শিগগিরই ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ পাচ্ছেন -স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগামী
২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে বিশেষ বিসিএস’র মাধ্যমে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া
হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ
ছাড়া বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরো ৫ হাজার চিকিৎসক, চার হাজার
নার্স ও ৪০ হাজার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হবে। যা
চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গতকাল রাজধানীর বাংলাদেশ
মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ভবনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এমন
তথ্য জানান। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও বাংলাদেশ মেডিকেল
অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মন্ত্রী আরো বলেন, সরকারি
মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি আমরা বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে উৎসাহিত করেছি।
রাজনৈতিক কারণে অনুমোদন নিয়েছে। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মানসম্পন্ন শিক্ষা দেয়া হচ্ছে না। এখানে চিকিৎসক তৈরির নামে সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, বেসরকারিতে যদি মানসম্পন্ন শিক্ষা না হয় তাহলে কীভাবে সুচিকিৎসা হবে। এর মান নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। তিনি বলেন, কিছু কিছু মেডিকেল কলেজ আছে তাতে শিক্ষক নেই, নিজস্ব ভবন ও লাইব্রেরি নেই। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে তারা শিক্ষা কার্যক্রম করছে। এটা চলতে পারে না। তিনি বলেন, আটটি কলেজের ভর্তি স্থগিত করেছি। এরপর তদবির শুরু হয়। তারপরও পরিবর্তন হয়নি। তবে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। ব্যর্থ হয়ে কোর্টেও গিয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা। তিনি জানান, রোগী ও চিকিৎসকদের জন্য সুরক্ষা আইন শিগগিরই আসছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেখ হাসিনার জন্ম দিনে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করা হবে। এ ছাড়া এ বছর কোরিয়ান অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০০ শয্যার সুপার বিশেষায়িত হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫ তলা নতুন ভবন ও মুগদায় কোরিয়ান সহায়তায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। মন্ত্রী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। যেখানে আস্থা আছে সেখানে অভিযোগও আছে। তবে বড় কোনো অভিযোগ নেই। ছোটখাটো ভুল ত্রুটি আছে। এটা স্বীকার করি। এই সরকারের মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। সামনে নির্বাচন। তিনি বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মানুষের সরাসরি সেবা করার সুযোগ পেয়ে আনন্দ পেয়েছি। অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রশ্ন উত্তর পর্বে মন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান উত্তর দেন। সচিব এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অচিরেই সরকারি হাসপাতালের ২০১০ সালের নির্ধারিত বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য রোগীর ইউজার ফি পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে। যা কয়েক গুণ বেশি নেয়ার সুযোগ থাকবে না। মূল্য নির্ধারণের চার্ট হাসপাতালে জনগণের জন্য টাঙানোর নির্দেশ দেয়া হবে। মন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন চিকিৎসকদেরকে দু’বছরের জন্য গ্রামে পোস্টিং দেয়া হয়। তিন বছর থাকার আইন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন ও কিছু অভিযোগ তুলে ধরলে মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্টদের সরাসরি ফোন করে জানতে চান এবং ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানখিন প্রমুখ।
রাজনৈতিক কারণে অনুমোদন নিয়েছে। কিন্তু বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মানসম্পন্ন শিক্ষা দেয়া হচ্ছে না। এখানে চিকিৎসক তৈরির নামে সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, বেসরকারিতে যদি মানসম্পন্ন শিক্ষা না হয় তাহলে কীভাবে সুচিকিৎসা হবে। এর মান নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। তিনি বলেন, কিছু কিছু মেডিকেল কলেজ আছে তাতে শিক্ষক নেই, নিজস্ব ভবন ও লাইব্রেরি নেই। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে তারা শিক্ষা কার্যক্রম করছে। এটা চলতে পারে না। তিনি বলেন, আটটি কলেজের ভর্তি স্থগিত করেছি। এরপর তদবির শুরু হয়। তারপরও পরিবর্তন হয়নি। তবে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। ব্যর্থ হয়ে কোর্টেও গিয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা। তিনি জানান, রোগী ও চিকিৎসকদের জন্য সুরক্ষা আইন শিগগিরই আসছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শেখ হাসিনার জন্ম দিনে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করা হবে। এ ছাড়া এ বছর কোরিয়ান অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০০ শয্যার সুপার বিশেষায়িত হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫ তলা নতুন ভবন ও মুগদায় কোরিয়ান সহায়তায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। মন্ত্রী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। যেখানে আস্থা আছে সেখানে অভিযোগও আছে। তবে বড় কোনো অভিযোগ নেই। ছোটখাটো ভুল ত্রুটি আছে। এটা স্বীকার করি। এই সরকারের মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। সামনে নির্বাচন। তিনি বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মানুষের সরাসরি সেবা করার সুযোগ পেয়ে আনন্দ পেয়েছি। অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রশ্ন উত্তর পর্বে মন্ত্রী ও তার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান উত্তর দেন। সচিব এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অচিরেই সরকারি হাসপাতালের ২০১০ সালের নির্ধারিত বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য রোগীর ইউজার ফি পুনরায় নির্ধারণ করা হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে। যা কয়েক গুণ বেশি নেয়ার সুযোগ থাকবে না। মূল্য নির্ধারণের চার্ট হাসপাতালে জনগণের জন্য টাঙানোর নির্দেশ দেয়া হবে। মন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন চিকিৎসকদেরকে দু’বছরের জন্য গ্রামে পোস্টিং দেয়া হয়। তিন বছর থাকার আইন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন ও কিছু অভিযোগ তুলে ধরলে মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্টদের সরাসরি ফোন করে জানতে চান এবং ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব এহতেশামুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানখিন প্রমুখ।
No comments