প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর জয়ী হওয়ার আশা করছেন ইমরান খান
পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের
সাথে বৈঠক করবেন ইমরান খান। এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত এবং মার্কিন
প্রেসিডেন্টের কাটছাট করা আর্থিক সহায়তা পুনর্বহালের মতো গুরুদায়িত্ব রয়েছে
তার কাঁধে।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের অধিকাংশ সামরিক সহায়তা বাতিল করেছে, যার পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার। সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এমন অভিযোগ তোলার পর ওই সহায়তা বাতিল করেন ট্রাম্প।
খান একই সাথে তার দেশকে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্স কর্তৃক তালিকাভুক্তি হওয়া থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। কিছু বিশ্লেষকের মতে, এই তালিকাভুক্তির কারণে পাকিস্তানকে ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যার্থতার জন্যও একটি নজরদারি তালিকায় পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দিল্লী ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মনোজ যোশি বলেন: “পাকিস্তান সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা দেয়া বন্ধ করেছে এবং পাকিস্তান সেটা ফেরত চায় এবং একই সাথে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্সের চাপ থেকেও তারা মুক্ত হতে চায় – এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা শিথিল না হলে তাদের পুরো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি হুমকির মুখে পড়ে যাবে”।
ট্রাম্প ও খান যখন সোমবার বৈঠকে বসবেন, তখন প্রথমে তাদেরকে সোশাল মিডিয়ার শত্রুতার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মার্কিন নেতা পাকিস্তানের ব্যাপারে বলেছেন, “তারা আর দশটা দেশের মতোই একটা দেশ, যারা যুক্তরাষ্ট্রের থেকে নিচ্ছে এবং কিছুই ফিরিয়ে দিচ্ছে না”।
খান টুইটারে জবাব দিয়েছিলেন: “নিজেদের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা না বানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বের সাথে বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত, কেন আফগানিস্তানে ১৪০,০০০ ন্যাটো সেনা এবং ২৫০,০০০ আফগান সেনা থাকার পরও এবং সেখানে কথিত ১ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরও তালেবানরা আজ আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে”।
ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তালেবানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় সহায়তা দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরবেন ধারণা করা হচ্ছে, এবং হাফিজ সাইদের গ্রেফতারের বিষয়টি উল্লেখ করবেন। হাফিজ সাইন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান, যে গ্রুপটি ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সাথে জড়িত বলে ভারত দাবি করে আসছে।
যোশি বলেন: “এটাকে অতটা কাকতালীয় বলা যাবে না যে, সাইদ এমন সময় গ্রেফতার হলেন যখন পাকিস্তানের বিষয়টি ফিনান্সিয়াল টাস্কফোর্সে আলোচনা হতে যাচ্ছে এবং যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ সফরে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন”।
খানের প্রয়োগ করার মতো অস্ত্র সীমিত, কিন্তু তালেবানদের ইস্যু থেকে ছাড় পেতে হলে পাকিস্তানের সদিচ্ছার প্রয়োজন। পাকিস্তান অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি চীনা বলয়ে চলে গেছে, এ ব্যাপারে মার্কিন উদ্বেগের বিষয়টি নিয়েও তিনি খেলতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, “সফরের উদ্দেশ্য হলো আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানের দিক থেকে সুনির্দিষ্ট সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং পাকিস্তান নিজেদের সীমানার ভেতরে সম্প্রতি যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে, সেটাকে আরও গভীর ও স্থায়ী করা”।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করলে এবং যেহেতু সেনাবাহিনী প্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া সফরে খানের সাথে রয়েছেন, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে লেখক ও বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকা বলেছেন যে, “খান বৈঠক থেকে বের হওয়ার পর ট্রাম্প আর পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের মধ্যেই আসল আলোচনা হবে”।
তিনি আরও বলেন: “সন্দেহ নেই যে আফগানিস্তানই আলোচনার শীর্ষে থাকবে। পাকিস্তানের সফররত টিম, সেই সাথে সেনাপ্রধান বাজওয়া এটা ভালো করেই জানেন যে, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকানদের সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। আমেরিকাকে পাকিস্তানের জন্য তাদের সামরিক অর্থায়নের বিষয়টি চালুর পূর্বশর্ত হিসেবে পাকিস্তানকে এই মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে হবে”।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ থেকে খারাপতর হয়। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনদের মধ্যেও একটা ধারণা জন্মে যে, এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করতে পারবে না।
ট্রাম্প যে ধারাবাহিক বর্ণবাদী টুইট করে চলেছেন, সেটা ইসলাম-বিদ্বেষী হিসেবে তার ইমেজকে পাকিস্তানে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। সরকারের এক মন্ত্রী সম্প্রতি নিউ ইয়র্কারের একটি নিবন্ধ রি-টুইট করেছেন, যেটার শিরোনাম হলো ‘অ্যা রেসিস্ট ইন দ্য হোয়াইট হাউজ’। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, “যে গণতন্ত্রে বর্ণবাদ ও গোঁড়ামি রাজনৈতিক নীতি হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গেছে”। যদিও ওই মন্ত্রী দ্রুত টুইটটি ডিলিট করে দেন।
