জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন ট্রাম্প, কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি আরব নেতাদের
জেরুজালেমকে
কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে আবার উত্তেজনা বৃদ্ধির আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আজ বুধবার এই শহরটিকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের। এ নিয়ে তিনি মঙ্গলবার ফোনে
কথা বলেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, জর্ডানের বাদশা
আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও সৌদি আরবের বাদশা
সালমানের সঙ্গে। তারা সবাই ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের
একতরফা এমন সিদ্ধান্তে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। উন্মাতাল হয়ে পড়তে
পারে পুরো অঞ্চল।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, এমন ঘোষণা দেয়া হলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। এতে শান্তি প্রক্রিয়া নষ্ট হবে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ষষ্ঠ পোপ ফ্রাঁসিস, রাশিয়ার নেতা ভøাদিমির পুতিন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন ও জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহর। কিন্তু ট্রাম্প তাকে আশ্বস্ত করেছেন। বলেছেন, তিনি ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান। তিনি বলেছেন, জেরুজালেমের মর্যাদা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণায় সারা বিশ্বের মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনার আগুন জ্বলে উঠবে। ট্রাম্প এ নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। তবে এ বিষয়ে নেতানিয়াহুর অফিস থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয় নি। ইসরাইলের একজন সিনিয়র মন্ত্রী ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলেছেন, যেকোনো সহিংসতা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছেন তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, বর্তমানে ইসরাইলের তেল আবিব শহরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। তা যদি জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করা হয় তাহলে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে। এর ঘোর বিরোধী ফিলিস্তিন। কারণ জেরুজালেমকে তাদের কাছ থেকে ১৯৬৭ সালে দখল করে নেয় ইসরাইল। এরপর তারা একে তাদের রাজধানী বলে দাবি করতে থাকে। একই দাবি করে ফিলিস্তিনও। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার গ্রিনিচ মান সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন। এর ফলে তাদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর ঘোর বিরোধিতা করছে আরব দেশগুলো। তা উপেক্ষা করে ট্রাম্প ঘোষণা দিলেও তাদের দূতাবাস স্থানান্তরিত হতে সময় লেগে যাবে তিন থেকে চার বছর। ফলে কতদিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে সে বিষয়ে থাকছে না কোনো বাধাধরা সময়সীমা। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক একটি ওয়েভারে স্বাক্ষর করতে পারেন। এর অধীনে ঠিক এখনই দূতাবাস স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে। কারণ, এই মুহূর্তে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করার মতো কোনো ভবন নেই। নেই নিরাপত্তা বিষয়ক আয়োজন। নেই কূটনীতিকদের থাকার জন্য বাসা। রয়টার্স লিখেছে, জেরুজালেমকে ট্রাম্প স্বীকৃতি দিলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিকতা ভঙ্গ। কারণ, এতদিন জেরুজালেম সমস্যার সমাধান ফিলিস্তিনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই হতে হবে এমন একটি দৃশ্যত বাধ্যবাধকতা ছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও জেরুজালেমের পুরো শহরকে ইসরাইলের এমন স্বীকৃতি দেয় না। এই শহরটি যেমন মুসলিম তেমনি ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাছে পবিত্র। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন। তারই অধীনে এই ঘোষণা আসছে। এমন ঘোষণায় সমর্থন দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও ইসরাইলে তাদের রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রায়েডম্যান। কিন্তু এর তীব্র বিরোধিতা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম মাতিস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার কূটনীতিকদের জেরুজালেমের ভিতরে ও আশপাশে চলাফেরা সীমিত করেছে। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনগুলোকে অস্থিরতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, এমন ঘোষণা দেয়া হলে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। এতে শান্তি প্রক্রিয়া নষ্ট হবে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ষষ্ঠ পোপ ফ্রাঁসিস, রাশিয়ার নেতা ভøাদিমির পুতিন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন ও জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহর। কিন্তু ট্রাম্প তাকে আশ্বস্ত করেছেন। বলেছেন, তিনি ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান। তিনি বলেছেন, জেরুজালেমের মর্যাদা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণায় সারা বিশ্বের মুসলিমদের মধ্যে উত্তেজনার আগুন জ্বলে উঠবে। ট্রাম্প এ নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। তবে এ বিষয়ে নেতানিয়াহুর অফিস থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয় নি। ইসরাইলের একজন সিনিয়র মন্ত্রী ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বলেছেন, যেকোনো সহিংসতা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছেন তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, বর্তমানে ইসরাইলের তেল আবিব শহরে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। তা যদি জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করা হয় তাহলে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে। এর ঘোর বিরোধী ফিলিস্তিন। কারণ জেরুজালেমকে তাদের কাছ থেকে ১৯৬৭ সালে দখল করে নেয় ইসরাইল। এরপর তারা একে তাদের রাজধানী বলে দাবি করতে থাকে। একই দাবি করে ফিলিস্তিনও। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার গ্রিনিচ মান সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন। এর ফলে তাদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর ঘোর বিরোধিতা করছে আরব দেশগুলো। তা উপেক্ষা করে ট্রাম্প ঘোষণা দিলেও তাদের দূতাবাস স্থানান্তরিত হতে সময় লেগে যাবে তিন থেকে চার বছর। ফলে কতদিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে সে বিষয়ে থাকছে না কোনো বাধাধরা সময়সীমা। একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক একটি ওয়েভারে স্বাক্ষর করতে পারেন। এর অধীনে ঠিক এখনই দূতাবাস স্থানান্তর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে। কারণ, এই মুহূর্তে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করার মতো কোনো ভবন নেই। নেই নিরাপত্তা বিষয়ক আয়োজন। নেই কূটনীতিকদের থাকার জন্য বাসা। রয়টার্স লিখেছে, জেরুজালেমকে ট্রাম্প স্বীকৃতি দিলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিকতা ভঙ্গ। কারণ, এতদিন জেরুজালেম সমস্যার সমাধান ফিলিস্তিনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই হতে হবে এমন একটি দৃশ্যত বাধ্যবাধকতা ছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও জেরুজালেমের পুরো শহরকে ইসরাইলের এমন স্বীকৃতি দেয় না। এই শহরটি যেমন মুসলিম তেমনি ইহুদি ও খ্রিস্টানদের কাছে পবিত্র। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়ে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন। তারই অধীনে এই ঘোষণা আসছে। এমন ঘোষণায় সমর্থন দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও ইসরাইলে তাদের রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রায়েডম্যান। কিন্তু এর তীব্র বিরোধিতা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম মাতিস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার কূটনীতিকদের জেরুজালেমের ভিতরে ও আশপাশে চলাফেরা সীমিত করেছে। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশনগুলোকে অস্থিরতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
No comments