কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ আলটিমেটাম
সরকারি
সব চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছেন
চাকরিপ্রার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আগামী ১৩ই মার্চের মধ্যে দাবি পূরণ করা
না হলে পরের দিন সারা দেশের জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও কেন্দ্রীয়ভাবে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
গতকাল রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের
অংশগ্রহণে কোটাবিরোধী বিক্ষোভে এ আলটিমেটাম দেয়া হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে
পাঁচ দফা দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড ও ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, কোটা বৈষম্যের
ঠাঁই নাই’সহ নানা স্লোগান দিয়ে দাবি তুলে ধরেন তারা। দাবির পক্ষে উপস্থিত
শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করে সংগঠনের সমন্বয়ক ফারুক হোসেন বলেন, আমরা কোটা
বাতিলের পক্ষে নই। বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গঠনে কোটার সংস্কার
দাবি করছি।
এটা মেধাবীদের ন্যায্য দাবি। সংখ্যা গরিষ্ঠ সাধারণ মেধাবীদের এ দাবি মেনে না নিলে আগামী ১৪ই মার্চ দেশের সব জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ রাজধানীর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরা করা হবে বলে জানান তিনি। সরকারের উদ্দেশ্যে লিখিত পাঁচ দফা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করতে হবে, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে, কোটায় বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করতে হবে, সবার জন্য অভিন্ন বয়সসমীমা চালুসহ নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
এদিকে সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা দলে দলে শাহবাগ এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন। ব্যাপক উপস্থিতি দেখে পুলিশি পাহারাও জোরদার করতে থাকে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পুলিশি কোনো বাধা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়। প্রচণ্ড গরম অপেক্ষা করে সড়কে বসে, দাঁড়িয়ে দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শেখ মো. রিপন বলেন, আমার চাকরির বয়স শেষ। এ পর্যন্ত আমি ১০টি ভাইভা দিয়েছি। পরীক্ষা ভালো হলেও চাকরি পাই নাই। কোটা না থাকলে অনেক আগেই তার একটি চাকরি হতো বলে জানান এ চাকরিপ্রার্থী। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বেলা ১টা পর্যন্ত অবস্থান করে ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে একই দাবিতে ১৯শে ফেব্রুয়ারি ও ৪ঠা মার্চ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে কোটা বিরোধীদের বিরোধিতা করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও লালসবুজ পতাকা মিছিল করেছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটি’। কোটা সংস্কারবাদীদের বিক্ষোভের সমালোচনা করে সংগঠনের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে একটি মহল। অতীতেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে। কোটার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সফল হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ সময় সংগঠনের অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এটা মেধাবীদের ন্যায্য দাবি। সংখ্যা গরিষ্ঠ সাধারণ মেধাবীদের এ দাবি মেনে না নিলে আগামী ১৪ই মার্চ দেশের সব জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ রাজধানীর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরা করা হবে বলে জানান তিনি। সরকারের উদ্দেশ্যে লিখিত পাঁচ দফা তুলে ধরে বক্তারা বলেন, সরকারি নিয়োগে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করতে হবে, কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে, কোটায় বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করতে হবে, সবার জন্য অভিন্ন বয়সসমীমা চালুসহ নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
এদিকে সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা দলে দলে শাহবাগ এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন। ব্যাপক উপস্থিতি দেখে পুলিশি পাহারাও জোরদার করতে থাকে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পুলিশি কোনো বাধা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়। প্রচণ্ড গরম অপেক্ষা করে সড়কে বসে, দাঁড়িয়ে দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শেখ মো. রিপন বলেন, আমার চাকরির বয়স শেষ। এ পর্যন্ত আমি ১০টি ভাইভা দিয়েছি। পরীক্ষা ভালো হলেও চাকরি পাই নাই। কোটা না থাকলে অনেক আগেই তার একটি চাকরি হতো বলে জানান এ চাকরিপ্রার্থী। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বেলা ১টা পর্যন্ত অবস্থান করে ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে একই দাবিতে ১৯শে ফেব্রুয়ারি ও ৪ঠা মার্চ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে কোটা বিরোধীদের বিরোধিতা করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও লালসবুজ পতাকা মিছিল করেছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটি’। কোটা সংস্কারবাদীদের বিক্ষোভের সমালোচনা করে সংগঠনের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে একটি মহল। অতীতেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো হচ্ছে। কোটার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সফল হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ সময় সংগঠনের অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
No comments