>>>শাহ মীর, জুলিয়ান বোর্গার ও রেবেকা র্যাটক্লিফ
যুক্তরাষ্ট্র তাদের অধিকাংশ সামরিক সহায়তা বাতিল করেছে, যার পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার। সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তান যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এমন অভিযোগ তোলার পর ওই সহায়তা বাতিল করেন ট্রাম্প।
খান একই সাথে তার দেশকে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্স কর্তৃক তালিকাভুক্তি হওয়া থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। কিছু বিশ্লেষকের মতে, এই তালিকাভুক্তির কারণে পাকিস্তানকে ১০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যার্থতার জন্যও একটি নজরদারি তালিকায় পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দিল্লী ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মনোজ যোশি বলেন: “পাকিস্তান সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের সম্পর্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা দেয়া বন্ধ করেছে এবং পাকিস্তান সেটা ফেরত চায় এবং একই সাথে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশান টাস্ক ফোর্সের চাপ থেকেও তারা মুক্ত হতে চায় – এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা শিথিল না হলে তাদের পুরো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি হুমকির মুখে পড়ে যাবে”।
ট্রাম্প ও খান যখন সোমবার বৈঠকে বসবেন, তখন প্রথমে তাদেরকে সোশাল মিডিয়ার শত্রুতার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মার্কিন নেতা পাকিস্তানের ব্যাপারে বলেছেন, “তারা আর দশটা দেশের মতোই একটা দেশ, যারা যুক্তরাষ্ট্রের থেকে নিচ্ছে এবং কিছুই ফিরিয়ে দিচ্ছে না”।
খান টুইটারে জবাব দিয়েছিলেন: “নিজেদের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা না বানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বের সাথে বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত, কেন আফগানিস্তানে ১৪০,০০০ ন্যাটো সেনা এবং ২৫০,০০০ আফগান সেনা থাকার পরও এবং সেখানে কথিত ১ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরও তালেবানরা আজ আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে”।
ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তালেবানদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনায় সহায়তা দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরবেন ধারণা করা হচ্ছে, এবং হাফিজ সাইদের গ্রেফতারের বিষয়টি উল্লেখ করবেন। হাফিজ সাইন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রধান, যে গ্রুপটি ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার সাথে জড়িত বলে ভারত দাবি করে আসছে।
যোশি বলেন: “এটাকে অতটা কাকতালীয় বলা যাবে না যে, সাইদ এমন সময় গ্রেফতার হলেন যখন পাকিস্তানের বিষয়টি ফিনান্সিয়াল টাস্কফোর্সে আলোচনা হতে যাচ্ছে এবং যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ সফরে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন”।
খানের প্রয়োগ করার মতো অস্ত্র সীমিত, কিন্তু তালেবানদের ইস্যু থেকে ছাড় পেতে হলে পাকিস্তানের সদিচ্ছার প্রয়োজন। পাকিস্তান অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি চীনা বলয়ে চলে গেছে, এ ব্যাপারে মার্কিন উদ্বেগের বিষয়টি নিয়েও তিনি খেলতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, “সফরের উদ্দেশ্য হলো আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানের দিক থেকে সুনির্দিষ্ট সহযোগিতা নিশ্চিত করা এবং পাকিস্তান নিজেদের সীমানার ভেতরে সম্প্রতি যে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে, সেটাকে আরও গভীর ও স্থায়ী করা”।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করলে এবং যেহেতু সেনাবাহিনী প্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া সফরে খানের সাথে রয়েছেন, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে লেখক ও বিশ্লেষক আয়েশা সিদ্দিকা বলেছেন যে, “খান বৈঠক থেকে বের হওয়ার পর ট্রাম্প আর পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের মধ্যেই আসল আলোচনা হবে”।
তিনি আরও বলেন: “সন্দেহ নেই যে আফগানিস্তানই আলোচনার শীর্ষে থাকবে। পাকিস্তানের সফররত টিম, সেই সাথে সেনাপ্রধান বাজওয়া এটা ভালো করেই জানেন যে, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকানদের সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। আমেরিকাকে পাকিস্তানের জন্য তাদের সামরিক অর্থায়নের বিষয়টি চালুর পূর্বশর্ত হিসেবে পাকিস্তানকে এই মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে হবে”।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খারাপ থেকে খারাপতর হয়। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীনদের মধ্যেও একটা ধারণা জন্মে যে, এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করতে পারবে না।
ট্রাম্প যে ধারাবাহিক বর্ণবাদী টুইট করে চলেছেন, সেটা ইসলাম-বিদ্বেষী হিসেবে তার ইমেজকে পাকিস্তানে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। সরকারের এক মন্ত্রী সম্প্রতি নিউ ইয়র্কারের একটি নিবন্ধ রি-টুইট করেছেন, যেটার শিরোনাম হলো ‘অ্যা রেসিস্ট ইন দ্য হোয়াইট হাউজ’। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, “যে গণতন্ত্রে বর্ণবাদ ও গোঁড়ামি রাজনৈতিক নীতি হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে গেছে”। যদিও ওই মন্ত্রী দ্রুত টুইটটি ডিলিট করে দেন।
>>>শাহ মীর, জুলিয়ান বোর্গার ও রেবেকা র্যাটক্লিফ
No comments