কড়া নজর রাখতে উদ্যোগী হয়ে উঠেছিলেন নীতীশ কুমার? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
রাজ্য বিজেপির তরফে বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে দলের বিধায়ক নিতিন নবীন সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘আরএসএস কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। যা ইচ্ছা তথ্য জোগাড় করুক পুলিশ। তবে বিহারে সঙ্ঘের প্রান্ত প্রচারক রাজেশকুমার পাণ্ডে বলেন, ‘‘চিঠির কথা কানে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি আমরা। কিন্তু এমন কোনও গোপন কাজকর্মে যুক্ত নই আমরা যে, পুলিশ লাগাতে হবে। রাজ্যে আমাদের অনেক শাখা সংগঠন রয়েছে। নির্বাচন এবং বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করি। তা সংবাদমাধ্যমকে প্রকাশিতও হয়।’’ কিন্তু ওই তালিকায় এমন কিছু সংগঠনের নাম রয়েছে, তাদের সঙ্গে যোগ থাকা তো দূর, আগে কখনও সেগুলির নাম শোনেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেসের ‘মহাজোট’ ছেড়ে বেরিয়ে এসে, ২০১৭-র ২৭ জুলাই বিজেপির হাত ধরে বিহারে সরকার গড়েন নীতীশ কুমার। কিন্তু তার পর থেকে, গত দু’বছরে তিন তালাক— সহ একাধিক বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এক সময় ‘সঙ্ঘ মুক্ত ভারত’-এর ডাক দেওয়া নীতীশের সঙ্গে সম্পর্ক তেমন ভাল নয় সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতেরও।
No comments